নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুসাফির

রাহি রাফসান

একজন ফ্রিল্যান্স ফটগ্রাফার যিনি ভ্রমণ করতে ভালবাসে ।

রাহি রাফসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেত্রকোনা ভ্রমণ

১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৯


দর্শনীয় স্থান গুলো:——-

বিজয়পুর পাহাড় : রাশমণি স্মৃতিসৌধ থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বিজয়পুরে আছে চীনা মাটির পাহাড়। এখান থেকে চীনা মাটি সংগ্রহের ফলে পাহাড়ের গায়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট ছোট পুকুরের মতো গভীর জলাধার। পাহাড়ের গায়ে স্বচ্ছ জলাধারগুলো দেখতে চমৎকার।

টঙ্ক আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ : ১৯৪৬-৫০ সালে কমরেড মণি সিংহের নেতৃত্বে পরিচালিত টঙ্ক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ। আদিবাসী সাংস্কৃতিক একাডেমি থেকে কিছুটা সামনে শোমেশ্বরী নদী পার হয়ে কিছু দূর এগুলেই চোখে পড়বে এ স্মৃতিসৌধটি। বর্ষা মৌসুমে শোমেশ্বরী জলে পূর্ণ থাকলেও শীত মৌসুমে নদীটি পায়ে হেঁটে পার হওয়া যায়।

সুসং দুর্গাপুরের জমিদার বাড়ি : জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় অবস্থিত সুসং দুর্গাপুরের জমিদার বাড়ি। সুসং দুর্গাপুরের সোমেশ্বর পাঠকের বংশধররা এ বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। বাংলা ১৩০৪ সনের ভয়াবহ ভূমিকম্পে জমিদার বাড়িটি একেবারে ধ্বংস হয়ে গেলে তাদের বংশধররা এটি পুনর্নির্মাণ করেন। এ জমিদার বাড়িটি চারটি অংশে বিভক্ত। জানা যায়, ১২৮০ মতান্তরে ১৫৯৪ খ্রিস্টাব্দের কোন এক সময়ে কামরূপ কামাখ্যা থেকে শোমেশ্বর পাঠক নামে এক ব্রাহ্মণ এ অঞ্চলে ভ্রমণে আসেন। এখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে এখানে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। শোমেশ্বর পাঠক গারো রাজা বৈশ্যকে পরাজিত ও নিহত করে রাজ্য দখল করে নেন। সে সময়ে সুসং রাজ্যের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী ছিল আদিবাসী, যাদের অধিকাংশই আবার গারো। জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ৩০০ বছর তার বংশধররা এ অঞ্চলে জমিদারি করে।

সাধু যোসেফের ধর্মপলি : বিরিসিরি থেকে শোমেশ্বরী নদী পার হয়ে রিকশায় রানীখং গ্রাম। এখানে আছে সাধু যোসেফের ধর্মপলি। রানীখং গ্রামের এ ক্যাথলিক গির্জাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯১২ সালে।

রাশমণি স্মৃতিসৌধ : রানীখং থেকে বিজয়পুর পাহাড়ে যাওয়ার পথে বহেরাতলীতে আছে হাজং মাতা রাশমণি স্মৃতিসৌধ। ১৯৪৬ সালের ৩১ জানুয়ারি সংঘটিত কৃষক ও টঙ্ক আন্দোলনের প্রথম শহীদ ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের নেত্রী হাজং মাতা রাশমণির স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে রাশমণি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এখানে নির্মাণ করেছে রাশমণি স্মৃতিসৌধ।



যে ভাবে যাবেনঃ
মহাখালী থেকে বিরিসিরির ডাইরেক্ট বাস আছে, প্রথম বাস সকাল ৭:৩০ মিনিটে ছাড়ে। এরপর প্রতি ৪৫ মিনিট অন্তর একটা বাস ছেড়ে যায়।ভাড়া নেবে ৩০০/-টাকা। সেমিলোকাল বলা চলে। সময় লাগে প্রায় ৫,৩০ ঘন্টা। বিরিসিরি বাজার পর্যন্ত বাস যাবে। বিকল্প হিসাবে ঢাকা থেকে ভাল বাসে (এনা-১৫০ টাকা/এ.সি. শামীম-১৮০ টাকা) ময়মনসিংহ গিয়ে ওখান থেকে মাইক্রোবাস ভাড়া নিতে পারেন। খুব সকালে (৬টা) ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে এভাবে হয়তো ১টার দিকে পৌছাতে পারবেন দূর্গাপূর। শেষের ৮-১০ কি.মি. রাস্তা খুবই খারাপ।
বাস যেখান পর্যন্ত যাবে (জারিয়া/জাইরার বাজার) সেখানে নেমে সামান্য একটু হেটে কিম্বা রিক্সায় গিয়ে আবার একটা ছোট্ট নদী (কংশ) পার হতে হবে ইঞ্জিন বোটে। ৫ মিনিটে এই নদী পার হয়ে ওপাশ থেকে সবচেয়ে দ্রুতগতির যানবাহন হিসাবে মটরসাইকেল ভাড়া পাওয়া যায় ১০০ টাকা নেবে। দুইজন তাতে চড়তে পারবেন (একজন গেলেও তাই)। ৮-১০ কি.মি. ভাঙ্গাচোরা পথ পেরিয়ে প্রায় ২০ মিনিট পর পৌছুবেন বিরিসিরি লেকে । ৩ টার সময় ঢাকা ব্যাক করলে আপনি রাত ১০/১১টায় ঢাকা চলে আস্তে পারবেন ।
তবে আগেই বলে রাখছি রাস্তা খারাপ গিয়ে কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পরবেন । তাই (জারিয়া/জাইরার বাজার) একরাত থেকে পরদিন সকালে ঢাকা ব্যাক করা ।
থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা হলো ইয়ুথ মেন খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বা ওয়াইএমসিএর রেস্ট হাউজ। রাত থাকলে আপনি আস্তে ধিরে বিরিসিরি লেক এবং আরও কিছু প্লেস আছে ওইগুলা ভাল ভাবে দেখতে পারবেন ।আমি ২০১১ তে গিয়েছিলাম তাই টাকা পয়শা একটু এদিকওদিক হতে পারে ।
বিদ্রঃ কিছু তথ্য গুগল করে পূর্বের পোস্ট সংশোধিত করা হল । দর্শনীয় স্থান গুলো:——-

বিজয়পুর পাহাড় : রাশমণি স্মৃতিসৌধ থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বিজয়পুরে আছে চীনা মাটির পাহাড়। এখান থেকে চীনা মাটি সংগ্রহের ফলে পাহাড়ের গায়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট ছোট পুকুরের মতো গভীর জলাধার। পাহাড়ের গায়ে স্বচ্ছ জলাধারগুলো দেখতে চমৎকার।

টঙ্ক আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ : ১৯৪৬-৫০ সালে কমরেড মণি সিংহের নেতৃত্বে পরিচালিত টঙ্ক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ। আদিবাসী সাংস্কৃতিক একাডেমি থেকে কিছুটা সামনে শোমেশ্বরী নদী পার হয়ে কিছু দূর এগুলেই চোখে পড়বে এ স্মৃতিসৌধটি। বর্ষা মৌসুমে শোমেশ্বরী জলে পূর্ণ থাকলেও শীত মৌসুমে নদীটি পায়ে হেঁটে পার হওয়া যায়।

সুসং দুর্গাপুরের জমিদার বাড়ি : জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় অবস্থিত সুসং দুর্গাপুরের জমিদার বাড়ি। সুসং দুর্গাপুরের সোমেশ্বর পাঠকের বংশধররা এ বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। বাংলা ১৩০৪ সনের ভয়াবহ ভূমিকম্পে জমিদার বাড়িটি একেবারে ধ্বংস হয়ে গেলে তাদের বংশধররা এটি পুনর্নির্মাণ করেন। এ জমিদার বাড়িটি চারটি অংশে বিভক্ত। জানা যায়, ১২৮০ মতান্তরে ১৫৯৪ খ্রিস্টাব্দের কোন এক সময়ে কামরূপ কামাখ্যা থেকে শোমেশ্বর পাঠক নামে এক ব্রাহ্মণ এ অঞ্চলে ভ্রমণে আসেন। এখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে এখানে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। শোমেশ্বর পাঠক গারো রাজা বৈশ্যকে পরাজিত ও নিহত করে রাজ্য দখল করে নেন। সে সময়ে সুসং রাজ্যের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী ছিল আদিবাসী, যাদের অধিকাংশই আবার গারো। জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ৩০০ বছর তার বংশধররা এ অঞ্চলে জমিদারি করে।

সাধু যোসেফের ধর্মপলি : বিরিসিরি থেকে শোমেশ্বরী নদী পার হয়ে রিকশায় রানীখং গ্রাম। এখানে আছে সাধু যোসেফের ধর্মপলি। রানীখং গ্রামের এ ক্যাথলিক গির্জাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯১২ সালে।

রাশমণি স্মৃতিসৌধ : রানীখং থেকে বিজয়পুর পাহাড়ে যাওয়ার পথে বহেরাতলীতে আছে হাজং মাতা রাশমণি স্মৃতিসৌধ। ১৯৪৬ সালের ৩১ জানুয়ারি সংঘটিত কৃষক ও টঙ্ক আন্দোলনের প্রথম শহীদ ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের নেত্রী হাজং মাতা রাশমণির স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে রাশমণি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এখানে নির্মাণ করেছে রাশমণি স্মৃতিসৌধ।


যে ভাবে যাবেনঃ
মহাখালী থেকে বিরিসিরির ডাইরেক্ট বাস আছে, প্রথম বাস সকাল ৭:৩০ মিনিটে ছাড়ে। এরপর প্রতি ৪৫ মিনিট অন্তর একটা বাস ছেড়ে যায়।ভাড়া নেবে ৩০০/-টাকা। সেমিলোকাল বলা চলে। সময় লাগে প্রায় ৫,৩০ ঘন্টা। বিরিসিরি বাজার পর্যন্ত বাস যাবে। বিকল্প হিসাবে ঢাকা থেকে ভাল বাসে (এনা-১৫০ টাকা/এ.সি. শামীম-১৮০ টাকা) ময়মনসিংহ গিয়ে ওখান থেকে মাইক্রোবাস ভাড়া নিতে পারেন। খুব সকালে (৬টা) ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে এভাবে হয়তো ১টার দিকে পৌছাতে পারবেন দূর্গাপূর। শেষের ৮-১০ কি.মি. রাস্তা খুবই খারাপ।
বাস যেখান পর্যন্ত যাবে (জারিয়া/জাইরার বাজার) সেখানে নেমে সামান্য একটু হেটে কিম্বা রিক্সায় গিয়ে আবার একটা ছোট্ট নদী (কংশ) পার হতে হবে ইঞ্জিন বোটে। ৫ মিনিটে এই নদী পার হয়ে ওপাশ থেকে সবচেয়ে দ্রুতগতির যানবাহন হিসাবে মটরসাইকেল ভাড়া পাওয়া যায় ১০০ টাকা নেবে। দুইজন তাতে চড়তে পারবেন (একজন গেলেও তাই)। ৮-১০ কি.মি. ভাঙ্গাচোরা পথ পেরিয়ে প্রায় ২০ মিনিট পর পৌছুবেন বিরিসিরি লেকে । ৩ টার সময় ঢাকা ব্যাক করলে আপনি রাত ১০/১১টায় ঢাকা চলে আস্তে পারবেন ।
তবে আগেই বলে রাখছি রাস্তা খারাপ গিয়ে কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পরবেন । তাই (জারিয়া/জাইরার বাজার) একরাত থেকে পরদিন সকালে ঢাকা ব্যাক করা ।
থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা হলো ইয়ুথ মেন খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বা ওয়াইএমসিএর রেস্ট হাউজ। রাত থাকলে আপনি আস্তে ধিরে বিরিসিরি লেক এবং আরও কিছু প্লেস আছে ওইগুলা ভাল ভাবে দেখতে পারবেন ।

আমি ২০১১ তে গিয়েছিলাম তাই টাকা পয়শা একটু এদিকওদিক হতে পারে ।

বিদ্রঃ কিছু তথ্য গুগল করে পূর্বের পোস্ট সংশোধিত করা হল ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১২

কাবিল বলেছেন: ভাল লাগা রইল।
তবে আরও কিছু ছবি সংযুক্ত করলে পোষ্টটি আরও মাধুর্যপূর্ণ হতো।



ঈদ মোবারক

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

রাহি রাফসান বলেছেন: ইনশাআল্লাহ করব :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.