নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের এই পৃথিবী

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

বাইবেলে বলা হয়েছে, “God created man in His own image”। বাইবেলের কথাটা বদলে বলা যায়, “Man created God in his own image”। প্রায় সব ধর্মেই তাই। তাই ঈশ্বরও মানুষের মতো। তিনি জীবের দুঃখে কাতর হন, আনন্দে উল্লসিত, ক্রোধে উন্মাদ।তাই বলা যায় ঈশ্বর আসলে সৃষ্টির সেরা গুজব।



পৃথিবী নিজের অস্থিত্বের জন্য কখনও মানুষের প্রয়োজনীতা অনুভব করেনা। বরং মানুষের অস্থিত্বের জন্য পৃথিবীকে তার প্রয়োজন অনেক বেশী।পৃথিবী সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ।পৃথিবী হল মানুষ সহ কোটি কোটি প্রজাতির আবাসস্থল হল।৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী গঠিত হয়েছিল। এক বিলিয়ন বছরের মধ্যেই পৃথিবীর বুকে প্রাণের আবির্ভাব ঘটে।পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ ও এর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস ও কক্ষপথ এই যুগে প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়ক হয়েছে।মনে করা হচ্ছে, আরও ৫০ কোটি বছর পৃথিবী প্রাণধারণের সহায়ক অবস্থায় থাকবে। পৃথিবীতলের প্রায় ৭১% লবণাক্ত জলের মহাসাগর দ্বারা আবৃত।অবশিষ্টাংশ গঠিত হয়েছে মহাদেশ ও অসংখ্য দ্বীপ নিয়ে।মহাবিশ্বের অন্যান্য বস্তুর সঙ্গে পৃথিবীর সম্পর্ক বিদ্যমান। বিশেষ করে সূর্য ও চাঁদের সঙ্গে এই গ্রহের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।গ্রহের খনিজ সম্পদ ও জৈব সম্পদ উভয়ই মানবজাতির জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। এই গ্রহের অধিবাসীরা প্রায় ২০০টি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে সমগ্র গ্রহটিকে বিভক্ত করে বসবাস করছে।



সূর্যের ভেতরে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের বিস্ফোরণ থেকে তৈরী হয় এনার্জি। আর সেই এনার্জি থেকে ইলেক্ট্রন, প্রোটনের মতো নানা পার্টিকল পৃথিবীতে এসে পৌছায় এবং এগুলোর ক্ষতিকর প্রভা এসে পরে পৃথিবীর উপর। পৃথিবী জুড়ে সমুদ্রের লেভেল বাড়ছে। গ্রীনল্যান্ড ও আ্যন্টার্কটিকার বরফও গলে যাচ্ছে। ফলে এক সময় হয়তো প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাবে সারা পৃথিবী।অধিকাংশ প্রাচীন সভ্যতায় উল্লেখ থাকে যে, অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন কেউ একজন দূর থেকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছেন। জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটি ঘটনা সেই একজনের বিশাল বড় এক ঐশ্বরিক প্ল্যানের অংশ বিশেষ।নাসা (NASA) ধারণা করছে ২০১৯ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারীর পৃথিবীতে একটা বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে।পৃথিবী সূর্য থেকে খন্ডিত একটি গ্রহ মাত্র। সূর্য থেকে ১৪,৯০,০০,০০০ কিমি দূরে এর অবস্থান এবং এর ব্যাস ১২,৭৫৬ কিমি। অর্থাৎ ১৩,০০০ কিমি লম্বা একটি রড এটার পেটে ঢুকিয়ে দিলে এদিক থেকে ওদিকে বেড়িয়ে যাবে।



