নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুসাফির

রাহি রাফসান

একজন ফ্রিল্যান্স ফটগ্রাফার যিনি ভ্রমণ করতে ভালবাসে ।

রাহি রাফসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুড়িগ্রাম ভ্রমণ

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

ঘুরে আসি কুড়িগ্রামঃ
দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা
দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু,
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া;
একটি ধানের শিষের উপর একটি শিশির বিন্দু , , ,

দেশের আনাচে কানাচে ঘুরাঘুরি করে অনেক সময় মনে হয়েছে ধুর এইটা তো আমার এলাকায় আছে । এইটা শুধু আমার না আপনাদের সবার মনে হবার কথা । আমাদের নিজজেলায় রয়েছে অনেক সুন্দরসুন্দর যায়গা যা ত্যুরিস্টদের আকর্ষণের কারন হতে পারে । এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমি আমার কুড়িগ্রাম জেলার বর্ণনা দেয়া শুরু করলাম আপনি আপনারটা দিন । :D

অচিনগাছঃ একটি গাছের ঐতিহ্যকে বহন করে একটি এলাকার নাম সর্বত্রে সু-পরিচিত হয়ে উঠেছে। এ এলাকাটি হচেছ- কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার অন্তর্গত চাকির পশার ইউনিয়নের জয়দেব হায়াত মৌজায় কালের সাক্ষী হয়ে ঝোঁপ-জঙ্গলের মাঝে মাথা উঁচু করে বিস্তীর্ণভাবে দাঁড়িয়ে আছে একটি বিশাল আকৃতির এ গাছ। এর এক পৌরনিক কাহিনী ছাড়া গাছটির জন্ম বৃত্তান্ত । পার্শ্ববর্তী বাড়ির নরেন চন্দ্র রায় (৮৫) এর সঙ্গে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমার ৩ পুরুষ পর্যন্ত এ গাছটির বিষয়ে কোন পরিচয় জানেন না। তিনি বলেন, আমি-আমার বাপ-দাদার কাছ থেকে গাছটির বয়স কমপক্ষে ৫শ’ বছর হবে বলে তিনি শুনেছেন। বৃট্রিশ আমলে ‘অচিন গাছ’ হিসেবে গাছটির নাম করণ করা হয়েছে। এর আগে গাছটির শাখা-প্রশাখা বেশ বিস্তীর্ণ ছিল। পার্শ্ববর্তী বাড়িতে এক সময় ওই গাছের ডালপালার জন্য রোদ পাওয়া যেতো না। পার্শ্ববর্তীরা দূর-দূরান্তে ধান-পাট শুকাতো। কালের পরিবর্তে গাছটির বর্তমান শাখা-প্রশাখাগুলো আপনা-আপনি কমে এসেছে। বর্তমানে গাছটি প্রায় ১০ শতাংশ জমির আয়তন ঘিরে রয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে কখনও গাছটির ডাল ভেঙ্গে পড়ার কথা এলাকার লোকজন জানেন না। গাছটিতে পাইকোর গাছের ফলের মতো গোঁটা গোঁটা ফল ধরে এবং এসব ফল পশু-পাখি খায়। ওই গাছটি হতে লাখ লাখ ফল মাটিতে পড়লেও আজ পর্যন্ত ওই ফলের কোন গাছ জন্মায়নি। পূর্বে গাছটিতে বিশাল বিশাল আকৃতির বিষাক্ত শত শত সাপ বসবাস করতো। কিন্তু পার্শ্ববর্তী বাড়ির কোন মানুষের সাপগুলো কখনও কোন ক্ষতি করেননি। প্রতিদিন সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী ও দূর-দূরান্তের সনাতন ধর্মের লোকজন মানত করে গাছটির গোঁড়ায় এসে পূজা-অর্চনা করে দান বাক্সে পূর্ণমনে দক্ষিণা দিয়ে দেন এবং দান বাক্সে লেখা রয়েছে গাছটির পাতা কেউ ছিড়বেন না। সনাতন ধর্মালম্বীরা গাছটি সংলগ্ন একটি মন্দির নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে সনাতন ধর্মের লোকজন জানিয়েছে। বর্তমানে গাছটির অযত্ন, অবহেলা আর রক্ষণা-বেক্ষণের অভাবে এর চারদিকে জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়েছে।মজার ব্যাপার হচ্ছে এর একেকপাশের পাতার আকৃতিও একেক রকম ।কিভাবে যাওয়া যায়: কুড়িগ্রাম থেকে রাজার হাট এরপর আবার রিক্সা বা অটোতে অচিন গাছ যাওয়া যাবে।

