![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারণ মানুষ।পৃথিবীতে এই অল্প সময় বিচরণে আমি বুঝে গেছি আমার সম্বল একমাত্র আমি। প্রকৃতির মাঝে আমি আমিই। আমার অস্তিত্বও আমি। তাই নিজেকে নিয়ে খেলতেই আমি বেশি পছন্দ করি। মেতে থাকতে চাই যুক্তির খেলা নিয়ে।
“আমার দ্বারা আর কিছুই হবে না”, “আমি আর পারছি না”, “আমার কি করা উচিৎ” এমন অসংখ্য প্রশ্ন আমাকে প্রতিনিয়ত শুনতে হয়। মাঝে মাঝে আমি নিজেও অনেকটা বিরক্ত হয়ে যাই এই সব কথা শুনতে শুনতে। তখন আমার নিজেরই মনে হয় আমার কি করা উচিৎ? এত সব সমস্যা কি করে সমাধান করা যাবে? কয়েক দিন আগে আমার পাশের বাড়ির এক ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার তিন দিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। সেই দিনই তার বাবার সাথে আমার দেখা হয়েছিলো। বেচারা ভ্যানচালক বাবা আমার সামনে যে দুঃখ প্রকাশ করেছিলো তা হচ্ছে, ছেলেটা যদি পরীক্ষা দিবে না তবে টাকা খরচ করে কেন ফর্ম ফিলাপ করেছিলো? আমি অনেক অবাক হয়েছিলাম যখন শুনলাম এই টাকা জোগাড় করার জন্য সেই মানুষটিকে রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে ভ্যান চালাতে হয়েছে। আমি আর সেই অসহায় বাবাকে কিছুই বলতে পারি নি। লজ্জা কিংবা অন্য কিছু আমার মাঝে কাজ করেছিলো কি না আমি তা জানি না, তবে একজন বাবার ঘর্মাক্ত মুখ আমার চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল, যা দেখার জন্য আমি সেই সময় প্রস্তুত ছিলাম না। শুধু ভেবেছিলাম সেই ছেলে নিজের কথা ভাবতে না পারে, কিন্তু সে কেন তার পরিবারের কথা ভাবল না?
আমি মনে মনে একটি উত্তর তৈরি করেছি। হয়তো আমি ঠিক হতে পারি বা ভুল। হয়তো ছেলেটি পরীক্ষায় খারাপ করত, কিংবা স্বচ্ছ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বলা যায় সে ভালো ফলাফলও করতে পারত। ফলাফল যাই হোক না কেন এই যে, কোন প্রকার চিন্তা না করেই লড়াই থেকে চলে যাওয়া, নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া, এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে আসলেই আমাদের তরুণ সমাজের উন্নয়ন সম্ভব হবে না।
কোন কাজ শুরু করার আগেই আমাদের মন একটা অঘোষিত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। সেটা হচ্ছে মনে হয় আমি পারব না। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারই ঘটে থাকে। এই কথা যখন মনের মাঝে জোরালো হয়ে আঘাত হানে তখনই সেই কাজ থেকে কেউ একজন আস্তে আস্তে পিছু হটতে থাকে। অবস্থা যদি খুবই খারাপ হয় তবে ক্ষেত্র বিশেষে সেই কাজ একেবারেই হয় না। আমাদের অবচেতন মনের একটি ভুল সিদ্ধান্তের জন্য একটি কাজ হল না। প্রতিনিয়িত এমন অনেক ঘটনা আমাদের চারপাশে ঘটে থাকে। সেই সব কাজ আমাদের ব্যক্তিগত ক্ষতি সাধন ছাড়াও সামাজিক বৃহত্তর ক্ষতি করে থাকে।
আমরা ঠিক যত তাড়াতাড়ি হতাশ হয়ে পড়ি সেই সময়ে যদি পরিশ্রমের ব্রত গ্রহণ করি তবে আমাদের না হওয়া কাজগুলোর হওয়ার পথে আর কোন বাঁধা থাকবে না। আমরা কবির কবিতা পড়ি কিন্তু সেই কবিতা থেকে শিক্ষা নিতে চাই না। আমরা ছোট বয়সে “এক বার না পারিলে দেখ শতবার” কবিতা সবাই পড়েছি, কিন্তু সেই কবিতার শিক্ষা আমাদের কতজনের মাঝে আছে? অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে আমরা হতাশ হতে পারলেই বরং বেশি খুশী হই। আর যাই হোক কাজটা তো করতে হবে না। আমাদের চোখের সামনে সফলতার যে ঝলক কাজ করে সেই ঝলক নিমিষেই শেষ হয়ে যায় পরিশ্রমের কথা চিন্তা করে।
