নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১৯৭৮ সালে আমেরিকার গৃহীত একটি সমীক্ষায় দেখা যায় যে, শতকরা ২ জন বাদী যৌন অপরাধের জন্য অভিযুক্ত হয়ে থাকে।দেখা যায় যে, দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক থাকাকালীন সময়ও যৌন অপরাধ সংঘটিত হয়।বিভিন্ন যৌন অপরাধ বিভিন্ন স্থানে শতকরা হারে ঘটে থাকে। স্থানগুলো বিভিন্ন হতে পারে। যেমন বাসা, বাড়ির বাইরে, গাড়ির ভেতরে, মঞ্চে, পাবলিক টয়লেটে, স্কুলে, অন্যান্য যে কোনো স্থানে।দেখা যায় যে, ধর্ষণকারী ধর্ষীতার কোনো না কোনোভাবে পরিচিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষণ দিনের বেলায় ধর্ষীতার বাড়িতেই হয়ে থাকে। অনেক সময় ঝোপের আড়ালে ক্ষেতে বন্ধুর বাড়িতে কিংবা অজানা কোনো স্থানে হতে পারে। তবে বর্তমানে আইন ধর্ষণের ব্যাপারে খুবই কঠিন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত একটি অপরাধ ট্রাইবুনাল যার উদ্দেশ্য হচ্ছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহের বিচার করা। এর আওতায় পড়ে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ।যখন তোমরা কথা বলবে তখন ন্যায়সংগত কথা বলবে যদিও তা তোমাদের নিকটাত্মীয় স্বজনের বিপক্ষে যায়। তোমরা আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করে নাও। তিনি তোমাদেরকে এরই নির্দেশ দিয়েছেন;যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। (সূরা আনয়ামঃ ১৫২)আমাদের সমাজে ‘আইনের চোখে সবাই সমান’—এটা এখনো প্রবলভাবে মুখের কথা শুধু। বাস্তবে আইন ও বিচার নিতান্তই সামাজিক শ্রেণী ও ক্ষমতানির্ভর একটি দণ্ডবিধি।মানুষের ন্যায্য অধিকার সংরক্ষণ ও প্রতিষ্ঠা করার নিমিত্তে যুদ্ধ করার নির্দেশ পবিত্র কোরআনে একাধিক জায়গায় উলি্লখিত আছে। এ যুদ্ধ অন্যায়, অত্যাচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে মানবতার হক বা অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী পৃথিবী প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে প্রতিটি মুসলমানের প্রতি আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই পালনীয় কর্তব্য হিসেবে আরোপ করেছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ ছিল পবিত্র কোরআনের ভাষায় জালিমের হাত থেকে স্বীয় মাতৃভূমিকে মুক্ত করা এবং স্বীয় অধিকার প্রতিষ্ঠা করার পবিত্র কোরআন নির্দেশিত একটি বড় ইবাদত।
দেশ বা অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রণীত আইনের পরিপন্থী কার্যকলাপই অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী আদালতের মহামান্য বিচারক অপরাধীকে প্রয়োজনীয় ও যথোপযুক্ত শাস্তি দিয়ে থাকেন। আদম এবং ঈভের শয়তানের প্ররোচনায় গন্ধর্বজাতীয় নিষিদ্ধ ফল গ্রহণকে প্রকৃত পাপ হিসেবে গণ্য করা হয়। দল বা রাষ্ট্রীয় অপরাধ হিসেবে যুদ্ধ অথবা সংঘর্ষ হয়ে থাকে।মোটর সাইকেলে হেলমেট ব্যবহার না করা কিংবা গাড়ীতে চালক কর্তৃক মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে দূর্ঘটনা ঘটায়ও আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, যাতে যাত্রীদের জানমালের জন্যে হুমকিস্বরূপ।
১৯৭১ সালে নারীর বিরুদ্ধে যে বিভৎস নির্যাতন চালানো হয়েছিল তা মানব ইতিহাসে বিরল। প্রেমিকা বিশ্বাস করে প্রেমিকের সাথে অন্তরঙ্গ সময় কাটায়। সেই সুযোগ কাজে লাগায় প্রেমিক নামের পুরুষটি। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ছেলেটি বিশ্বাস ঘাতকতা করে মেয়েটির সাথে। মেয়েটির বিশ্বাসের কোন মূল্য দেয়না ছেলেটি। ব্লাকমেইল করা হয় মেয়েটির সাথে। সমাজের মানুষগুলো দৃশ্যগুলো দেখে কুমন্তব্য করে। বলে- কি অসভ্য মেয়েটি! দোষারোপ করা হয় মেয়টির নৈতিকতাকে। ছেলেটি জানে ঐ দৃশ্যগুলো যেই দেখবে তার কোন ক্ষতি হবে না; ক্ষতি হবে মেয়েটির।
