![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বলার মতো তেমন কিছু করতে পারিনি এখনো । বাপের হোটেলে ঘুমাই; মায়ের রেস্টুরেন্টে খাই; সরকারের টাকায় পড়াশুনা নামক ক্ষতিকারক কাজের অপচেষ্ঠা করি । যেহেতু খাওয়া-পরা ও পড়া নিয়ে টেনশন নাই, তাই আপাতত সুখেই আছি।
১)সাংবাদিকতা খুব সহজ কোন পেশা নয়।এই পেশায় যারা আসবেন তাদের অনেক কিছুর উর্ধ্বে উঠে যেতে হয়।তারা দায়িত্বের আওতায় কোন বিষয় জানবেন,লোকজনকে সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে জানাবেন।অপ্রকাশিত বিষয়ের তদন্ত করবেন,অর্থাৎ তাদের কাজের গন্ডি ব্যাপক।এই ব্যাপক গন্ডির কাজকে আয়ত্ব করার জন্য চাই সাংবাদিকতা বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং জ্ঞান।পাশাপাশি সৎ সাহস,পেশাগত নৈতিকতা এবং ঝুকি গ্রহণের মানসিকতা থাকাও অত্যাবশ্যকীয়।
২)কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোতে যারা কাজ করছেন তাদের অধিকাংশেরই সেই জ্ঞান কিংবা অভিজ্ঞতা নেই।তাই মাঝে মাঝে তারা ভুলে যান তাদের বিচরণের সীমানা কতটুকু।কারো বেডরুম কিংবা পারিবারিক গন্ডিতে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়াটা যে শোভনীয় নয় কিংবা ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনকেও যে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না এটা তারা বুঝতে পারেন না।কোন ধর্ষণের ঘটনায় যে ধর্ষিতার নাম,পরিচয় প্রকাশ করা যায় না সেটাও তাদের বিবেচনার বাইরে চলে যায়।
৩)সাম্প্রতিক সময়ে গোলাম মাওলা রনি এমপি এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার মধ্যে উদ্ভূত ঘটনাটি সাংবাদিকদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা কিংবা পেশাগত নৈতিকতা না মানার কারণেই হয়েছে বলে আমি মনে করি।তবে এর মানে এই না যে,এমপি রনি নির্দোষ কিংবা সাংবাদিক পিটানোতে তার কোনো দায় নেই।দায় অবশ্যই আছে,কিন্তু তাই বলে একজন মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে হাত দিলে ওই মানুষটি কতটুকু নিশ্চুপ থাকতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
(এই অর্বাচীনের উক্তিটিকে খুব বেশি আমলে না নিলেই খুশি হবো।ধন্যবাদ সবাইকে।)
©somewhere in net ltd.