সভ্যতার সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ নির্দশন ছিল ২০০০ বছর আগেকার মায়া সভ্যতা।প্রাচীন মিথ, জ্যোতিষশাস্ত্র কিংবা প্রাচীন বুদ্ধিমান সভ্যতার ওপর যাদের আস্থা চরম তাদের প্রথম পছন্দ মায়া সভ্যতা।পৃথিবী ধ্বংস নিয়ে অন্য যেসব ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, তার মধ্যে ২০২৩ সালও রয়েছে। ধর্মতাত্ত্বিক ইয়ান গার্নির মতানুসারে, ২০২৩ সালে পৃথিবী ধ্বংস হবে। তবে একজন আইরিশ সাধকের ভবিষদ্বাণী অনুযায়ী, পৃথিবীর মানুষ হয়তো আরও কিছুদিন বেঁচে থাকার সুযোগ পাবে। মালাচি নামের ওই আইরিশ সাধক ১১৪৩ সালে বলেছিলেন, পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার আগে আরও ১১২ জন পোপ পৃথিবীতে আসবেন। বর্তমান পোপ ১১১ নম্বর। তার মানে আরও একজন পোপ না আসা পর্যন্ত পৃথিবী ধ্বংস হচ্ছে না। আল্লাহ বলেছেন, “মানুষের সৃষ্টি অপেক্ষা নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সৃষ্টি কঠিনতর; কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা অনুধাবন করেনা”। সূরা আল-মুমীন ৫৭। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের একমাত্র জীবনতরী এ বিশ্ব ব্রহ্মান্ড আজ হুমকির মুখে পর্যবসিত হয়েছে।



পৃথিবী একটা শিলাময় পাথুরে গ্রহ, মঙ্গলও তাই, শুধুমাত্র তফাত পৃথিবীতে বিপুল তরল পানি আছে মঙ্গলে তা নেই, যদিও ধারণা করা হয় অতীতে হয়ত সেখানে তরল পানির অস্তিত্ব ছিল আর তখন ছিল হয়ত বা কোন জীবানু সদৃশ জীবের অস্তিত্ব।কেপলার দুরবীণের আগে অতি বৃহৎ গ্রহ যেমন বৃহস্পতি বা নেপচুনের মত আকৃতির গ্রহ আবিষ্কার করা যেত কিন্তু পৃথিবীর মত আকৃতির গ্রহ আবিষ্কার করা যেত না, কেপলারের নতুন উন্নত মানের যন্ত্রপাতী সে সমস্যা দূর করার ফলে পৃথিবী আকৃতির গ্রহ আবিষ্কার সম্প্রতি ২০০ গুনের মত বৃদ্ধি পেয়েছে।পৃথিবীর আয়তনের চেয়ে সূর্যের আয়তনের কি বিরাট ব্যবধান! সূর্যের তুলনায় পৃথিবী একটি ক্ষুদ্র বিন্দুর মত। পৃথিবীর চেয়ে সূর্য প্রায় ১৩ লক্ষ গুন বড় এবং এর ব্যাস ১৩,৯০,০০০ কিমি। পৃথিবী তার নিজ অক্ষের উপর একবার ঘুরতে সময় নেয় ৮৬,৪০০ সেকেন্ড। আমরা একে হিসাবের সুবিধার জন্য ২৪ ঘণ্টা হিসাবে ধরে ১ সৌরদিন বিচার করে থাকি। পৃথিবীর উপরিতলে রয়েছে সিলিকেট সমৃদ্ধ মাটি, নানবিধ জৈব ও অজৈব উপাদান। আর কেন্দ্রে রয়েছে কঠিন লৌহ পিণ্ড। পৃথিবীর উপরিতল থেকে কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ৫১০০-৬৩৭৮ কিলোমিটার।পৃথিবীর সবচেয়ে উপরে অংশ এবং সবচেয়ে পাতলা স্তরটি হলো ভূত্বক।



