![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারণ মানুষ।পৃথিবীতে এই অল্প সময় বিচরণে আমি বুঝে গেছি আমার সম্বল একমাত্র আমি। প্রকৃতির মাঝে আমি আমিই। আমার অস্তিত্বও আমি। তাই নিজেকে নিয়ে খেলতেই আমি বেশি পছন্দ করি। মেতে থাকতে চাই যুক্তির খেলা নিয়ে।
জাপানী সম্রাট হিরোহিতো বাঙ্গলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বলেছিলেন, ‘যতদিন জাপান থাকবে, বাঙালি খাদ্যাভাবে, অর্থকষ্টে মরবেনা। জাপান হবে বাঙালির চিরকালের নিঃস্বার্থ বন্ধু’! এটি শুধু কথার কথা ছিলো না, তার প্রমাণ আমরা এখনো দেখতে পাই। জাপান এখনো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নিঃস্বার্থ বন্ধু। সব রকম বিপদে আপদে জাপান সব সময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে।
কিন্তু কেন জাপান এতো সাহায্য করে আমাদের!
জাপানিদের উচ্চাশা ছিল পশ্চিমাদের মত এশিয়াতে তারা নিজেদের কলোনি গড়ে তুলবে। এ নেশায় তারা বিভিন্ন দেশে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে শক্তি প্রদর্শন করে নিজেদের দখলে নিতে শুরু করে। আমরা এখন জাপানকে যতোটা সভ্য জাতি হিসেবে দেখি তখনকার জাপান ছিলো এর ঠিক বিপরীত। ফলস্রুতিতে দখলদারিত্ব বজায় রাখার জন্য তারা তাদের চূড়ান্ত হিংস্রতা দেখিয়েছিলো।
জাপানীরা তাদের উচ্চাশা অনুযায়ী ১৯৩৭ সালে নানকিং রাজ্যে যার বর্তমান নাম নানজিং এ চাইনিজদের রীতিমত কচুকাটা করেছিলো। খুন, ধর্ষণ মিলিয়ে এমন নৃশংসতা খুব কমই দেখেছে বিশ্ব। (একটি মর্মস্পর্শী মুভি আছে এই গণহত্যা নিয়ে। যার নাম The Flowers of War) যদিও জাপানীরা এর আগে ও পরে লাখে লাখে মরেছে-মেরেছে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হেরে যাওয়া জাপান বাধ্য হয়ে রক্তের নেশা ছেড়ে জাতি গঠনে মনযোগ দিয়েছিলো। যার ফলাফল, আজ তারা পৃথিবীর অন্যতম সভ্য জাতি।
জাপানিদের দ্বারা হওয়া সকল বর্বরতার বিচারের জন্য গঠিত হয় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল এর ‘টোকিয়া ট্রায়াল’। ১১ দেশের ১১ জন প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত হয় টোকিও ট্রায়াল। সেই দলে একজন ছিলেন বাঙ্গালি বংশোদ্ভূত। কুষ্টিয়ায় জন্ম নেওয়া এই বাঙালি বিচারপতির নাম “রাধা বিনোধ পাল”। তারই প্রজ্ঞা আর দৃঢ় কৌশলগত কারণে জাপানিরা বেঁচে যায় অনেক বড় ক্ষতির হাত থেকে। জাপানিরা যা করেছিলো, তার পেছনে অল্প কয়েকজন মানুষের হাত থাকলেও মিত্র শক্তি চেয়েছিলো পুরো জাতিকেই এর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিতে যেটি রাধা বিনোধ পালের কারণে সম্ভব হয়নি।
ফলে বড় ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যায় জাপান। সেই ঘটনার কৃতজ্ঞতা জানাতেই আজ পর্যন্ত জাপান অকৃত্তিম বন্ধু হয়ে আছে বাংলাদেশের।
স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য জাপান সহায়তা দিয়ে আসছে। ১৯৮০ সালের শেষ দিক থেকে বাংলাদেশকে দ্বিপক্ষীয় সহায়তা দানকারী দেশগুলোর মধ্যে জাপান সর্বোচ্চ দাতা দেশ। জাপানের সহায়তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ যমুনা সেতু। যমুনা সেতু ১০০ টাকার নোটে স্থান করে নিয়েছে। আমি আনন্দিত যে যমুনা সেতু জাপান-বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতার নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের মনে ঠাঁই করে নিয়েছে। জাপান ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাবে। বিশেষ করে, জ্বালানি খাতসহ অন্য যেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বর্তমানে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রয়েছে, সেই সব ক্ষেত্রে জাপান সহযোগিতা জোরদার করার আশা রাখে।
কে এই রাধা বিনোদ পাল?
