নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভালোবাসাহীন জগতের বাসিন্দা, জীবন যেখানে নীরস। প্রতিনিয়ত খুঁজে যাই ভালবাসার রূপ এবং অবগাহন করতে চাই যুক্তির সাগরে।

রায়হানুল এফ রাজ

আমি খুব সাধারণ মানুষ।পৃথিবীতে এই অল্প সময় বিচরণে আমি বুঝে গেছি আমার সম্বল একমাত্র আমি। প্রকৃতির মাঝে আমি আমিই। আমার অস্তিত্বও আমি। তাই নিজেকে নিয়ে খেলতেই আমি বেশি পছন্দ করি। মেতে থাকতে চাই যুক্তির খেলা নিয়ে।

রায়হানুল এফ রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি ছিল আনান কমিশনের রিপোর্ট ও সুপারিশ?

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬



মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর সেই দেশের সেনাবাহিনী ও সরকারের অত্যাচার দিন দিন চরম হওয়ার কারণে বিশ্ব নেতাদের আবদারে একটি কমিশন গঠন করা হয়।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরের অফিস ও কফি আনান ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ে আনান কমিশন গঠিত হয়েছে। এর ব্যয় যৌথভাবে সহায়তা দিচ্ছে মিয়ানমার সরকার এবং ডেনমার্ক নরওয়ে ও সুইডিশ সরকারের একটি দাতব্য ফান্ড। কমিশন গঠনের শুরুতে শর্ত দেয়া হয়েছে প্রদত্ত পরামর্শ বাস্তবায়নের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকতে পারবে না মিয়ানমার সরকারের ওপর। কমিশন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে সদস্য নেয়া হয়েছে এই কারণে যে তাদের অঞ্চলে সৃষ্ট একই ধরনের অভিজ্ঞতাকে যাতে কাজে লাগানো যায়। অন্যথায় বাইরের সদস্যদের কোনোভাবে মেনে নিতে চাচ্ছিল না প্রভাবশালী সামরিক জান্তা। তার ওপর এর নাম দেয়া হয়েছে অ্যাডভাইজরি কমিশন। অ্যাডভাইজরি কমিশন রাজ্যের শান্তি সমৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করবে। কমিশন জনগণের পক্ষ হয়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না।
অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন প্রকাশের সময় কফি আনান জানান, কমিশন তাদের কাজের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেছে। ইন্দোনেশিয়া থাইল্যান্ড সরকারের সাথে কথা বলেছে। এর সাথে সংশ্লিষ্ট নিউ ইয়র্ক ও জেনেভায় অবস্থিত অফিসেও তারা কথা বলেছে। এই প্রতিবেদনে প্রয়োজনীয় সব ইস্যুর সমাধান করা হয়নি। এগুলো কমিশনের কার্যক্রমের প্রাথমিক প্রস্তাবনা। বছরের শেষের দিকে প্রধান পরামর্শসহ চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। কমিশনের সদস্যদের কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন, যা স্টেট কাউন্সিলর নির্ধারণ করে দিয়েছেন। প্রতিবেদন প্রকাশের সময় মিডিয়াকে দেয়া আনানের বক্তব্যে এ কাজটি কতটা আন্তরিকতা নিয়ে করা হয়েছে তা প্রকাশ পেয়েছে, একইভাবে সু চির বেঁধে দেয়া সীমার মধ্যে থেকেই যে এ কাজ তিনি করেছেন সেটাও নিশ্চিত করেছেন।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরের অফিস থেকে কমিশনকে প্রথমেই কার্যক্রমের আওতা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সেটা হচ্ছে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার উৎস চিহ্নিত করবে এই কমিশন। অন্যটি হচ্ছে বাস্তুচ্যুতি এবং অনুন্নয়নের চিত্র তুলে ধরবে। ঠিক বেঁধে দেয়া এ কাজটি করতে গিয়ে কমিশন মানবিক ইস্যু, জীবনযাত্রার ধরন, স্বাস্থ্যসেবা নেয়ার সুযোগ, শিক্ষার সুযোগ, জীবন ধারণের সুযোগ, নাগরিকত্ব মর্যাদা, চলাফেরার স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা বিবেচনায় নিয়েছেন। এগুলো বেঁধে দেয়া এ সীমার মধ্যেই পড়েছে।
পাঁচটি ক্যাটাগরিতে কমিশন তাদের প্রাথমিক প্রস্তাবনা দিয়েছে। প্রধানত দ্বন্দ্ব নিরসন, মানবিক সহায়তা দান, সৌহার্দ্য স্থাপন করার মাধ্যমে রাখাইনের উন্নয়ন করা এর লক্ষ্য। প্রথম প্রস্তাবে তারা বলেছে, রাখাইনের সব এলাকায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর অনুমতি দেয়া উচিত। সহিংসতার শিকার কোনো সম্প্রদায় যেন পর্যাপ্ত ত্রাণ থেকে বঞ্চিত না হয়। সহিংসতা আক্রান্ত সব এলাকায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সব মিডিয়াকে প্রবেশাধিকার দেয়া উচিত। মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিত। কমিশনের এই প্রস্তাবনা স্পষ্ট করে বলে দেয় সেখানকার পরিস্থিতি গুরুতর। মানবাধিকার রক্ষার কোনো বালাই সেখানে নেই। নেই কোনো মানবাধিকার কর্মী। এমনকি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদমাধ্যমেরই সেখানে প্রবেশাধিকার না থাকার বিষয়টি প্রতিবেদনে দেয়া পরামর্শ থেকে স্পর্শ করে বোঝা যায়।
