![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব সহজ,খুব সরল
************ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। **************
আয়াত- ৯০) আর আমি বনী ইসরাঈলকে সাগর পার করে নিয়ে গেলাম৷ তারপর ফেরাউন ও তার সেনাদল জুলূম নির্যতন ও সীমালংঘন করার উদ্দেশ্য তাদের পেছনে চললো৷ অবশেষে যখন ফেরাউন ডুবতে থাকলো তখন বলে উঠলো, আমি মেনে নিলাম, নবী ইসরাঈল যার উপর ঈমান এনেছে তিনি ছাড়া আর কোন প্রকৃত ইলাহ নেই, এবং আমিও আনুগত্যের শির নতকারীদের অন্তরভুক্ত৷*** ৯১
**৯১ . বাইবেলে এ ঘটনার কোন উল্লেখ নেই৷ তবে তালমূদে বলা হয়েছে ডুবে যাওয়ার সময় ফেরাউন বলেছিলঃ আমি তোমার ওপর ঈমান আনছি৷ হে প্রভূ! তুমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই৷
আয়াত-৯১) (জবাব দেয়া হলো) এখন ঈমান আনছো! অথচ এর আগে পর্যন্ত তুমি নাফরমানী চালিয়ে এসেছো এবং তুমি বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের একজন ছিলে৷
আয়াত-৯২) এখন তো আমি কেবল তোমার লাশটাকেই রক্ষা করবো যাতে তুমি পরবর্তীদের জন্য শিক্ষনীয় নিদর্শন হয়ে থাকো৷ **৯২ যদিও অনেক মানুষ এমন আছে যারা আমার নিদর্শনসমূহ থেকে উদাসীন৷ ***৯৩
***৯২ . সিনাই উপদ্বীপের পশ্চিম সাগর তীরে সেখানে ফেরাউনের লাশ সাগরে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল আজো সে জায়গায়টি অপরিবর্তিত রয়েছে৷ বর্তমান সময়ে এ জায়গাটির নাম জাবালে ফেরাউন বা ফেরাউন পর্বত৷ এরি কাছাকাছি আছে একটি গরম পানির ঝরণা৷ স্থানীয় লোকেরা এর নাম দিয়েছে হাম্মামে ফেরাউন৷ এর অবস্থান স্থল হচ্ছে আবু যানীমর কয়েক মাইল ওপরে উত্তরে দিকে৷ স্থানীয় লোকেরা এ জায়গাটি চিহ্নিত করে বলে, ফেরাউনের লাশ, এখানে পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল৷
এ ডুবন্ত ব্যক্তি যদি মিনফাতাহ ফেরাউন হয়ে থাকে, যাকে আধুনিক গবেষনার মূসার আমলের ফেরাউন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে , তাহলে এর লাশ এখনো কায়রোর যাদু ঘরে রয়েছে৷ ১৯০৭ সালে স্যার গ্রাফটিন এলিট স্মিথ তার মমির ওপর থেকে যখন পট্রি খুলেছিলেন তখন লাশের ওপর লবনের একটি স্তর জমাটবাধা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল৷ এটি লবণাক্ত পানিতে তার ডুবে যাওয়ার একটি সুষ্পষ্ট আলামত ছিল৷
****৯৩ . অর্থাৎ আমি তো শিক্ষনীয় ও উপদেশমূলক নিদর্শনসমূহ দেখিয়েই যেতে থাকবো, যদিও বেশীর ভাগ লোকদের অবস্থা হচ্ছে এই যে, বড় বড় শিক্ষনীয় নিদর্শন দেখেও তাদের চোখ খোলে না৷
আয়াত-৯৩) বনী ইসরাঈলকে আমি খুব ভালো আবাসভূমি দিয়েছি*** ৯৪ এবং অতি উৎকৃষ্ট জীবনোপকরণ তাদেরকে দান করেছি৷ তারপর যখন তাদের কাছে জ্ঞান এসে গেলো, তখনই তারা পরষ্পরে মতভেদ করলো৷*** ৯৫ নিশ্চয়ই তোমার রব কিয়ামতের দিন তাদের মধ্যে সেই জিনিসের ফায়সালা করে দেবেন, যে ব্যাপারে তারা মতভেদে লিপ্ত ছিল৷
**৯৪ . অর্থাৎ মিসর থেকে বের হবার পর ফিলিস্তিন৷
**৯৫ . এর অর্থ হচ্ছে, পরবর্তী পর্যায়ে তারা নিজেদের দীনের মধ্যে যে দলাদলী শুরু করে এবং নতুন নতুন মাযহাব তথা ধর্মীয় চিন্তাগোষ্ঠীর উদ্ভব ঘটায় তার কারণ এ ছিল না যে, তারা প্রকৃত সত্য জানতো না এবং না জানার কারণে তার বাধ্য হয়ে এমনটি করে৷ বরং আসলে এসব কিছুই ছিল তাদের দুর্বৃত্তসূলভ চরিত্রের ফসল৷ আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদেরকে সুষ্প্ষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছিলঃ এ হচ্ছে, সত্য দীন, এ হচ্ছে তার মূলনীতি, এগুলো- এর দাবী ও চাহিদা, এগুলো হচ্ছে কুফর, ও ইসলামের পার্থক্য সীমা, একে বলে আনুগত্য৷ আর এর নাম হচ্ছে গোনাহ, এসব জিনিসের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে জবাবদিহে করতে হবে এবং এসব নিয়মনীতির ভিত্তিতে দুনিয়ায় তোমরা জীবন প্রতিষ্ঠিত হতে হবে৷ কিন্তু এ সুষ্পষ্ট হেদায়াত সত্ত্বেও তারা একটি দীনকে অসংখ্য দীনে পরিণত করে এবং আল্লাহর দেয়া বুনিয়াদগুলো বাদ দিয়ে অন্য বুনিয়াদের ওপর নিজেদের ধর্মীয় ফেরকার প্রসাদ নির্মাণ করে৷
আয়াত-৯৪) এখন যদি তোমার সেই হিদায়াতের ব্যাপারে সমান্যও সন্দেহ থেকে থাকে যা আমি তোমার ওপর নাযিল করেছি তাহলে যারা আগে থেকেই কিতাব পড়ছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করে নাও৷ প্রকৃতপক্ষে তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার কাছে এ কিতাব মহাসত্য হয়েই এসেছে৷
আয়াত-৯৫) কাজেই তুমি সন্দেহকারীদের অন্তরভূক্ত হয়ো না এবং যারা আল্লাহর আয়াতকে মিথ্যা বলেছে তাদের মধ্যেও শামিল হয়ো না, তাহলে তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের দলভুক্ত হবে৷ ***৯৬
***৯৬ . বাহ্যত এ সম্বোধনটা করা হয়েছে নবী (সা) কে ৷ কিন্তু আসলে যারা তার দাওয়াতের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করেছিল৷ তাদেরকে শুনানোই মূল উদ্দেশ্য৷ এ সংগে আহলি কিতাবের উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে এই যে, আরবের সাধারণ মানুষ যথার্থই আসমানী কিতাবের জ্ঞানের সাথে মোটেই পরিচিত ছিল না৷ তাদের জন্য এটি ছিল একটি সম্পূর্ণ নতুন আওয়াজ৷ কিন্তু আহলি কিতাবরদের আলেমদের মধ্যে যারা ধর্মভীরু এ ন্যায়নিষ্ঠ মননশীলতার অধিকারী ছিলেন তারা একথার সত্যতার সাক্ষ্য দিতে পারতেন যে কুরআন যে জিনিসটির দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছে পূর্ববর্তী যুগের সকল নবী তারই দাওয়াত দিয়ে এসেছেন৷
আয়াত-৯৬) আসলে যাদের ব্যাপারে তোমার রবের কথা সত্য সাব্যস্ত হয়েছে** ৯৭
***৯৭ . সে কথাটি হচ্ছে, এই যে, যারা নিজেরাই সত্যের অন্বেষী হয় না এবং যারা নিজেদের মনের দুয়ারে জিদ, হঠকারিতা , অন্ধগোষ্ঠী প্রীতি ও সংকীর্ণ স্বার্থ বিদ্বেষের তালা ঝুলিয়ে রাখে আর যারা দুনিয়া প্রেমে বিভোর হয়ে পরিণামের কথা চিন্তাই করে না তারাই ঈমান লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত থেকে যায়৷
২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৪৬
রংধনুর সাত রঙ বলেছেন: আল্লাহ ওনাদের হেদায়েত দিক।
২| ২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৪২
জামিনদার বলেছেন: ছবিটা কি বুঝালেন ভাই?
পোষ্টে প্লাস।
২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৪৮
রংধনুর সাত রঙ বলেছেন: অবৈধভাবে কাউকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেটার ছবি।
+ এর জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৪২
লালসালু বলেছেন: আমাদের সামু ব্লগেও এমন কিছু ব্লগার আছে। আল্লাহ ওনাদের হেদায়েত দিক।
২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৪৯
রংধনুর সাত রঙ বলেছেন: আল্লাহ ওনাদের হেদায়েত দিক।
৪| ২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৪৩
সার্জন বলেছেন: ব্যাপক পরিশ্রম করেছেন.. ২৪ ক্যারেটের প্লাস++ দিলাম!