চান্দামারী মসজিদঃএ মসজিদের অবসহান কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়নের মন্ডলপাড়ায়। সড়কপথে এটি রাজারহাট উপজেলা থেকে ৪ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবসিহত। তিন গমবুজ ও তিন মিহরাব বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন মোগল আমলের এই মসজিদটির নির্মাণকাল আনুমানিক ১৫৮৪-১৬৮০ খ্রিটাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে। সুলতানী আমলের শিল্প বৈশিষ্ট্য ও মোগল সহাপত্যকলার সমন্বয় ঘটেছে। কিভাবে যাওয়া যায়: বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে কুড়িগ্রাম বাস স্ট্যান্ড এ নেমে অটো রিক্সা যোগে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের কাছে গিয়ে খোঁজ করলে পাওয়া যাবে মসজিদটি
শাহী মসজিদঃকুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলা সদর থেকে ১ কিমি উত্তর-পূর্ব দিকে ব্যাপারীপাড়া শাহী মসজিদ অবসিহত। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৩২ ফুট প্রসহ ১০ ফুট। চারপাশে ৩ ফুট উঁচু প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত । মসজিদের সামনে ৩টি দরজা। একটি সুদৃশ্য প্রবেশ তোরণ, ০২টি মিনার এবং চার কোণায় ৪টি উচুঁ মিনার আছে । এই মিনারগুলোর পাশে আরো ৮টি ছোট মিনার আছে । ছাদের মাঝখানে ৩টি বড় আকৃতির গমবুজ আছে। মসজিদের কোন শিলালিপি নেই তবে মোগল সহাপত্য শৈলিতে নির্মিত মসজিদটি ২০০ বছরের পুরাতন বলে অনুমান করা যায় । মসজিদের সামনে একটি দিঘি আছে ।

সিন্দুরমতির পুকুরঃএ পুকুরের প্রায় ছয় একর জলাভূমি।পুকুর একবার সংস্কার হয়েছিল। সংস্কার কাজে নিয়োজিত দিনমজুরগণ অসংখ্য পুরনো আমলের স্বর্ণমুদ্রা, রাম-লক্ষণের মুল্যবান ধাতব মুর্তি, রৌপ্যমুদ্রাসহ অনেক মুল্যবান জিনিস পায়। যার মুল্য প্রায় কোটি কোটি টাকা হতে পারে।এ পুকুরের বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে সারাবছর কানায় কানায় পানিপূর্ণ থাকে। ভরা বর্ষা ও খরায় এর কোন হেরফের হয়না। চৈত্র-বৈশাখ মাসে যখন চারিদিকের পুকুরের পানি শুকিয়ে যায় তখন এই পানি থাকে কানায় কানায় ভরা। এ সময় এ পুকুরের পানির উপরিতলের সাথে পার্শ্ববতী সমতল ভুমির প্রায় ২৫/৩০উচ্চতার তারতম্য থাকে। হাজার বছর ধরে স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস যে, সিন্দুরমতি পুকুর ও ব্রহ্মপুত্র নদের মধ্যে ভুগভর্স্থ প্রায় ৪০ কিলোমিতার দীর্ঘ একটি গুপ্ত সুরঙ্গ রয়েছে। ফলে এ পুকুরের পানির উচ্চতা সারা বছরব্যাপী একইরকম থেকে যায়। এটা একটি বিস্ময়কর ঘটনা।এই পুকুরের অবস্থান লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর থানা এবং কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানা।রাজারহাট থানা থেকে এর অবস্থান ৪ কি.মি. এবং লালমনির সদর থানা থেকে এর অবস্থান ১৫ কি.মি.। এই পুকুর দুই থানার অন্তর্ভুক্ত। এই পুকুরের পাড়ে প্রতি বছর বিশাল মেলা বসে। হিন্ধু ধর্মালম্বিরা মেলার সময় পাপ মুক্তির জন্য স্নান করে। এই মেলা বসে বাংলা সনের ফাল্‌গুন চৈএ মাসের মধ্যে। এই মেলায় বিভিন্ন ধমের্র লোক আসে এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আসে মেলা শুরুর আগে থেকে। এই মেলার বিশেষ গুন হচ্ছে মেলায় প্রচুর পরিমান মাছ পাওয়া যায়।গ্রাম বাসিরা জানান যে, পুকুরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য তথকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক ত্রাণ ও দূর্যোগ প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু পুকুরের পাড় বিস্তৃত করেন। পুকুরে একটি বিশাল অকৃতির ঘাট নির্মাণ করেন এবং অনেক দেশী-বিদেশী গাছ লাগান। এতে পুকুরে পরিবেশটা অনেক সুন্দর লাগত। গ্রাম বাসিরা আর জানান যে, এখন কোন ধরনের পরিচর্চা না থাকার ফলে গাছ গুলো ধংসের মুখে। গ্রাম বাসির দাবি যে, যাতে সরকার এই পুকুরটিকে অনেক সুন্দর ও দৃষ্টি নন্দন করে তোলে। আর দেশের ঐতিহ্যকে বাচিয়ে রাখে।