বাস্তুচ্যুত মানুষের পুনর্বাসন কিভাবে হতে পারে সেই পরামর্শ রেখেছে কমিশন। বাড়িঘর থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে দেয়া কতটা অন্যায়; তাদের আবার পুনর্বাসন কতটা জরুরি এ বিষয়ে কমিশন কোনো মন্তব্য করেনি, বরং উচিত কর্মগুলো কিভাবে সম্পাদন করা যায় নমনীয় শব্দ প্রয়োগ করে সে কাজে উৎসাহিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শরণার্থীরা ফিরে এলে তারা নিজেদের যেন ঝুঁকিমুক্ত দেখতে পায়। যাদের বাড়িঘর ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে তাদের জন্য আপাত নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করা। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে নিজের নাগরিকদের অস্বীকার করা। শত শত বছর ধরে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা। কমিশন বলেছে, নাগরিক হিসেবে যাদের পরিচয় সন্দেহাতীত তাদের সব সুযোগ সুবিধা অধিকার ও স্বাধীনতার আয়োজন রাখা উচিত। অন্য দিকে যাদের নাগরিকত্ব যাচাই করতে হবে তাদের জন্য জরুরিভিত্তিতে সময়সীমা বেঁধে কৌশল নির্ধারণ করা উচিত। এ কৌশল হওয়া উচিত স্বচ্ছ, দক্ষ এবং সেখানে বসবাসকারী হিসেবে সঠিক তথ্য-উপাত্তের ওপর ভর করে।
এ কৌশল নির্ধারণে রাখাইন ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের সাথে আলোচনা করে নিতে হবে। ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে এ কাজটি করতে হবে, যাতে সবার কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে। নাগরিকত্ব যাচাইয়ের দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ের ক্লিয়ারকাট সময়সীমা থাকতে হবে। শিশু এবং উত্তরাধিকারীদের ব্যাপারে ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড প্রক্রিয়ায় যাওয়া উচিত নয়। মিয়ানমারে বসবাসকারী হিসেবে যাচাই না করা ব্যক্তিদের এ কার্ড দেয়া হয়। কোনো ব্যক্তিকে নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট দেয়ার প্রক্রিয়ায় এটি একটি প্রাথমিক পর্যায়। শত শত বছর ধরে একটি এলাকায় বসবাসকারীদের যদি নাগরিকত্ব যাচাইয়ের আওতায় নেয়া হয়, সেটা কোনোভাবে ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আনান কমিশন এ কথাগুলো তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। নাগরিত্ব যাচাই করার ব্যাপারে কমিশনের প্রতিবেদনে আরো বিস্তারিত প্রস্তাবনা রাখা রয়েছে। মুসলিম বসবাসকারীদের সাথে সরকার ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের সম্পর্ক কোন পর্যায়ে রয়েছে তার ইঙ্গিতও এই প্রতিবেদন থেকে বোঝা যায়। প্রতিবেদনে পরামর্শ রাখা হয়, জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যের মুসলিম বসবাসকারীদের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টির জন্য। সরকারকে এ কাজটি অগ্রণী হয়ে করতে উৎসাহিত করা হয়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠদের গ্রামে তাদের নিজেদের থাকার অনুমতি দেয়া এবং নিজেদের জনগণের ওপর প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেয়া উচিত বলেও মন্তব্য করা হয়। মুসলিমদের বঞ্চনার চিত্রটা কত দূর এ পরামর্শ থেকে অনুমান করা যায়।

সূত্রঃ ১। ইন্টারনেট
২। জসিম উদ্দিন(নয়া দিগন্ত)
৩। সংবাদ মাধ্যম

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪

মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী বলেছেন: Click This Link

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: কি বোঝাতে চেয়েছেন???

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মগের মুল্লুকের লোকজন বিনা বিচারে পার পেয়ে গেছে সব সময়ে, কারো কথা শোনেনি কোনদিন

২১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩২

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: একদিন ঠিকই গলায় পা পড়বে। সেদিন আর রক্ষা পাবেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.