![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারণ মানুষ।পৃথিবীতে এই অল্প সময় বিচরণে আমি বুঝে গেছি আমার সম্বল একমাত্র আমি। প্রকৃতির মাঝে আমি আমিই। আমার অস্তিত্বও আমি। তাই নিজেকে নিয়ে খেলতেই আমি বেশি পছন্দ করি। মেতে থাকতে চাই যুক্তির খেলা নিয়ে।
এক
বেঁটে কালো মোটা মানুষটা কারো ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য নয়।
তারপরও ক্ষুদ্র মন নিয়ে কোন একজনকে অপরিনামদর্শী ভালোবাসার পর নিজের অজান্তেই হটাৎ ভেবে বসে কিভাবে অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করবে সে?
তার কি অধিকার আছে যে মেয়েটিকে বিয়ে করবে সেই নিষ্পাপ মেয়েটির সাথে প্রতারণা করার? এক মন নিয়ে দুজনকে ভালোবাসবে কিভাবে সে?
প্রশ্নগুলো বারবার খোঁচা দেয় , সেই বেঁটে কালো মোটা মানুষটাকে। মুন্না আর কিছু ভাবতে পারে না। তার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে, নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ মনে হয়। এই মুহূর্তে সে নিজের মনের বিরুদ্ধে যে কাজটি করতে যাচ্ছে সেই কাজটি করা আদৌ ঠিক হবে কি না সে বুঝতে পারছে না। নিজেরই প্রতিবাদী সত্ত্বা টাকে বার বার বলছে, মুন্না এই ভুল করিস না। তুই পারবিনা। তোকে অনেক কষ্ট পেতে হবে।
মুন্না ফ্লোর থেকে উঠে দাঁড়ায়। বাথরুমে যেতে হবে। মুখে পানি দিতে হবে। সেই ছোট বেলা থেকে এই অভ্যাস হয়েছে তার। কোন অতিরিক্ত চাপ নিতে পারেনা সে। সে কারণেই অনেক সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে তার ।
মুন্না কোন রকম উঠে বাথরুমের দিকে যায়।
দুই
লোকজনে মুন্নাদের বাড়ি গিজগিজ করছে। ঘটনা তেমন কিছুই নয় আজ মুন্নার বিয়ে। মুন্না কোন ভাবেই বুঝতে পারছে না তার কি করা উচিৎ। একবার ভেবেছে আত্মহত্যা করবে, পরোক্ষণেই মায়ের কথা ভেবে সেই কাজ করতে পারে নি। আবার অন্যদিকে সেই নিষ্পাপ মেয়েটির কথাও ভাবাচ্ছে তাকে। মেয়েটি হয়তো এক বুক স্বপ্ন নিয়ে তাকিয়ে আছে। কি করবে সে?
বিছানায় শেরওয়ানী রাখা। খয়েরী রঙয়ের। এই রং টা মুন্নার যে খুব প্রিয় তা নয়, মুন্না শুনেছে মেয়েটির পছন্দেই এই শেরওয়ানী কেনা হয়েছে। কি যেন নাম মেয়েটির? মুন্নার মনে পড়ছে না। মুন্না মাথায় হাত দিয়ে বসে পরল শেরওয়ানীর পাশে। একটু পর যে মেয়েটির সাথে বিয়ে হতে যাচ্ছে সে মেয়েটির নাম মনে করতে পারছে না মুন্না। অথচ একদিন দিব্যি দেখা করেছে তারা এবং অনেক কথাও হয়েছে তাদের মধ্যে। মাথা পুরোই নষ্ট হয়ে গেছে। মুন্না শেরওয়ানী হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ সেটির দিকে তাকিয়ে থেকে পরে ফেলল। আয়নায় নিজেকে দেখার কোন ইচ্ছা হচ্ছে না তার। তবুও সে আয়নার দিকে তাকাল। কেন তাকাল সে নিজেও জানে না। জীবনের এই অবস্থায় এসে এমন কিছু না জানলেও চলে। তার জন্য আফসোস করার কিছু নেই। জীবন যেমন চলছে ঠিক তেমনই চলবে। হটাত জীবনকে কঠিন করে থামিয়ে দিয়ে কি লাভ?
চলবে.......
আর এফ রাজ
ঝিনাই-কুঁড়ির পাড়, পঞ্চগড়
©somewhere in net ltd.