নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ফুলকপির ফুল অর্থাৎ সাদা অংশটুকুই খাওয়া হয় আর সাদা অংশের চারপাশে ঘিরে থাকা ডাঁট এবং পুরু, সবুজ পাতা দিয়ে স্যুপ রান্না করা হয় অথবা ফেলে দেওয়া হয়। ফুলকপি খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি; এটি রান্না বা কাঁচা যে কোন প্রকারে খাওয়া যায়, আবার এটি দিয়ে আচারও তৈরি করা যায়।পাতা দিয়ে ঘিরে থাকা সাদা অংশটুকু দেখতে ফুলের মতো বলেই ফুলকপির এমন নামকরণ।এর বৈজ্ঞানিক নাম ব্রাসিকা অলিরাসিয়া।ক্যানসারের জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ফুলকপি। স্তন ক্যানসার, কোলন ও মূত্রথলির ক্যানসারের জীবাণুকে ধ্বংস করে এই সবজি। ক্যানসারের জীবাণুকে দেহ থেকে বাইরে বের করে দেওয়ার জন্য রয়েছে ফুলকপির যথেষ্ট অবদান।
ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’, যা ঠান্ডাজনিত সর্দি, হাঁচি, কাশি, জ্বর জ্বর ভাব, সারা শরীরে ব্যথা ভাব, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ও ঠান্ডায় কান বন্ধ হয়ে যাওয়া—এসব সমস্যা দূর করে।ফুলকপিতে নেই কোনো চর্বি, রয়েছে পর্যাপ্ত আমিষ। দেহ গঠনের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত আমিষ। কোলেস্টেরলমুক্ত ফুলকপি তাই বৃদ্ধি ও বর্ধনের জন্য প্রয়োজন। প্রচুর পরিমাণে আমিষ বা প্রোটিন থাকার জন্য কিডনির জটিলতায় ভোগা ব্যক্তিরা চিকিৎসকের পরামর্শে ফুলকপি খাবেন। কারণ, এতে আমিষ ও পটাশিয়াম রয়েছে অনেক বেশি, যা কিডনির জন্য উপযোগী নয়।
ফুলকপির পাতুড়ি কিভাবে রান্না করবেন, বলে দিচ্ছি- উপকরণ: ফুলকপি ১টি। সরিষাবাটা ২ চা-চামচ। হলুদ ও মরিচের গুঁড়া সামান্য। টক দই আধা কাপ। চিনি, লবণ ও কাঁচা মরিচের কুচি স্বাদমতো। সরিষার তেল আধা কাপ। কালোজিরা ১ চা-চামচ। ক্যাপসিকাম (সবুজ) ১টি। কুচি করা টমেটো আধা কাপ। কলাপাতা ১টি। ঘি ১ টেবিল-চামচ। ধনেপাতা ও পানি সামান্য।
প্রণালি: ফুলকপির ফুলগুলো পরিষ্কার করে সামান্য লবণ দিয়ে আধা সেদ্ধ করে পানি ঝরাতে হবে। তেল গরম হলে কালোজিরা ফোড়ন দিয়ে ফুলগুলো নাড়াচাড়া করে একে একে হলুদ, মরিচ, দই, চিনি, লবণ, সরিষাবাটা ও টমেটো দিয়ে ১০-১৫ মিনিট রান্না করতে হবে। এবার কুচি করা ক্যাপসিকাম দিয়ে আরও একটু রান্না করতে হবে। প্রয়োজনে পানি দেওয়া যাবে। মাখা মাখা হলে নামিয়ে একটা ওভেনপ্রুফ বাটিতে কলাপাতা বিছিয়ে পাতুড়ি ঢেলে দিন। আরও একটু পাতা দিয়ে ঢেকে তিন-চার মিনিট বেক করে নামিয়ে নিন। ওপরে ঘি, ধনেপাতা ও বাদাম দিয়ে ১ মিনিট রেখে পরিবেশন করতে হবে।
ফিগার সচেতনরা ফুলকপি খেতে পারেন নিঃশঙ্কায়, কারণ এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম।উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিসের রোগীরা ফুলকপি খেতে পারেন নিঃসঙ্কোচে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং কোলেস্টেরল কমাতেও ফুলকপি আমাদের বন্ধু। ফুলকপিতে থাকা প্রচুর পরিমাণে আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে বিশেষ সহায়ক।খাবার চিবুতে পারে এমন শিশুদের জন্য চাল-ডালে তৈরি খিচুরিতে সবজি হিসেবে সহজেই মেশানো যায় ফুলকপি।
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০১
শামীম 776 বলেছেন: ভালো কিছু লিখার জন্য লন +++++++++
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০০
অন্তহীন বালক বলেছেন: ভাই, কৃষিনির্ভর দেশে কৃষি নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না,
আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো।