![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
একদিকে নারী অধিকার আদায়ের জন্য কতো নীতি, কতো আলোচনা, কতো মানববন্ধন। অন্যদিকে তার প্রকাশ দেখলে চোখ কপালে উঠে যায় ।মোটর সাইকেল ও কার মেলা বা প্রদর্শনীতে নারীদের এভাবে উপস্থাপনের উদ্দেশ্য কি? যারা এসব করছে তাদের উদ্দেশ্য কি? এর মাধ্যমে কি আমাদেরকে সম্মানিত করা হয়েছে?নারী স্বাধীন হচ্ছে_এ সম্পর্কিত কথাবার্তা আমাকে এক আকাশ দ্বিধায় ফেলে দেয় ৷অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা, সামাজিক বাধা, ধর্মীয় অনুশাসনের বেড়াজাল ডিঙ্গিয়ে তাকে আসতে হবে সম্মুখে। নিজকে পরিণত করতে হবে মানুষ রূপে, দাসী রূপে নয়। পুরুষের বয়স যতই হোক না কেন ১৮ বছর বয়সের নারী তার সংঙ্গে ঠিকিই চলতে পারে বা সেই পুরুষকে চালানোর ক্ষমতা রাখে।পূজিবাদী সমাজে নারী স্বাধীনতা নেই। অর্জন সম্ভব নয়। তবে বর্তমান অবস্থার কিছুটা উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।
সত্য যে, নারী আইনজীবী, ফটোগ্রাফার, রাজনীতিবিদ, ডাক্তার, বিজ্ঞাপননির্বাহী ইত্যাদির সংখ্যা বাড়ছে ।মুসলিম নারীদের পিছিয়ে থাকার মূল কারণ হিসেবে দেখা যায়, তাদের ধর্মীয় ও পর্দা প্রথাকে। সকল ধর্মগ্রন্থের রচয়িতা পুরুষ। সুতরাং সব কিছুই পুরুষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। এটাই নিয়ম হয়ে গেছে যুগ যুগ ধরে। ধর্মীয় ভাবেও নারীদের বিভিন্ন বাধা বিপত্তির নির্দেশ প্রদান করা হয়। একটা হাদিস দেই- একদা আল্লাহ্র রসুল এক রমণী দেখিলেন। তার পর তিনি তাঁর স্ত্রী জ়য়নাবের নিকট আসিলেন। জয়নাব তখন চামড়া পরিষ্কার করিতে ছিলেন। রসুলুল্লাহ জয়নাবের সাথে যৌনসংগম করিলেন। তারপর তিনি তাঁর সঙ্গীদের বলিলেন: একজন স্ত্রীলোক শয়তানের রুপে বাহির হয় এবং ফেরত যায়। কাজেই তোমরা কেহ বাহিরে কোন রমণী দেখিলে তোমাদের স্ত্রীর নিকটে চলিয়া আসিবে। এর ফলে তোমাদের মনে যা ছিল তাহা দূর হইবে। (সাহি মুসলিম, ভলুম ২, হাদিস ৩২৪০, প্রকাশক কিতাব ভবন, দিল্লি, ইংরাজি অনুবাদ অধ্যাপক আব্দুল হামিদ সিদ্দিকী, বাংলা অনুবাদ, লেখকের)
নারী নির্যাতনের ছোট একটা উধারন দেই – “ তোমাদের পত্নীগন তোমাদের জন্য শষ্যক্ষত্র স্বরুপ , সুতরাং , স্বীয় শষ্যক্ষেত্রে আগমন করো যে দিক দিয়ে ইচ্ছা “ ( সুরা আল বাকারা ২৮৬-রুকু ৪) । বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থে আছে একটার বেশী স্বামী গ্রহন করতে পারবে না । স্বামীদের বহু স্ত্রী থাকলেও স্ত্রীদের জন্যে একটা স্বামী। আর পুরুষের পতিতালয়ে যাবার অবাধ অধিকার । হা হা হা....রাগের হাসি ) ।“ জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা।/ জাগো স্বাহা সীমন্তে রক্ত-টীকা।/ দিকে দিকে মেলি তব লেলিহান রসনা,/ নেচে চলে উন্মাদিনী দিগবসনা,/ জাগো হতভাগিনী ধর্ষিতা নাগিনী/ বিশ্ব-দাহন তেজে জাগো দাহিকা।” ২০১০-১১ অর্থবছরে সারা দেশে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) আসা নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের মধ্যে ৭৪ দশমিক ২১ শতাংশ ছিল শারীরিক নির্যাতনের শিকার, ২৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ যৌন নির্যাতনের শিকার এবং ১ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল অগ্নিদগ্ধ।