প্রাচীন গ্রীসে বিশ্ব ব্রহ্মান্ড এবং দেব দেবী নিয়ে গড়ে উঠেছিল অনেক মজার মজার গল্প।এরোস EROS ছিলেন সৃস্টির দেবতা । আফ্রোদিতি পুত্র এরোস থেকে পৃথক হিসেবে দেখাতে তাকে ফানেস বা প্রটোগনস হিসেবে ও ডাকা হত। এরস ছিলেন ভাল বাসার দেবতা । সৃস্টির শুরুতে আকাশ দেবতা ইউরেনাস এবং ধরিত্রী দেবী গায়ার মনে ভালবাসার সঞ্চার করেন এরোস, সেখানেই সৃস্টির সূচনা।থালাসা THALASSA - সমুদ্র বা সমুদ্র পৃষ্ঠের প্রাথমিক দেবী হলেন থালাসা। ইথার এবং হেমেরার মিলন থেকে তার জন্ম। দেবতা পন্টাসের গভীর জলের সাথে মিশে তিনি লালন করতেন মাছেদের। ইসলাম ধর্মে কেয়ামত বা কিয়ামত হলো সেই দিন যে দিন এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে আল্লাহ সৃষ্ট সকল জীবকে পুনরুত্থান করা হবে বিচারের জন্য| সকল জীবকে তার কৃতকর্মের হিসাব দেয়ার জন্যে এবং তার কৃতকর্মের ফলাফল শেষে পুরস্কার বা শাস্তির পরিমান নির্ধারণ শেষে জান্নাত/বেহেশত/স্বর্গ কিংবা জাহান্নাম/দোযখ/নরক এ পাঠানো হবে|



এই পৃথিবীতে আমরা যা কিছু দেখছি বিভিন্ন পদার্থ, গাছপালা, পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ, মানুষ ইত্যাদি সমস্ত কিছু কতগুলো পরমাণুর সমষ্টি। তবে মানুষের ক্ষেত্রে শুধু পরমাণুর সমষ্টি বললে সম্পূর্ণ বলা হয় না তাই বলতে হবে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল কতগুলো পরমাণুর সমষ্টি। কারণ প্রকৃতির রাজ্যে মানুষ হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট জীব, মানুষই এসেছে সবার শেষে।বিস্ফোরণের প্রথম ৩ মিনিটের মধ্যে যা ঘটেছিল, বিশ্বব্রহ্মান্ডের গোটা ইতিহাসে আর কখনো তা ঘটেনি। বিশ্বসৃষ্টির রহস্য ঐ ৩ মিনিট সময়ের মধ্যেই ধরা আছে। তখনই প্রকৃত অর্থে বিশ্ব সৃষ্টি হয়েছিল। আজকের বিশ্বে আমরা যা কিছু দেখি তার বীজ সৃষ্টি হয়েছিল তখন। তখন নিউক্লিয়ন ইত্যাদি বহু কণিকা গঠিত হয়েছিল এবং কণিকাগুলো পরস্পরের সাথে ক্রিয়া করতে আরম্ভ করেছিল। এই যে পারস্পরিক ক্রিয়া, বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে মিথস্ক্রিয়া। বহুকাল ধরে বিভিন্নভাবে এই মিথস্ক্রিয়া হওয়ার ফলে বিভিন্ন পদার্থের সৃষ্টি। এইভাবেই আস্তে আস্তে উদ্ভিদ, পশু, পাখি, মানুষ প্রভৃতি জীব সৃষ্টি হয়েছে।



প্রথমে সৃষ্টি উদ্ভিদের তারপর প্রাণীর। পৃথিবীতে জীবসৃষ্টির পর দু’টি ধারায় জীবজগৎ বিভক্ত হয়ে গেল-একটি উদ্ভিদজগৎ আর একটি প্রাণীজগৎ। উদ্ভিদজগৎ আর প্রাণীজগৎ মিলে জীবজগৎ। মানুষ এসেছে সবার শেষে। মানুষের আগমণ মাত্র ত্রিশ লক্ষ বছর আগে। মানুষও একেবারে পৃথিবীতে আসেনি। এককোষী প্রাণীর থেকে যে রূপান্তর সৃষ্টি হয়েছিল, তারই শেষ পরিণতি মানুষ। সৃষ্টির এই যে তত্ত্ব, বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে বিবর্তনবাদ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

বাতায়ন এ আমরা কজন বলেছেন: বুঝাইলেনডা কী?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.