![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারণ মানুষ।পৃথিবীতে এই অল্প সময় বিচরণে আমি বুঝে গেছি আমার সম্বল একমাত্র আমি। প্রকৃতির মাঝে আমি আমিই। আমার অস্তিত্বও আমি। তাই নিজেকে নিয়ে খেলতেই আমি বেশি পছন্দ করি। মেতে থাকতে চাই যুক্তির খেলা নিয়ে।
সাফল্য,ভাগ্য,প্রতিভা,পরিশ্রম শব্দ চারটি সম্পূর্ণ আলাদা। তাদের উৎপত্তি,ক্রমবিকাশ,অর্থ,প্রয়োগের স্থান আলাদা। কিন্তু বিভিন্ন দিক দিয়ে তাদের অবস্থান আলাদা হলেও একটি ব্যাপারে আমরা শব্দ চারটির একটি প্রয়োগ মূলক দিক দেখতে পাই, যা আমরা প্রায় প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকি। আমরা আমাদের সফলতাকে প্রায়ই প্রতিভা এবং ভাগ্য দ্বারা বিচার করে থাকি। তবে কেউ কেউ মাঝে মাঝে পরিশ্রমকেও বিবেচনায় নিয়ে আসে, যদিও তা খুবই কম। তবে বাইরে থেকে যে যতই কিছু বলুক না কেন, যে সফল হয়েছে সে অবশ্যই পরিশ্রমকে সবার উপরে স্থান দেবে।
আমরা একটি উদাহরণের দিকে লক্ষ্য করি। এটাকে একটি মনের খেলাও বলা যেতে পারে। একটি আপেলের কথা চিন্তা করি। স্বাভাবিক ভাবে একটি আপেলের দুই দিকে কুঞ্চিত স্থান থাকে। বাকি সব দিক থাকে মসৃণ। যদি আমরা আপেলের ভেতরে একেবারে মধ্য স্থানে আপেলের কেন্দ্র বিবেচনা করি তাহলে সেই কেন্দ্র থেকে ঐ দুই কুঞ্চিত স্থানের দূরত্ব হবে আপেলের মসৃণ স্থান সমূহের দুরত্তের চেয়ে কম। এখন যদি আমরা ঐ কেন্দ্র থেকে আপেল পৃষ্ঠে পৌঁছানোকে সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করি তাহলে বুঝতে পারছি যে ঐ কুঞ্চিত স্থান দুটিতে পৌছাতে সবচেয়ে কম সময় ও শ্রম ব্যয় হবে, অপরপক্ষে মসৃণ পৃষ্ঠে পৌছাতে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় ও শ্রম লাগবে।
উপরের উদাহরণটি আমাদের বাস্তব জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। সফল যারা হয় তাদের খুব কমই কম শ্রম ও সময় ব্যয় করে সফল হতে পারে। আপেলের ঐ কুঞ্চিত স্থান সকলের ভাগ্যে নাও জুটতে পারে, সত্য কথা বলতে কি সকলের ভাগ্যে জোটেও না। সকলকে অনেক বেশি পরিশ্রম করে ঐ মসৃণ পৃষ্ঠের সন্ধান করতে হয়।
সেই কুঞ্চিত স্থানের সন্ধান পাওয়া খুবই বিরল, তার জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতা দরকার, যা আমাদের ভাগ্য। তবে আমাদের ভাগ্যে যদি অন্য কিছু লেখাও থাকে তা আমাদের পরিশ্রম দ্বারা পরিবর্তন করা সম্ভব।
পৃথিবীর সমস্ত সফল মানুষদের সফলতার পেছনের গল্পটা শুধুই কঠোর পরিশ্রমের। যারা ব্যতিক্রম তারা তো ব্যতিক্রমই। আমাদের একটা কথা খুব ভালো করে মনে রাখা প্রয়োজন যে, ব্যতিক্রম কখনো উদাহরণ হতে পারে না। কারও যদি মনে হয় তার পরিশ্রম করার প্রয়োজন নেই, ব্যতিক্রমি মানুষদের মতো তারাও কোন এক দিন সফল হবে তবে, তবে তাদের প্রতি আমার একটাই অনুরোধ, তারা যেন শুরুতেই একবার নিশ্চিত হয়ে নেয় যে তাদের সফলতার পথে কোন বাঁধা নেই, এবং ভাগ্য ও প্রতিভা তাদের একদিন না একদিন সফলতার মুখ দেখাবেই।
আমার মনে হয় এই কাজটা পাগল ও বোকা ছাড়া আর কেউ করতে পারবে না।
প্রতিভা ও ভাগ্যের সাথে পরিশ্রমের যথাযথ সমন্বয়ই হল সাফল্য। কপাল ভর্তি ভাগ্য ও মগজ ভর্তি প্রতিভা নিয়ে বসে থাকলে সাফল্য কোন দিনই কাছে আসবে না, বরং দিন দিন দূরে চলে যাবে। তাই সাফল্য কে কাছে রাখার যথাযথ কাজ করতে হবে।
ওজুহাত হচ্ছে বোকাদের তরবারি। যারা বারবার এই তরবারি ব্যবহার করে তাদের মতো বোকা এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই, যদিও তারা তা কোনদিনই বুঝতে পারে না। সুশান্ত পালের এক লেখায় পড়েছিলাম, যারা সফল হয় তাদের ওজুহাত লাগে না, আর যারা ব্যর্থ হয় তাদের ওজুহাত কেউ শোনে না।
“পরিশ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি” কথাটি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে কাজে লেগে পড়া উচিৎ। সাফল্য একদিন আসবেই।
১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৪৯
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার প্রেষণামূলক লেখা। শেষ কথাটাই সার কথা।