চণ্ডী মন্দিরঃ চন্ডিমন্দির কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলা সদর থেকে ৩ কিমি পূর্বদিকে ধামশ্রেণী নামক সহানে অবসিহত। মন্দিরটি মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে (১৬৫৮-১৭০৭) নির্মিত বলে একাধিক ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়। মন্দিরটি দেখতে অনেকটা কালীমন্দিরের ন্যায়। ১৮৯৭ এর ভূমিকম্পে এটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রসহ হয়। এখানে নতুন একটি মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। এখানেই ছিল বাহারবন্দ পরগণার সদর দপ্তর এবং জমিদার ছিলেন রাণী সত্যবর্তী। ধামশ্রেণীতে সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির নামে আরেকটি মন্দির অবসিহত। কিভাবে যাওয়া যায়: দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে কুড়িগ্রাম জেলা বাস টার্মিনালে পৌঁছার পর অটো(ইজি বাইক) যোগে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এসে জিজ্ঞাস করলেই পাওয়া যাবে চণ্ডী মন্দির।

ভেতরবন্দ জমিদার বাড়িঃএই জমিদারবাড়ি কুড়িগ্রাম জেলা সদর থেকে ১৬ কিমি দূরে নাগেশ্বরী উপজেলার ভেতরবন্দ ইউনিয়নের ভেতরবন্দ গ্রামে অবসিহত। ইংরেজ আমলের শুরুর দিকে ভেতরবন্দ গরগণার সদর দপ্তর ছিল রাশাহীতে। চিরসহায়ী বন্দোবস্তের অব্যবহিত পরেই ভেতরবন্দ পরগণার সদর দপ্তর নাগেশ্বরী উপজেলার ঈেতরবন্দে সহানান্তর করা হয় । জমিদারবাড়ির কাঠ নির্মিত বাড়ির অর্ধেকটা এখন আর নেই, বাকি অর্ধেকটা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় হিসাবে ব্যবহ্নত হচ্ছে। কিভাবে যাওয়া যায়: দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে কুড়িগ্রাম জেলা বাস টার্মিনালে পৌঁছার পর অটো(ইজি বাইক) যোগে নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিওনের সামনে এসে জিজ্ঞাস করলেই পাওয়া যাবে ভেতরবন্দ জমিদার বাড়ি।

ধরলানদীঃ ধরলার পাড়ে আসলে সংকীর্ণ মনটার মনে পড়ে যায় সে আকাশ ও নদীর সহজাত।পাশে টি বাঁধ , ধরলা ব্রিজ সবাই আকর্ষণ করে ।কুড়িগ্রাম জেলা বাস টার্মিনালে পৌঁছার পর অটোতে করে সরাসরি যেতে পারবেন ।
সোনাহাট স্থলবন্দর:কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় রয়েছে সোনাহাট স্থলবন্দর, সেখানে শতশত ট্রাকে করে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাথর ও কয়লা আমদানী করা হয়। পথেই রয়েছে বৃটিশ আমলের পাটেশ্বরী/সোনাহাট রেল সেতু। যার উপর দিয়ে কুচবিহার থেকে রেল আসামে যেত। দেশ ভাগ হবার পর বাংলাদেশের প্রায় ১৫ কিঃমি রাস্তা ভারত ব্যবহার করতে না পারায় এখন তাদের কয়েক হাজার কিঃমিঃ পথ ঘুড়ে রেল নিয়ে যেতে হয়। বাংলাদেশের এই রোডের একপ্রান্ত সীমান্তের নাম বাগভান্ডার অপর প্রান্তের নাম সোনাহাট।