হ্যাকিং-এর পাশাপাশি বর্তমান বিশ্বে বেড়েই চলেছে অনলাইন ক্রাইম বা সাইবার ক্রাইম।বাংলাদেশের শহর গঞ্জে রাস্তার অনেক ছিচকে ছিনতাইকারীকে গনপিটুনী দিয়ে মেরে ফেলতে দেখা যায়।মেজিষ্ট্রেট কোর্টে তখনই কেস শুনানির জন্যে উঠে যখন লেনদেনের ব্যাপারে একটা সূরাহা হয়।যোগাযোগের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যুগের পরিবর্তন হয়, যুগের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে মানুষের মানষিকতা আর জীবন-জীবিকার পরিবর্তন হয়, জীবন-জীবিকার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে অপরাধের ধরণ ও মাত্রারও পরিবর্তন হয়। সুতরাং অপরাধের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের আইন-শৃন্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদ্ধতি, জ্ঞান, সক্ষমতা ও মানষিকতারও পরিবর্তন অনিবার্য। শুধু শাস্তিমুলক ব্যবস্থার উপর শতভাগ নির্ভর না করে সংশোধনমুলক অভিনব বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কেও তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা এবং আন্তরিকতা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তি, রাজনীতি, সংস্কৃতি, পুলিশ, প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর উপর সেকুলারিষ্টদের দখলদারি নিছক একাত্তর থেকে নয়, বরং ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই। তবে এর আগেও যে তারা ছিল না তা নয়। তবে তাদের জোয়ার বইতে শুরু করে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর।যে ছুরি দিয়ে পেঁয়াজ কাটা যায়, সে ছুরি দিয়ে মানুষও খুন করা যায়। ছুরি নয়, ছুরি কী কাজে ব্যবহার করছি, সেটাই বিবেক, ধর্ম, সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে ধর্তব্য। ঠিক সে রকম কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তিও ব্যবহারের প্রতি নিরপেক্ষ। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাগরিক যেমন জ্ঞানের চর্চা করতে পারে, তেমনি যৌনজ্ঞান লাভসহ যৌনতার প্রতি তার আসক্তি বাড়তে পারে, এমনকি সে যৌন সহিংসতার দিকেও যেতে পারে।
ফেসবুক আইডি সহজেই হতে পারে মুক্তমনের পরিচায়ক। যে কেউ জ্ঞানসঞ্চারণী যেকোনো তথ্য দিয়ে বন্ধুদের সহায়তা করতে পারেন, সমাজকে সাহায্য করতে পারেন। যদি ফেসবুকে খবর জানতে চান তবে লাইক করতে পারেন পৃথিবীর যেকোনো সংবাদপত্রের ওয়েবসাইটকে বা যদি জ্ঞানবিজ্ঞান-বিষয়ক কোনো কিছু জানতে চান তবে লাইক করুন এ-সংক্রান্ত সাইটগুলোকে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে আপনি যে এলাকায় বসবাস করেন, তার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি বা পর্যটনে আকৃষ্ট করার স্থানের ছবি দিয়ে তথ্য প্রচারও করতে পারেন। এভাবে নিজের জন্মস্থানকে শেয়ারের মাধ্যমে একদিন দেখা যাবে অজানা ওই স্থানটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। একজন মানুষের মাধ্যমেও এগিয়ে যেতে পারে দেশ। ফেসবুকের ব্যবহারে রাজনীতিক সংস্কৃতির মোড়ও ঘুরিয়ে দিতে পারে আমাদের দেশে। যদি নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে ফেসবুকের সাহায্য নেওয়া হয়, তা-ও অনেক বড় কাজ হতে পারে।
©somewhere in net ltd.