নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভালোবাসাহীন জগতের বাসিন্দা, জীবন যেখানে নীরস। প্রতিনিয়ত খুঁজে যাই ভালবাসার রূপ এবং অবগাহন করতে চাই যুক্তির সাগরে।

রায়হানুল এফ রাজ

আমি খুব সাধারণ মানুষ।পৃথিবীতে এই অল্প সময় বিচরণে আমি বুঝে গেছি আমার সম্বল একমাত্র আমি। প্রকৃতির মাঝে আমি আমিই। আমার অস্তিত্বও আমি। তাই নিজেকে নিয়ে খেলতেই আমি বেশি পছন্দ করি। মেতে থাকতে চাই যুক্তির খেলা নিয়ে।

রায়হানুল এফ রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুঝতে পারা নয়, চাই মুখস্ত

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬


বাবা এটা মুখস্ত করেছো? বাবা ওটা মুখস্ত করেছো? ইত্যাদি নানা রকম প্রশ্ন শুনতে শুনতে আমাদের ছোট থেকে বড় হতে হয়েছে। শুধু বাড়িতে নয়, স্কুলেও আমাদের এই সব কথা প্রতিনিয়ত শুনতে হয়। এখন ইঙ্গিনিয়ারিং পড়তে এসে প্রতিনিয়ত গাইতে হয় মুখস্তের গান। শুনলে হয়তো কেউ খুব অবাক হতে পারে আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রায় ৮৫% গনিতসহ সবকিছু মুখস্ত করে। আমার কিছু মেধাবী বন্ধু মেডিকেলে পরে, সত্য কিনা জানি না তাদের সব সময় মুখস্তের উপর থাকতে হয়। অবস্থা এই সব জায়গায় এমন যে বোঝার কোন দরকার নেই, মুখস্ত করো।
সময়ের প্রয়োজনে ছাত্রদের অনেকেই টিউশনি করায়। আমিও একজন ছাত্রকে পড়াই। সে আমার কাছে এক আজব অভিযোগ করেছে। তাকে ক্লাসে খুব অপমান করা হয়েছে। তার প্রথম দোষ তাকে লম্ব অভিক্ষেপ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো সে পুরো ব্যাপারটা মুখস্ত না করে কেন বুঝিয়ে বলল। তার আরও একটি অদৃশ্য দোষ আছে। সেই দোষটি হচ্ছে আমার সেই ছাত্র সেই মুখস্ত প্রিয় মহান স্যার এর কাছে প্রাইভেট পরে না। আমার কাছে সেই প্রাইভেট পরানর ব্যাপারটা আপাতত গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার কাছে এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে না বুঝে মুখস্ত করার বিষয়টা। কবে আমরা এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসব?
আমাদের দেশের কিছু শিক্ষাবিদদের ডেকে এনে সরকার সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ন করল। তাতে কার কি লাভ হল আমি ঠিক জানি না ,তবে একটা কথা বলতে পারি এই পদ্ধতি চালু করার পর অসাধু প্রকাশক ও কিছু কোচিং সেন্টার মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো। সরকার বরাবরের মতো লোক দেখানো অভিযান করল, এবং সেই কারবার এখনো বহাল তবিয়তে আছে। যে মুখস্ত বন্ধ করার জন্য এত কিছু সেই জায়গায় এখন ছাত্রদের আরও বেশি বেশি মুখস্ত করতে হচ্ছে। কারণ, গাইড বই ওয়ালাদের সাথে কিছু শিক্ষকের “মাসতুতো ভাই”য়ের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
যে যত বেশি মুখস্ত করতে পারবে সে তত বেশি সফল। এই রকম সফলতার সিঁড়ি দেখিয়ে আমরা আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতিভা নষ্ট করছি। সরকারের সেই দিকে লক্ষ্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, দেশে যত বেশি শিক্ষিত মূর্খ তৈরি হবে তত বেশি মানুষ ন্যায় প্রশ্ন করার সাহস অর্জন করতে পারবে না। তরুণ সমাজের একটি প্রশ্নের জবাবও সরকারের কাছে নেই।
প্রতিভা ধ্বংসের এই জঘন্য খেলা বন্ধ করার জন্য চাই বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলন।
ছবিঃইন্টারনেট


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

সৌদি প্রবাসী আশরাফ বলেছেন: যথার্থ লিখেছেন...কোন বিষয় না বুঝে কবিতার মতো মুখস্থের কোন মানে নাই...লেখার সাথে একমত।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: লেখা ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের সবারই এই দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করা উচিৎ। ভালো থাকবেন।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছেন, সেজন্যে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বুঝে পড়লেও মাঝে মাঝে কিছু জিনিস মুখস্ত করার প্রয়োজন পড়ে। তবে বুঝে পড়লে সেটা মুখস্ত করাটা সহজ হয়ে পড়ে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২২

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে যে সব জায়গায় মুখস্তের কোন প্রয়োজন হয় না, সেই সব জায়গায়ও আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের মুখস্ত করতে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.