আমি বাক্তিগত ভাবে অনেককেই খুব মজা করে রবার্ট ব্রুস পড়তে দেখেছি। আবার অনেককেই বড় বড় বিপ্লবীর জীবনী কিংবা বিপ্লবী ইতিহাস পড়ে নিজের মাঝে সেই বিপ্লবী ভাব ফুটিয়ে তুলতে দেখেছি, যারা স্বেচ্ছায় গ্রহণ করেছিলো বিপ্লবী বেশ। কিন্তু আফসোস সেই সব তরুণকেই আবার হতাশায় ডুবতেও দেখেছি। একটু খানি পরিশ্রমের ভয়ে তারা অনেক মূল্যবান কিছু হারিয়েছে। সেই তাদেরকেই আবার বলতে শুনেছি, যা হবার নয় তা হয় হয় নি। কিন্তু পরিশ্রমের মাধ্যমে যে সবকিছু অর্জন করা যায়, সেই কথা তারা অন্তরে লালন করতে পারে নি।
সব কিছুর চিন্তা না করে আমরা যদি শুধু মাত্র আমাদের নিজেদের সামগ্রিক উন্নতি করার জন্য কোন রকম অন্যায় কাজ না করে ক্লান্ত কিংবা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাই তবে আমরা নিজেরা যেমন উপকৃত হবো সেই সাথে উপকৃত হবে আমাদের সামাজিক কাঠামো। আমাদের সামাজিক কাঠামোর উন্নয়ন হলেই আমাদের নিরাপদ বসবাস নিশ্চিত হবে, যা সব মানুষের একান্ত কাম্য।
ছবিঃ ইন্টারনেট
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৮
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩
সালমা শারমিন বলেছেন: আমি হতাশ। এবং আমি হতাশই হতে চাই,যাদিও আমি দিনে ১৮ ঘন্টাই পরিশ্রম করি। আমি এ সমাজে মেয়ে হয়ে জন্মেছি তাই আমি হতাশ। কারন আমি আমার নিজের কাছে সারাক্ষন আশার বানী পাঠ করে, রাতে যখন আমার পাশের মানুষটি আমাকে একগাদা নিরাশার কথা আর সীমাবদ্ধতার কথা শোনায় আমি আবার হতাশ হয়ে পড়ি। আমার চোখের সামনে আমার বাবার ঘর্মাক্ত চেহারা আমাকে আরও হতাশ করে দেয়। আমার মায়ের চোখের জল আমাকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় প্রতি মূহূর্তে। ভাই গুলো বাবা মাকে ফেলে চলে গেছে নিজের সংসারে। তাই আমার বাবা মা হতাশ। মেয়েরা শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতিত তাই তারা হতাশ। একবার এসে বাবা মাকে দেখে যাওয়ার অনুমুতি পর্যন্ত পায় না।আমি একজন শিক্ষিত মেয়ে। চাকরি করি। ইচ্ছা করলেই আমি এ শৃঙ্খল ভাঙ্গতে পারি। তাতে কি হবে। আমার সংসারে অশান্তি হবে। হয়তো সংসারটাই থাকবেনা। তাতে হয়তো আমার বাবা মা ই আবার পাড়া প্রতিবেশির ভৎসনা শুনে, আমার উপর ই বিরক্ত হবে। বাবা মাকে ২টাকার ঔষধ কিনে দিতে চাইলে স্বামী বিরক্ত হয়। ছোট ভাগনীটা একটা চিপস চাইলে আমার স্বামী বিরক্ত হয়।দু চার টাকা ইচ্ছা করলেই আমি লুকোতে পারি, কিন্থু আমার ঘেন্না হয়। মাস শেষে বেতনের পুরোটাই যায় তার পকেটে। পাই টু পাই হিসাব দিয়ে প্রতিদিনের হাত খরচ নিতে হয়। যাদিও আমি চাকরিজীবি। তাই আমি হতাশ। আমি হতাশ হয়েই থাকতে চাই। আমি আরোও হাজার বছর হাতাশ হয়েই থাকতে চাই। কারন আমার পায়ে শিকল। এটা ছিন্ন করার শক্তি আমার নাই, অনুমিতিও নেই।তাই আমি হতাশ।এরকম আমার আশে পাশে হাজার মেয়ে হতাশ।কারন আমার পাশের মানুষটিই হল আমার হতাশ হবার নেয়ামক। দেশের অর্ধের জনগোষ্ঠিই আমার মত হতাশ। ইদানিংতো প্রায়শই দেখি একজন ছেলে অন্যজনকে বুদ্ধি দেয় শ্বশুর বাড়ি থেকে যত দুরে থাকবেন, বউ তত ভাল থাকবে। আর মেয়ের বাবা মা হয়তো তির্থের কাকের মত বসে থাকে মেয়ের জামাইরা একটু ফোন করে খবর নিবে। কিন্তু তারা আবারও হতাশ। সাথে আমি হতাশ, আমার পৃথীবি হতাশ, আমার জন্ম হতাশ, মৃত্যু হতাশ, আমার পুরো জীবনটাই হতাশ। অথচ এই আমিই একদিন ছিলাম সুখি মানুষ। কারন আমার পাশের মানুষটাই আমার হতাশ হবার নেয়ামক।