পুরুষ শিক্ষিত হবে, সে সংসারের যাবতীয় খরচপাতির যোগানদার হবে। স্ত্রী হবে তার অনুগত গৃহপালিত দাসী বিশেষ।ইসলামের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় মহিলাদের মর্যাদা তাৎপর্যপূর্ণভাবে পাল্টে যায়। পর্দা প্রথা চালু হওয়ায় মুসলিম মহিলারা চার দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যায়। বাইরের জগতের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। মহিলাদের শিক্ষার সুযোগ ছিল সীমিত।নারী হলো পৃথিবীর জন্য একটি বিরাট শক্তি। কিন্তু এ শক্তির সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। আমরা যদি এ শক্তিকে দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করতে পারতাম, তাহলে আমাদের পৃথিবীর অনেক সমস্যাই দূর হয়ে যেত। নারী হলো মানসিক শক্তির আধার। একজন মা। একজন পূর্ণমানবকে ধারণ করে নারী নিয়ে আসেন পৃথিবীতে এবং তিল তিল করে তার শিশুর বিকাশকে ধৈর্য ও দৃঢ়তা দিয়ে সংগঠিত করে।
শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিকই; কিন্তু সমাজ এখনও মেয়েদের ঘরের মধ্যে রাখতে মত দেয়। মেয়েদের পেশা এখনও নির্ধারণ করে দেয় সমাজ। হয় শিক্ষক, নয়তো ডাক্তার।আজ থেকে অর্ধশত বছর পূর্বে বেগম রোকেয়া তাঁর এক লেখনিতে বলেছিলেন-হাজার বছর ধরে মেয়েরা দাসত্বের বাঁধনে থাকার ফলে আজ তাদের মন ও চিন্তা দাসত্বের শৃংখলে আবদ্ধ। মেয়েরা আজ চাইলেই লেখাপড়া এবং কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেড়োতে পারে। কিন্তু চিন্তার দাসত্ব মুক্তি আজোও ঘটেনি। তবে কি করে স্বীকার করি এই সভ্যযুগের অন্যতম সাফল্য-‘নারীমুক্তি’? আজকের তসলিমা নাসরিনকে দেশিবিদেশি অনেকে নারীবাদী লেখিকা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন, যদিও আমরা তাকে দেশ-ছাড়া করেছি।শিক্ষার হার যা বেড়েছে তা কিন্তু মুক্তির পথ নয়, বরং এখন নারীরা লেখাপড়া করে ভালো একটা স্বামীর জন্য৷ আর নাটক, বিজ্ঞাপণ বা প্রাইভেট চাকরিতে নারীরা যেভাবে নিজেকে উপস্থাপন করে, তাতে মনে হয় নারীরা মানুষ নয় কোনো পণ্য৷
৫২'র ভাষা আন্দোলনে স্বাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জীবন বাজি রেখে বাঙালি নারীরা এগিয়ে এসেছিলেন। জীবনের মায়া ত্যাগ করে গোপন মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতেন। '৫২-এর ভাষা আন্দোলনে যারা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের মধ্যে ডা. হালিমা খাতুন, রওশন আরা বাচ্চু, রওশন আরা রেণু, সুফিয়া আহমেদ, তৈফুর, সুফিয়া খান, ড. শরীফা খাতুন প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। এসব নারী '৫২-তে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় করেছিলেন।১৯৫৪ সালের নভেম্বরে আইন পরিষদের নির্বাচনে সদস্য নূরজাহান রাজিয়া বানু ও বেগম দৌলতুন্নেসাকে প্রাদেশিক সরকার পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি করা হয়।