সেই বিস্মৃত বাঙালির বিচারপতির নাম রাধা বিনোদ পাল (১৮৮৬-১৯৬৭)। তিনি ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক। এছাড়াও জীবদ্দশায় অনেক বড় বড় দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তিনি পড়াশোনা করেছেন কুষ্টিয়ায় নিজ গ্রামের স্কুলে, রাজশাহী কলেজে ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
তিনি কর্মজীবন শুরু করেন ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের প্রভাষক হিসেবে। কিছুদিন ময়মনসিংহ কোর্টে আইন ব্যবসাও করেছিলেন।
টোকিও ট্রায়াল (Tokyo Trial) নামের সিরিয়ালে রাধা বিনোদের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ইরফান খান। রাধা বিনোদ পাল ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য খুলে দেয়া এক জানালার নাম।
কুষ্টিয়ায় জন্ম নেয়া সেই বাঙালি বিচারকের নাম এখনো জাপানি পাঠ্যপুস্তকে পাঠ করা হয়। তাঁর নামে জাপানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেশ কিছু মেমোরিয়াল ও মনুমেন্ট।
আমাদের স্বভাববশত এই মেধাবী বাঙালিকে আমরা কেউই মনে রাখিনি। বাঙালির মেধাগত বীরত্বে আর পৃথিবী জয়ের এমন চমৎকার অধ্যায় জানে খুব অল্প মানুষ!
© রায়হানুল ফেরদৌস রাজ
ঝিনাই-কুঁড়ির পাড়
পঞ্চগড়।
ছবি ও তথ্যঃ ইন্টারনেট।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০২
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: এমন অনেক মহান কিন্তু নাম না জানা বাঙ্গালী আছেন, কিন্তু উনাদের অবদান আমরা জানিই না।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৮
অভি চৌধুরী বলেছেন: অনেক কিছুইতো জানিনা দেখছি,
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩০
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
তবে আমাদের নিজেদেরই এই সব জানা উচিৎ।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫১
একাল-সেকাল বলেছেন:
বাংলাদেশ এবং এর জনগণের প্রতি জাপানিদের আগ্রহ বেশি হওয়ার পিছনে অনেক কারনের প্রথমটি হলো নৃতাত্ত্বিক। বাংলাদেশের উপজাতীয় সম্প্রদায়ের মুখনিঃসৃত ভাষা এবং তাদের শারীরিক আকার-আকৃতির সঙ্গে জাপানিদের কিছু মিল লক্ষ করা যায়।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৪
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: সেটা একটা কারণ হতে পারে। কিন্তু বৃহৎ পরিসরে এটাকেই তারা বড় মনে করে।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৮
একাল-সেকাল বলেছেন: সর্বোপরি দুই দেশের মধ্যে মেলবন্ধনের পিছনের নায়ক দের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাসবিহারী বসু, নেতাজি সুভাসচন্দ্র বসু, বিচারপতি রাধাবিনোদ পাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তাকেশি হায়াকাওয়া প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।
তবে দুই দেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনের মধ্যে লাল বৃত্ত টা দিয়ে সূর্য কে বুঝানো হয়েছে। বাকিটা কাকতালীয় ভাবেই মিলে গেছে।
মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময় জাপানের শিক্ষার্থীরা তাদের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৪
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: পারস্পরিক এ সহযোগিতা টিকে থাকুক অনন্তকাল।
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৯
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: একদম অজানা এই মূল্যবান তথ্যটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ !
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২১
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে প্রীত হলাম। শুভকামনা রইলো।
৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: জাপান ভালো থাকুক।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৪
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: জয় হোক মানবতার।
৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমি জাপান ছিলাম একমাস, তাও জাপান সরকারের আমন্ত্রনে ঘুরে বেড়ালাম,
...............................................................................................................
তখন অনেক বিষয় আমাকে অবহিত করেছে , বাংলাদেশের কৃষি ও দারিদ্র বিমোচনে
তাদের বিনিয়োগ ও ইচ্ছা সমূহ প্রকাশ করেছে, তখন আমি লেখা লেখি করতামনা বা নোট
রাখতাম না । তাদের আতিথেওতা আমাকে মুগ্ধ করেছে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১১
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: বন্ধুত্ব তো এমনই হওয়া উচিৎ।
৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাঙালি বিচারপতি রাধা বিনোধ পাল সম্পর্কে সম্ভবতঃ এই ব্লগেই আমি সর্বপ্রথম বছর দেড় দুই আগে কোন একটা লেখা পড়েছিলাম। এর আগে আমি তার সম্বন্ধে কোন কিছুই জানতাম না। আজ আপনার এ লেখাটা পড়ে পুনয়ায় তার সম্বন্ধে জানা হলো। ধন্যবাদ, বিষয়টিকে পাঠকদের গোচরে আনার জন্য, অনেক পাঠকই এ বিষয়ে প্রথম জানবেন বলে আশাকরি।
এ ছাড়াও, ১৯৭৭ সালে জাপান এয়ারলাইন্স এর একটি ছিনতাইকৃত বিমান ঢাকায় নিয়ে আসা হলে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার যেভাবে পরিস্থিতি সামলেছিলেন, তাতেও জাপান সরকার ও জনগণ খুব খুশী হয়েছিলেন। তার পরে পরেই জাপানীরা ঢাকায় বিদেশী অতিথিদের থাকার জন্য তখনকার বিবেচনায় অত্যাধুনিক প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁও নির্মাণ করে দিয়ে যায়।
একাল-সেকাল এর মন্তব্যদুটো ভাল লেগেছে।
পোস্টে তৃতীয় প্লাস +
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১২
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শ্রদ্ধেয় প্রয়াত রাধাবিনোদ পাল সম্পর্কে আগে থেকেই জানা ছিল। তাঁর সম্মানে জাপানীদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ঐতিহাসিক ঘটনা আরো বেশি বেশি প্রচারিত হওয়া উচিৎ।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৪
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: জয় হোক মানবতার।
ইয়েস।
এবং ধর্মওয়ালাদের বুঝতে হবে ধর্মের চেয়ে মানবতা বড়।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৫
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ধর্মেও কিন্তু মানবতার কথা বড় হিসেবেই দেখা হয়েছে।
১১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: একাল-সেকাল ও খায়রুল আহসান সাহেবের মন্তব্য খুবই চমৎকার হয়েছে যদিও আমি এই বিষটি অনেক আগেই পড়েছিলাম কিন্তু প্রায় ভুলতে বসেছিলাম যাহোক আবারও তা মনে হয়ে গেল।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৬
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: এমন মানুষদের কথা আমাদের সব সময় মনে রাখা উচিৎ।
১২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্ট টির জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৭
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: স্বাগতম নূর ভাই।
১৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৮
টারজান০০০০৭ বলেছেন: রোর বাংলায় রাধার উপরে একখানা আর্টিকেল আছে , পড়েছি !
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে একখানা কথা চালু আছে ! বদ খাসলতের শিক্ষকগুলো জাপানে গবেষণা করিতে গেলেই ভালো ! অন্ততঃ ব্যবহারটা শিখিয়া আসে !!
কোন রাষ্ট্রই অন্য রাষ্ট্রের চিরকালীন বন্ধু হয় না ! হ্যা, ধর্ম , ভাষা , সংস্কৃতি ,ইতিহাস এক বা কাছাকাছি হইলে বা বাণিজ্য সম্পর্কের কারণে রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দীর্ঘকালীন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়িয়া তুলিতে পারে !