সব হতাশার নেয়ামক ই হল পাশের মানুষ, সমাজ, পরিবেশ। (দুঃখিত, পোস্ট রিলেটেড কমেন্ট না করায়)
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৭
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: আপু আপনার কথার কি জবাব দিব তা আমি ভেবে পাচ্ছি না। তবে আমাদের সমাজ বদলে যাচ্ছে, আশা করি সব কিছুর পরিবর্তন সম্ভব। আপনি ভালো থাকুন এই আশাই করি। সেই সাথে ভালো থাকুক বাংলার প্রতিটি নারী।
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০১
ডার্ক ম্যান বলেছেন: পরিশ্রম করেও আজকাল সফল হওয়া যায় না।
সালমা শারমীন@ আপনি শুধু একতরফা ভাবে পুরুষের দোষ দিয়ে গেলেন। হয়তো সেটা আপনার ব্যক্তিগত জীবন থেকে প্রাপ্ত।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৮
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: আমার শুধু মনেই হয়না আমি বিশ্বাস করি পরিশ্রম অবশ্যই সাফল্য আনবে, দুদিন পরে হলেও।
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
সব ভালো বলেছেন, ছবিটা দেখে ভয় পেয়ে গেলাম।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪১
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। ছবি দেখে কেন ভয় পেলেন তা বুঝতে পারছি না।
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯
সালমা শারমিন বলেছেন: সালমা শারমিন বলেছেন: ডার্ক ম্যান @ আমি এখানে পুরুষ মহিলা কিছুই মিন করিনি। আমি আমার জীবনের কথাই শেয়ার করলাম।আমার কষ্টের কথাই শেয়ার করলাম। এটা আমারই ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা।
তবে ভাই আপনাকে একটা রিকুয়েস্ট, যে কোন কিছুতে সহজেই বিভক্তি অথবা দাগ টেনে দেবেন না দয়া করে।
যেমন: পুরুষ/মহিলা। কারন প্রতিটা জিনিস নিয়েই পৃথিবীটা তৈরি।এগুলো সবই পৃথিবির এক একটা উপাদান। মন্দ ভাল সাদা কাল সব নিয়েই আমরা মানুষ। তাইতো মানুষকে পৃথিবীর সবচেয়ে সারভাইবাল পাওয়ার সম্পন্ন প্রানী বলা হয়।
পুরুষের দোষ নারীর গুণ অথবা নারীর দোষ পুরুষের গুন এগুলো ব্যক্তিবিশেষে আলাদা হয়, জাতিগত ভাবে নয়।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৮
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা দরকার।
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: নিজের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের উপরে আস্থা রাখতে হবে। নিজের দুটো পা, দুটো হাত, দুটো চোখ, বিবেক, বুদ্ধিকে সম্বল করে পরিশ্রম করে গেলে হতাশার কুয়াশা ভেদ করে আশার আলো প্রবেশ করবে।
সালমা শারমিন এর মন্তব্য পড়ে মনে হলো, উনি কোন কারণে ডিপ্রেশনে ভুগছেন। তিনি একটু চেষ্টা করে "পাশের মানুষটার" সাথে আরেকটু সমঝোতার সাথে চলা যায় কিনা তা পরখ করে দেখতে পারেন। পৃথিবীতে মায়ার বড় অভাব। একে অপরের সাথে একটু মায়া করে চললে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে। দুনিয়াটা মাত্র দু'দিনের। যেদিন যেকোন একজন চলে যাবে, সেদিন সমঝোতার সকল পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। এতে হতাশা কাটবে, নাকি আরো গভীর হবে, তা ভাবার বিষয়।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০১
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: কিন্তু কিছু সময় আমাদের অবচেতন মন আমাদের ঠিক সেই ভাবে ভাবতে দেয় না। কিছু বিশেষ মুহূর্তে তা হয়েই যায়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২২
অ্যালেন সাইফুল বলেছেন: চমৎকার!