গণঅভ্যুত্থানে ইডেন কলেজ থেকে যে মিছিল বের হয়েছিলো তা ছিলো সে দিনে সবচেয়ে জোড়ালো মিছিল। মার মুখি ছিল সে মিছিরের গতি।সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া ও শামসুন্নাহার হলের ছাত্রীরাই প্রথম কার্ফ্যু ভেঙে মিছিল করেন। সে সময় হাজার হাজার মানুষ তাতে যোগ দিয়েছিল। ১৯৪৭ থেকে এই পর্যন্ত নারী রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা বহুবার জেল খেটেছেন। আবার জেল থেকে বেরিয়ে মাঠে নেমেছেন বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনায়।
মানুষ ও স্তন্যপায়ী জগতে শিশুর জন্ম হয় ভ্রূণ থেকে। ভ্রূণের উৎপত্তি হয় যখন পুরুষ দেহে তৈরি কয়েক কোটি শুক্রের একটি, স্ত্রী দেহে তৈরী মাত্র একটি ডিমের সাথে নিষিক্ত (ফার্টিলাইযেশন) হয় । বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষ সমান অধিকার লাভ করবে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দলিলে সমান অধিকারের কথা বলা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। এদেশের নারী সমাজ পশ্চাৎপদ, উপেক্ষিত এবং জীবনের সব ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় কম অধিকার পেয়ে থাকে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, আয় মজুরি প্রভৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীর অবস্থান পুরুষ থেকে অনেক নিচে।
ওভাস্টেট পিল খেলেই সংসারে সুখ ও শান্তি চলে আসে । পরিস্ককার ভাবে বোঝা যায় এখানে সমতার অভাব রয়েছে । আবার দেখা যাচ্ছে শহর থেকে স্বামী জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি এনে হাতে দিতে না দিতেই সংসারে সুখ এসে গেল আর বউ স্বামীর কোলে মাথা নুয়ে খুশীতে টগবগ। এটি কোন বিজ্ঞাপন সমাজের সমতা ? বিখ্যাত প্রডাক্ট "ফেয়ার এন্ড লাভলী" এ বিজ্ঞাপন চিত্রে একটি মেয়ে গোলাপী পোশাক পরিহিতা ডজন খানিক পুরূষ তার রূপ এবং লাবন্যের দিকে তাকিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলে ।মানুষ হিসেবে আমার বোধের জায়গা থেকে আমি বলতে চাই…..প্রতিটা ঘরের কাহিনী….আজ হয়তো অন্য ঘরে হচ্ছে…কে বলতে পারে কাল হয়তো আমাদের ঘরেও হবে…..তাই কোনটা কার চিন্তা করার দায়িত্ব তা নিয়ে বৃথাই সময় নষ্ট করে কেন আমরা প্রতিদিন এত অসংখ্য নির্মমতার জন্ম হতে সাহায্য করছি….কেন আজও আমরা ঠেকাতে পারিনা আমাদের ঘরের আর বাইরের এই সহিংসতাগুলো…..?
( তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট )
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:২৭
শিপন মোল্লা বলেছেন: নারী হলো পৃথিবীর জন্য একটি বিরাট শক্তি। কিন্তু এ শক্তির সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। আমরা যদি এ শক্তিকে দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করতে পারতাম, তাহলে আমাদের পৃথিবীর অনেক সমস্যাই দূর হয়ে যেত। নারী হলো মানসিক শক্তির আধার। একজন মা। একজন পূর্ণমানবকে ধারণ করে নারী নিয়ে আসেন পৃথিবীতে এবং তিল তিল করে তার শিশুর বিকাশকে ধৈর্য ও দৃঢ়তা দিয়ে সংগঠিত করে।