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মারা খাইয়া মিত্রশক্তির কঠিন শর্ত মানিতে হওয়ায় জাপানের ভেজা বেড়াল হওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না ! তাই তাহাকে জাতিগঠনে সর্বশক্তি নিয়োগ করিতে হয় ! তা জাপান জাতিগঠন করিয়াছে বটে ! তবে অন্তরে উগ্র জাতীয়তাবাদ ত্যাগ করিয়াছে তাহা বলা যাইতেছে না ! মাঝে মাঝেই তাহাদের নেতাদের কোরিয়া ও চীনে তাহাদের অতীত অপকর্ম অস্বীকার করিতে দেখা যায়। সম্প্রতি সশস্ত্রবাহিনীও বৃদ্ধি করিতে দেখা যাইতেছে !! অতীতের জাতীয়তাবাদ আবার মাথা চাড়া দিতেছে !!
রাষ্ট্র কখনও স্বার্থ ছাড়া কিছু করিতে চাহে না ! জাপানিদের বাংলার প্রতি এতো রহমের কারণ কি ? হ্যা রাধা বিনোদ একখানা কারণ হইতে পারে ! কারণ তাহার কারণে জাপানি সম্রাট সহ জাপান রাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অপরাধে ব্যাপক মারা খাওয়া হইতে অনেকখানিই বাঁচিয়া গিয়াছে ! দ্বিতীয়ত অর্থনৈতিক সাম্রাজ্য, বাজার প্রতিষ্ঠা !! সামরিকভাবে ব্যর্থ হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে যখন পরাশক্তি হইয়া উঠিল তাহাদের কৌশলের পরিবর্তন হইলো ! অর্থ ও টেকনোলজি দিয়া তাহারা এশিয়ায় প্রভাব বিস্তার করিতে চাহিল ! যাহার ফলে বাংলার প্রতি তাহাদের আগ্রহ চরমে !
আরেকটি বিষয় বাংলাদেশের শ্রমশক্তি ! জাপান এখন বাংলাদেশ হইতে শ্রমশক্তি লইতেছে ! তাহাদের জনসংখ্যা মাইনাস ! সুতরাং তাহাদের লোক লাগিবে ! বাঙালি নিজেদের দেশে, কমিউনিটিতে নিজেদের ইয়ে মারিতে পারঙ্গম হইলেও বিদেশে তাহাদের মতন সাধু আর কেহ হৈতারেনা !
তবুও উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে এখনপর্যন্ত জাপান সবচাইতে ভদ্র, বাংলাদেশের বন্ধু ! কিন্তু বড় বড় প্রজেক্টগুলো জাপান পাইতেছে না ! চীনের কাছে হারিতেছে !
উল্লেখ্য , রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপান বার্মাকে সমর্থন করিয়াছে !!!
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৯
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের অনেক কাছের প্রতিবেশী যেখানে আমাদের পাশে নেই সেখানে জাপানের কাছে সব চাওয়াটা বোকামি নয় কি?
১৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুচিন্তিতভাবে মনোভাব প্রকাশ,ভালোই । ♥♥
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৯
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর একখান ইতিহাস জানা হলো।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২০
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪১
ঘুটুরি বলেছেন: দারুন কিছু তথ্য জানা হোলো। ধন্যবাদ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২০
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: স্বাগতম।
১৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩
অক্পটে বলেছেন: অনেকদিন পর একটা লেখা পড়লাম যা পড়ে অজানা অনেকগুলো বিষয় জানতে পারলাম। ভাল লাগল। আপনাকে ধন্যবাদ। একাল-সেকাল, টারজান০০০০৭ ও খায়রুল আহসান সাহেবের মন্তব্য এই লেখাটিকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলেছে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২১
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
১৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: পারস্পারিক এ বন্ধুতা বেঁচে থাক।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২২
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: সেই প্রত্যাশাই করি।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
রাধা বিনোদ বাবু বড় মাপের বাংগালী ছিলেন; আপনি একটি ভালো ইতিহাস আমাদেরকে আবারো স্মরণ করায়ে দিয়েছেন, ভালো হলো।