ধর্ম নিয়ে বিতর্কের চেয়ে ধর্ম নিয়ে গবেষণাকে বেশি উৎসাহিত করি।
২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৪৯
রংধনুর সাত রঙ বলেছেন: ধর্ম নিয়ে বিতর্কের চেয়ে ধর্ম নিয়ে গবেষণাকে বেশি উৎসাহিত করি
৫| ২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৫৫
সাজিদ বলেছেন: এক পরিচিতের কথা জানি, যিনি আল্লাহ-খোদা ধর্ম নিয়ে অনেক গিয়ানি গিয়ানি কঠা বার্টা বলতেন। নানা রকম প্রশ্ন করিয়া সবাইকে ব্যতিব্যস্ত রাখিতেন আর নিজেকে বিশাল প্রগতিশীলরূপে জাহির করিতেন। একবার সমুদ্রপথে বাংলাদেশের একটি দূর্গম পথে যাত্রার সময় সমুদ্রের বিশাল ঢেউয়ের চোটে শহরবাসী ঐ নাস্তিকটি এতই আতংকিত হইয়া পড়িলেন টিনি সবার আগে উচ্চস্বরে আযান দেয়া শুরু করিয়াছিলেন। ইহা কোন গল্প নয়।
২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৫৮
রংধনুর সাত রঙ বলেছেন: আমি একবার নদীপথে গ্রামের বাড়ি থেকে আসার সময় দেখলাম যখন সমুদ্রে ঝড় উঠলো তখন হিন্দুরাও আল্লাহ আ্লাহ করছিলো। সত্য বলছি। অনেক ছোটকালের ঘটনা।
৬| ২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:০২
বোবা ছেলে বলেছেন:
-
@সাজিদ:
এ রকম ঘটনা সমাজের সব নাস্তিকের জীবনেই ঘটে| জোয়ান কালে রক্ত গরম থাকে কত পদের যুক্তি দিয়া আল্লাহ নাই, ধর্ম ফালতু জিনিষ প্রমান করিয়া সমাজে নিজেকে বিশাল প্রগতিশীল প্রমান করে|
তার পর একদিন......, সেই আপনার ঘটনার মত হাজার ঘটনা ঘটে....
২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৫১
রংধনুর সাত রঙ বলেছেন: একমত।
৭| ২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:১৩
ডিজে আরিফ রক্স বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ! আপনার পোস্টের জন্য ১০০ ++++++++++++++++++++++
২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৫২
রংধনুর সাত রঙ বলেছেন: শোকর আলহামদুলিল্লাহ।
৮| ২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:২২
বক্ররেখা বলেছেন: পোস্টে অবশ্যই প্লাস।
৭১-র জুলুমবাজ, নারী নির্যাতনকারী "ফেরাউন" নিজামী-মুজাহিদ গংদের আজকের ভরাডুবি দেখেই বুঝা যায় কোরানের বাণী কত সত্য।
শোকর আলহামদুলিল্লাহ।
২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৫৪
রংধনুর সাত রঙ বলেছেন: কেউ যদি একইভাবে শেখ মুজিব এবং জিয়াউর রহমানের পরিনিতিকেও এমনভাবে মিলায়???
৯| ২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:২৮
টিনটিন` বলেছেন: +++
১০| ২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:৪০
মামন বলেছেন: ++
১১| ২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:৪৬
রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ
১২| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:০৬
মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, আল্লাহ সবাইকে বুঝার ক্ষমতা দান করুক, আমিন...আপনাক অনেক ++++++...
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৩৮
শৈল্পিক ভাবনা বলেছেন: ***৯৭ . সে কথাটি হচ্ছে, এই যে, যারা নিজেরাই সত্যের অন্বেষী হয় না এবং যারা নিজেদের মনের দুয়ারে জিদ, হঠকারিতা , অন্ধগোষ্ঠী প্রীতি ও সংকীর্ণ স্বার্থ বিদ্বেষের তালা ঝুলিয়ে রাখে আর যারা দুনিয়া প্রেমে বিভোর হয়ে পরিণামের কথা চিন্তাই করে না তারাই ঈমান লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত থেকে যায়৷
আমাদের সামু ব্লগেও এমন কিছু ব্লগার আছে। আল্লাহ ওনাদের হেদায়েত দিক।