ছিটমহল দাসিয়ার ছড়াঃসম্প্রতি ভারতের লোকসভায় স্থলসীমান্ত চুক্তি পাস হয়ে গেল, এর একটি অন্যতম বিষয় ছিটমহল বিনিময়। বাংলাদেশ পেল ১৭০০০ একর জায়গা আর ভারত পেল ১০০০০ একর জায়গা। কী এই ছিটমহল। ছিটমহলবাসীরা কিভাবে পাবে নাগরিকত্ব এবং ছিটের পাশেই কেন কাঁটাতারে ঝুলে রয়েছিল ফেলানীর লাশ। এগুলো জানতে ও দেখতে আসতে পারেন সোনাহাট স্থলবন্দর যাত্রাপথে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার ছিটমহল দাসিয়ার ছড়া । তাঁরা সদ্য স্বাধীন হল, তাঁদের মাটিতে তুলল বাংলার পতাকা।
এছাড়া কুড়িগ্রাম শহরে ভিজিট করতে পারেন 'উত্তরবঙ্গ মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর'। যা কুড়িগ্রামের ফেলানী হত্যা মামলার এ্যাডভোকেট, কুড়িগ্রাম আইন কলেজের অধ্যক্ষ, কুড়িগ্রাম জজ কোর্টের পিপি, জজ কোর্টের সভাপতি, জেলা আওয়ামিলীগের যুগ্ন সম্পাদক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটির সদস্য, বাংলা একডেমির লেখক, কলামিষ্ট, মুক্তিযোদ্ধা গবেষক জনাব এস. এম. আব্রাহাম লিংকন এর বাড়িতে অবস্থিত। এই জাদুঘরটি ভিজিট করে মন্তব্য বহিতে স্বাক্ষর করে হতে পারেন কালের স্বাক্ষী। এছাড়া এই জাদুঘরে দান করতে পারেন যে কারো মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কিংবা তথ্য। এই প্রতিষ্ঠানের তদবিরে রৌমারীর বীর প্রতিক তারামন বিবি কে কুড়িগ্রামে একটি বাড়ি দেওয়া হয়েছে।
চিলমারি বন্দরঃ ওহকি গাড়িয়ল ভাই হাকাও গাড়ি তুমি চিলমারি বন্দর এই গানেই বুঝাজায় একসময় চিলমারি বন্দরের রমরমা অবস্থা । এখন আগের মত নেই । এই ঘাট এখন ব্যাবহার হয় শুধু রউমারি, করতিমারি, এবং রাজিবপুর অঞ্চলে যাতায়াত করারার জন্য । নৌকায় সাধারণত ২ঘন্টা সময় লেগে যায়।কুড়িগ্রাম থেকে রউনা হয়ে ১.৩০ ঘন্টা অট/বাসে জার্নি করে চিলমারি ঘাটে এসে আপনি নদীর বাছা মাছের ঝোল দিয়ে ভাতখেয়ে নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন :D । নৌকা ছারার সময় দুপুর ১২.৩০ টা থেকে ২টার মধ্যে ।

রউমারি রাজিবপুরঃ এ দুটি থানা কে ব্রম্ভপুত্রনদ কুড়িগ্রাম সহর থেকে আলাদা করে দিয়েছে । বিশাল নদি এর মাঝে রয়েছে অনেক সুন্দরসুন্দর চর । শীতকালের আসলে আপনি অসম্ভব সুন্দর ধূধূ বালুচর দেখতে পাবেন । যেখানে ক্যাম্প করে থাকা সম্ভব । জদিও আমি এখনো কাউকে থাকতে দেখিনি । থাকলে মন্দ হবে না । এবং এর সৌন্দর্য কিছু বিখ্যাত চরের সাথেই তুলনা করা যেতে পারে ।রউমারি এবং রাজিবপুরের বর্ডার গুলোর পাশে রয়েছে ইন্ডিয়ার বিশাল বিশাল সব পাহাড় ।
বর্ডারহাটঃ বাংলাদেশে অল্প কিছু বর্ডারহাট গুলোর মধ্যে রাজিপুর সীমান্তেরয়েছে একটি ।পাহাড় এবং নদীর ঠিক মাঝেই এই হাট । সপ্তাহে ২দিন এখানে বাজার বসে । বাজারে প্রবেস করতে হলে আপনাকে পাশ নিতে হবে ।

