![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বড় রাস্থায় ধুলা উড়িয়ে চলে যাচ্ছে বরের গাড়ি।
সেই গাড়িতে বসে বর ভাবছে' বিয়ে তো হয়েয়েই গেল এখন কিভাবে নতুন বউয়ের সাথে কথা শুরু করা যায়?" অনেক্ষন যাবত একই গাড়িতে তারা! কিন্তু কথা শুরুর কোন হেতু খুঁজে পাচ্ছে না। বরং বারবার একটা কৌতুক মনে পরে যাচ্ছে বরের, আর হাসছে মনে মনে।
গল্পটা এইরকম, নতুন জামাই গেছে শশুর বাড়ি।হাবাগোবা টাইপ জামাই। কথা বলার লাইন পাচ্ছে না কোন।কিছু একটা বলে কথা শুরু করা দরকার ভেবে শশুর মশাই কে বলে উঠল " বাবা কেমন আছেন? আপনে কি বিয়া করছেন?!!
যাইহোক আমার শুরুটা যেন এমন আজগুবি না হয় এর জন্য সাবধানতার সাথে পদক্ষেপ নিব এমন প্লান করছি তখন হঠান বউ বলে উঠল গাড়ি থামাও!
কি হলো জিজ্ঞেস করলাম? জবাব দেবার মত অবস্থায় নাই সে । মুখে হাত আরেক হাত দিয়ে আমায় খামচে ধরেছে । দেখে বুঝে নিতে হলো তার গাড়িতে সমস্যা হচ্ছে। যেটা চিন্তায় ছিলো না বা প্রিপারেশনও নেই নাই সেইটাই হলো । বমি করবে বউ!
আমাদের বিয়ে পুরাপুরি এরেঞ্জ মেরেজ বলতে যা বুঝায় তাই ছিলো। বিয়ের আগে একবার পাত্রীকে ফোন দিয়ে হালচাল জানা হয়েছিলো শুধু।
এর পর বিয়ে।
বিয়ের আসর থেকেই টিজিবিয়ান ছোট ভাই ব্রাদাররা ছবি তুলে কাঁপাচ্ছিলও। তাদের আবদার ছিলো জামাই বউ একেঅপরের দিকে তাকাবে।তখন তারা এই পোজে ছবি নেবে!বাট দুজনের লজ্জা যেন যাচ্ছেই না। অনেক চেষ্টা করেও কেও কারো দিকে তাকিয়ে পোজ দিতে পারছিলাম না। কি এক অদ্ভুত ব্যাপার।
তার পর কনে বিদায়ের বেলায় তো সেই কান্নাকাটি শুরু! মেয়ের কান্না দেখে কান্দে বাপ,তা দেখে মা, এর পর ভাই! সবাই কান্নাকাটি শুরু করেছে।
সাথে ছিলো জার্মানি থেকে আসা ক্রিস, সেও দেখি কান্না শুরু করল, এই দেখে আমার বড় ফুঁপিও কান্না। পুরা মহল আমাকে অপরাধী বানিয়ে ফেলল যেন এক মুহূর্তে । সবকিছুর জন্য দায়ী এই জামাই ।
যাই হোক একটা একটা দুরুক্তের মধ্যেই ছিলাম । গাড়ি থেকে নামানোর পর তাহার বমি হইলো । পাশে থাকা আমার বনের পরামর্শে মুখ ধুইয়ে দিলাম , মাথায় হালকা পানি দিলাম। মেকআপ ধুয়ে গিয়েছে । মাস আল্লাহ মেকআপ ছারাও তিনি দেখতে দারুণ । বাট কথা হলো সে আর গাড়িতে চরতে চাচ্ছেই না । নিঃশ্বাসেও সমস্যা হচ্ছে । এমন আগে আমি কখনো দেখি নাই । পেছনে থাকা অটোতে বউ উঠিয়ে নিয়ে গাড়ি ছেরে দিলাম । অটোতে আমি আমার বউ আর আমার ছোট ভাই । রাস্তা বেশি বাকি নাই । এ রাস্তায় আমার ছোট ভাই সাথে থাকলেই এনাফ ।
আমার কাঁধে তাহার মাথা ।হাতের সাপোর্ট ছাড়া থাকতে পারছে না । চুল উড়ে উড়ে লাগছে আমার কপালে।
এত কিছুর মধ্যেও আমার ভালই লাগছে ।
এই শেষ নয় এর পর তাহার অবস্থা আবার খারাপ হয় । অচেনা এক বাড়িতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় খানিক রেস্টের জন্য । সেখানে মানুষের নানা কৌতূহল । আমারা কারা ? সাথে আর কেউ নাই কেন ? জোর করে বিয়ে করছি কি না ? পালিয়ে বিয়ে করছি কিনা ? আমার ছোট ভাই ততক্ষণে ধর্য্য হারিয়ে ফেলেছে , প্রশ্ন করলেই ধমক দিচ্ছে । যেন তার বাড়ি এটা । আমি মাঝে একবার স্মরণ করিয়ে দেই বাবু আমারা কিন্তু কিন্তু ড্যাঞ্জার জায়গায় ড্যাঞ্জার অবস্থায় আছি ।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে । এদিকে বাড়ির সবাই খুবই চিন্তিত ! বরের কার খালি আসছে । বর বউ গেল কই ? মোবাইল ও বন্ধ !
ব্যবসায়ী মানুষ আমি। বিয়ে করতে গেলেও ফোন আসবে মাস্ট ।এর কারণেই আমি ইচ্ছা করেই মোবাইল রেখে গিয়েছিলাম ।
এখন ভালই বিপাকে ।
ইতি মধ্যে বন্ধু বান্ধবরা চলে আসছে খুঁজতে খুঁজতে । অনেকটা অসুস্থ অবস্থায় তাকে নিয়েই বাড়ির পানে যাত্রা করি । বাড়ির কাছে আসতেই দেখি গেট খালি । গেটের সামনে নানা খাবারের আয়োজন । বউ আসবে নানা রেশম পালন করে ঘড়ে যাবে । বাট এখন প্রতিবেশী ছাড়া বাড়ির কাউকে পেলাম না ।
কি আর করা । নিজের দুলহান পাজা কোলে তুলে নিলাম ।
গেটের টেবিল পা দিয়ে ঠেলে বাড়িতে ঢুকলাম ।
আমার বউ নিয়ে এমন এন্ট্রি হবে কেউ ভাবে নাই ।
শারুখ খানের কোন মুভির সিন যেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৫
প্রেক্ষা বলেছেন: গল্প টা শুরুতে ভালোই জমেছিলো কিন্তু শেষ এ এসে খুব তাড়াহুড়ো হয়ে গিয়েছে।বউ এর গাড়ি থামানোর পার্ট এর সাথে পরের অংশ মিলে না।
আশা করি ভবিষ্যতে আরো সুন্দর গল্প উপহার দিবেন।