![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চা-বাগানের চারদিকেই ঘন সবুঝ!
এর মাঝেই বসে আছি এক অচীন বৃক্ষতলে।ফাগুনের আগুন লেগেছে গাছে। পাতা ঝরেগেছে তবুও আগলে আছে যেন আমাদের৷
বৃক্ষের দিকে আমি যেমন তাকিয়ে আছি আমার ট্রাভেলার সোহেল ভাই ঠিক তেমনি ভাবে তাকিয়ে আছে।
বয়সে বড় হলেও আমাদের মাঝে ফ্রেন্ডলি সম্পর্ক বিদ্যমান। নিরবতা ভেংগে সোহেল ভাই বলে উঠল "ভাই দেখছেন এই গাছের অবস্থা? নিজের দুঃসময়েও কেমন আমাদের আপন করে রেখেছে। "
আমি বললাম হুম ভাই দেখছি। আপ্নিও তো ভাবিকে আগলে রাখেন। শত কস্টের মাঝে,তাই না?
সোহেল ভাই আকাশের দিকে তাকিয়ে হাসে! কই আর পারলাম। একটা মাত্র ছেলে যে থেকেও নাই।তাদের সাথে দেখা হয় মাঝে মাঝে হাই কোর্টে।
ছেলেটার বয়স মাত্র ৩!কেইস যেভাবে প্রভাবিত হচ্ছে তাতে হয়ত ভবিষ্যতে আমাকে কোন অপরাধী বলেই জানবে।
এই পরিবেশে ভাইয়ের ভারী কথা শুনেই বুঝলাম অজানা কোন কাহিনি আছে। আসলে ট্যুরে এসে অনেকেই বলে যায় তার বুকের ব্যাথা। এত এত লোকের ব্যাথা,মনের কথা শুনে যখন রাতে ঘুমাতে যাই তখন আর ঘুম আসে না। মনে হয় যদি এর চেয়ে অপঘাতে মৃত্যু হত আমাদের মত কাপুরষদের! যারা সুইসাইড করতে পারে না। তাহলে খুশিমনে শিকার করতাম আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন।।
ভাই কে সান্ত্বনা দিয়ে আরেক ঘটনা শুনিয়ে দিলাম। সোহেল ভাই দুঃখ করবেন না। দুনিয়ায় এরচেয়েও অনেক খারাপ ঘটনা ঘটে। ভাল গুলা ভাবুন। যেটা ভাবলে বাচার নতুন অনুপ্রেরণা পাবেন সেটা ভাবুন।
সোহেল ভাই বলে উঠল হ্যা ভাই সেভাবেই বেচে আছি। অথছ আমাদের দুইজন দুইজনকে প্রচন্ড ভালবাসতাম।
এখনো বাসি।
মিস করি তাকে। কতকত সৃতি আমাদের মাঝে।
তবুও কেন যে এত এত প্রাচির মাঝে দাড়িয়েগেছে। আগাতে পাচ্ছি না কেন যেন। কেবল দুরেই সরে যাচ্ছি। সে প্রতিস্টা করছে নারীর অধিকার আর আমি আমার জেদ। অথচ আমি জানি এ জুদ্ধে আমি জিতে গেলেও সেটা আমার পরাজয় কারন এইকারনেই আমার অর্ধাঙ্গিনী পরাজিত হবে। ৩০০ হান্ড্রেড মুভিটা দেখছেন রাহি ভাই?
জি দেখেছি। রানির সম্মান রক্ষার্থে রাজা!
ঠিক তাই। অথচ আমাদের সমাজ ব্যাবস্থা এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে সংসার অধিকার, সংসার রক্ষা নিয়ে তেমন কোন আইন নাই, নাই ফেসবুক গ্রুপগুলোতে চর্চা।
নারীরা আছে তাদের অধিকার রক্ষার গ্রুপে। আমরা আছি তার ঠিক বিপরিত ফেসবুক গ্রুপে।শেয়ালের লেজ কাটা গল্পের মত কিছু ব্যাক্তি বিশেষ যাদের সংসার নাই বা সংসারে মন নাই তারাই গ্রুপ গুলা নিয়ন্ত্রণ করছে । প্রবাহিত করছে ঘটনা জটিলতার দিকে। আর নিজের অর্থ ব্যায় করে লরছি আমরা নিজেদের সাথেই। কতটা হাস্যকর ভাই আমরা।
একটা সময় ছিলো দেশে, যখন মুরুব্বিরা থাকত সংসারের প্রধান হয়ে। সমস্যা তাদের বাইরে কেউ জানতেই পারত না।সমাধান চলে আসত। তারা আবার ছোটখাটো সব বিষয়ে নাকও গলাতে পছন্দ করত না। তারা এই শিক্ষাটা কই থেকে নিয়েছিলো আল্লাহ জানে। আর এখন এই শিক্ষাটাই বা কই হারায় গেল!আরেকটা বিষয়, এই ব্যাপার গুলা আপ্নার বুকেই জমা থাকবে। কারো কাছে বলে হালকা হবেন যদি ভেবে থাকেন তাহলেই মারাত্মক ভুল করবেন। আপন ভেবে নিজের দুঃসময়ের এই কথাগূলো অন্যের কাছে বল্লেন মানেই নিশ্চিত থাকেন যে সে একদিন সুযোগ নিবে। কারন আপ্নার দূর্বলতা সে জেনে ফেলেছে।
সোহেল ভাই তাইলে আর বইলেন না। আমি এমন সুযোগ নিতে চাই না। যা জানি সব ভুলে যেতে চাই। কি হবে এত শুনে, এত জেনে! যদি হজম করতে না পারি।
তা ছাড়া আমার নিজেরো সংসার আছে।নতুন সংসার।এইগুলা বেশি শুনলে ডর লাগে।সংসার থাকলে আদর ভালবাসার পাশাপাশি চিন্তা থাকবে না, ঝগড়াঝাটি থাকবে না! তা হয় না। তবে তার সুন্দর সমাধানও থাকতে হবে ।
সেটাই রাহি ভাই। বাদ দেন। তারচেয়ে চুপ করে দুইজন দুইজনের আনন্দময় দিনগুলোর কথা ভাবি। ছেড়ে দেই প্রকৃতিকে তার গতীর দিকে। মেনে নেই যা হয় হোক!
(লাস্টের কথাগুলি ভাই নিজেকেই নিজে বলেছেন নিরুপায় হয়ে। আমার মানুষকে এমন অসহায় দেখতে খারাপ লাগে তাই উঠে পরলাম। না জানিয়েই হাটতে শুরু করলাম। খুজে বের করলাম চাবাগানের মধ্যে সরু একটা রাস্তা। যে রাস্তার গন্তব্যও ঠিক একই। )
২| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অপূর্ব
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: পর-পর দুইটা পোষ্ট করলেন যে?