ট্রিপপ্লানঃঢাকা থেকে রাতে ট্রেনে( লালমনি এক্সপ্রেস)/ বাসে রংপুর কাউনিয়া স্টেসন > রাজারহাট> এখান থেকে আপনি অচিনগাছ সহ অন্যন্য প্লেস গুলো দেখে ৩টার পর চলে আসবেন কুড়িগ্রাম সহরে । ঘোষপাড়াতে হোটেল পেয়ে যাবেন । চেকইন দিয়ে বিকালটা ধরলা নদী । বিকেলটা পার করে দিয়ে চলে আসবেন কালীবাড়ি , এখানের মিস্টি ভাল। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসেকরে চলে আসবেন ফুলবাড়ি উপজেলার ছিটমহল দাসিয়ার ছড়া তে এর পর ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় সোনাহাট স্থলবন্দর সন্দ্যার বাসে আবার কুড়িগ্রাম ফিরে আসবেন। পরদিন সকালে অটতে চরে সোজা চিলমারি ( ভারা ৪০/-)> এখান থেকে নৌকাতে রউমারি/করতিমারি/রাজিবপুর > নৌকা ভারা জন প্রতি ৬০/- > রউমারিতে আসতে আসতে আপনার ২/৩টা বেজে যাবে । এখানে তেমন ভাল হোটেল নেই তাই ডাকবাংলাতে বলে থাকতে পারেন বিকেলে বড়াইবারি বর্ডার ঘুরে আসতে পারেন। পরদিন সকালে চরএলাকা গুলো পরিদর্শন করে দুপুরের পর চলে যান রাজিবপুর বর্ডার হাট> এরপর রাজিবপুর থেকে সরাসরি ঢাকা । রিফাত পরিবহণে শেষ বাস আসে রাত ৯টায় (ভারা ৫৫০/-)।

ঢাকা থেকে জাতায়াতঃ ঢাকা থেকে সরাসরি কুড়িগ্রাম বাসে গেলে শ্যামলি অথবা কল্যান পুর থেকে এস-বি, নাবিল,হানিফ এবং শ্যামলীতে যেতে পারেন, ভাল । যদি রউমারি যেতে চান তাহলে মহাখালী থেকে রিফাত পরিবহণে যেতে পারেন।
যেখানে রাত্রিযাপন করতে পারেনঃ১। হোটেল আকাশ
২। মেসার্স হোটেল ডিকে (আবাসিক) পরিচালনাকারী/মালিকের নামঃ আলহাজ্ব জহুরম্নল হক দুলাল,ঘোষপাড়া,কুড়িগ্রামমোবাইলঃ ০১৭১২১২৩১৭১
৩। মেসার্স হোটেল স্মৃতি (আবাসিক)পরিচালনাকারী/মালিকের নামঃ সেলিনা মাহাবুব,কেন্দ্রীয় বাসটর্মিনাল, কুড়িগ্রাম।মোবাইলঃ ০১৭১৯-০২৮৪১১
৪। মেসার্স হোটেল মেহেদী (আবাসিক) পরিচালনাকারী/মালিকের নামঃ নিলুফার দ্দৌলা,ঘোষপাড়া,কুড়িগ্রাম।মোবাইলঃ ০১৭১১-৩৪৮৯১০
৫। মেসার্স হোটেল আরজি (আবাসিক) পরিচালনাকারী/মালিকের নামঃ মোঃ খায়রম্নল আমিনুল ইসলাম,ঘোষপাড়া, কুড়িগ্রাম।
৬। মেসার্স হোটেল নিবেদিকা (আবাসিক) পরিচালনাকারী/মালিকের নামঃ সুবোধ বণিক,আদর্শ পৌরবাজার, কুড়িগ্রামমোবাইলঃ ০১৭১৭০৫৮২৯৫
৭। মেসার্স হোটেল অর্ণব প্যালেস (আবাসিক) কফিল উদ্দিন আহমেদ (খোকন),কেন্দ্রীয় বাসটর্মিনাল, কুড়িগ্রাম।মোবাইলঃ ০১৭৪০৫৭১০০৬
৮। মেসার্স হোটেল বসুন্ধরা (আবাসিক ) মোবাইলঃ ০৫৮১-৬১৫০৭
৯। মেসার্স মিতা রেস্ট হাউস (আবাসিক) পরিচালনাকারী/মালিকের নামঃ সৈয়দ সাজ্জাদ আলী,সবুজপাড়া, কুড়িগ্রাম।
বিদ্রঃ রাজিবপুর থেকে জামালপুর জেলার শ্রীবরদি থানায় অবস্থিত কিছু দর্শনীয়স্থান যেমন লাউচাপরা/গজনি/মধুটিলা পিকনিক স্পট খুব কাছেই । মটরবাইকে ১ ঘণ্টা অথবা অটতে ২ ঘন্টার মত লাগে । এই স্পট গুলাতে রয়েছে রাবার বাগান আর ছোট ছোট টিলা পাহাড়। যাত্রা পথে পরবে পাথরের চর ।পাথরেরচর ব্রিজ থেকে ইন্ডিয়ান পাহাড় গুলা সুন্দর দেখায়

ধন্যবাদঃ গোল্ডেন বাংলাদেশকে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.