নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের ফুল

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

ফুল উদ্ভিদের সবচেয়ে দৃষ্টি নন্দন অংশ। সমস্ত সপুষ্পক উদ্ভিদের ফুল ফোটে ও এরা উদ্ভিদের বংশবিস্তারে সাহায্য করে।বাংলাদেশের জাতীয় ফুল হিসেবে রয়েছে সাদা শাপলা যাকে সচরাচর শাপলা নামে অভিহিত করা হয়। ফুলকে জাতীয় ফুলের মর্যাদা প্রদানের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে।এক বসন্তেই আমাদের দেশে কত্তো ফুল ফোটে! আর সে সব ফুলও যে কত্তো সুন্দর!ইদানীং কিছু বিদেশি ফুল দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে চাষাবাদ হওয়ার কারণে এগুলোও বাংলাদেশের ফুলের তালিকায় অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।



নগরের বিভিন্ন নার্সারিতে নানা রকমের গাঁদা ফুলের চারা পাওয়া যাচ্ছে।ঢাকায় আগারগাঁওয়ে রোকেয়া সরণিতে ২০-২৫টি নার্সারি গড়ে উঠেছে।ফার্মগেটের কাছে খামারবাড়ীর পাশে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট চত্বরে ভোসড নার্সারিতেও ফুলের চারা ও সার পাবেন। সাভার ও ঢাকার বাইরের নার্সারিগুলোতে চারার দাম কিছুটা কম।



শাপলা ফুলের ইংরেজি নাম Water lily।খ্রীষ্টপূর্ব ২৫০০ বছর আগের মিশরের এক ধ্বংসাবশেষে শাপলা ফুলের মতো একটি আঁকা ছবি পাওয়া গেছে। প্রাচীন যুগে মিশরে শাপলা ফুল চাষ হতো।বাংলাদেশের কয়েন, টাকা, দলিলপত্র ইত্যাদিতে জাতীয় ফুলের ছবি বা জলছাপ থাকে।



আমাদের দেশে মোট ঋতু ছয়টি।কৃষ্ণচূড়া বাংলাদেশের অতি পরিচিত একটি ফুল। চৈত্র-বৈশাখ মাসের প্রচণ্ড গরমে যখন সবাই অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে, তখনই কৃষ্ণচূড়ার ডাল থোকা থোকা লাল লাল ফুলে ভরে ওঠে।চাঁপা বা চম্পা ফুলটির নাম এসেছে সংস্কৃত ‘চম্পক’ থেকে। চাঁপা ফুলের গাছ চিরসবুজ।চাঁপা ফুল আবার নানা জাতের হয়। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় স্বর্ণচাঁপা আর হিমচাঁপা।দোলনচাঁপা আমাদের দেশের খুবই পরিচিত একটি ফুল। গাছের ডালের মাথায় থোকায় থোকায় সাদা রঙের বড় বড় দোলনচাঁপা ফোটে।



‘নাচেন ভালা সুন্দরী লো

বাঁধেন ভালা চুল।

যেন হেলিয়া দুলিয়া পড়ে

নাগকেশরের ফুল ’



আমাদের দেশে কয়েক প্রজাতির নয়নতারা দেখা যায়। কোনোটির রং সাদা, কোনোটির গোলাপি, কোনোটির আবার সাদার উপর গোলাপি, আবার কোনোটির রং হালকা নীল।পলাশ ফুল দেখতে অনেকটা সীমফুলের মতো। ফুলের কুঁড়ি অনেকটা বাঘের নখের মতো, কিংবা বলতে পারো কাঁকড়ার পায়ের মতো দুই ভাগে বিভক্ত।বেলী ফুলের গাছ বেশ ছোট; ঝোপের মতো। এ ধরনের গাছকে বলে গুল্ম। কোনো কোনো জাতের বেলী তো লতা জাতীয় গাছই।বেলী ফুল মূলত ফাল্গুন থেকে জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত ফোটে।



মহুয়া ফুলটি ঠিক আমাদের দেশের নয়; অবশ্য বেশিরভাগ ফুলই আমাদের দেশে এসেছে বিদেশ থেকে, কিন্তু আমাদের দেশের আবহাওয়া এতোই ভালো যে সবাই আমাদের দেশের বেশ মানিয়ে নিয়েছে। ফুলে ফুলে কাঞ্চনের গাছ যখন ভরে থাকে, তখন মনে হয় রঙিন প্রজাপতিরা ঝাঁক বেঁধে বসে আছে গাছটির ওপর। পৃথিবীতে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ প্রাজাতির গোলাপ ফুল রয়েছে।



আমাদের পরিচিত কিছু ফুলের নাম।



নয়নতারা, রক্ত জবা বা ঝুমকো জবা, কাঞ্চন, পুন্নাগ, কাঠ মালতী, মালতী লতা, ব্রহ্ম কমল Fuchsia, লুপিন, লবঙ্গ, নীল চিতা,লাল সোনাইল, মিনজিরি, দাঁত রাঙ্গা বা লুটকি, কনক চাঁপা, ডেওয়া, রক্তকমল, স্বর্নচাঁপা, উদয়পদ্ম বা হিমচাঁপা, কেয়া, ছাগল কুঁড়ি,বোতাম ফুল,পানি ফল Pansy,কয়েক রকম জবা, স্বর্ণ চামেলী, কুঞ্জলতা, ব্লিডিং হার্ট, চন্দ্রপ্রভা, উর্বশী, ডম্রুপানি, গন্ধরাজ, নীলকন্ঠ, রুদ্রপলাশ, রামসর, দোলনচাঁপা, শারঙ্গ, সর্পগন্ধা, বনজাঈ, নীলমনি লতা, অনন্ত লতা, কাঠগোলাপ, নাগকেশর, সজনা, আকন্দ, কুটজ, বরুণ,ফুরুস, কাঞ্চন,সেনালু, দোপাটি, জারুল, অপরাজিতা, যুথিকা, অশোক, কাঠালী চাঁপা, সর্বজায়া, কলাবতী,নার্গিস, রূপসী,কদম,

নীলপদ্ম, ডালিম, রজনীগন্ধা, রক্ত চিত্র্‌, বধারা, কলকে, ডাকুর, কৃষ্ণচূড়া, জবা, ঝুমকালতা, রঙ্গ্‌ন,সন্ধ্য মালতী, সূর্য্যমুখী,ধুতরা, স্থলপদ্ম, নয়নতারা, তেঁতুল, বাবলা, হাসনাহেনা, পলাশ, পারিজাত বারক্তমান্দার, দুধ কচু, মৌলভী কচু, ওল কচু, মান কচু, মালঞ্চ, অন্তমোড়া, নাসপাতি, আলু বোখারা, ভুঁই চম্পা বা একাংগী, বন্ধুক, নীলাম্বরী, বন মরিচ, আগর, নিশিন্দা, বিলাই খামচি, কলকাসুন্দা, হলুদ অশোক, জামালগোটা, তিসি, মেহেদী, জাফরাণ,ছিটা, রক্তকরবী, টগর বা টগড়(টগঢ়), কলকে ফুল বা হলদে করবী,

ধুতরা, কুঁচ, শিয়ালকাঁটা,হিজল বা হিযল, আকন্দ, স্বর্ণলতা, লেমন গ্রাস, বারসুঙ্গা (Barsunga), কারি পাতা, পুদিনা বা পুদিনাপাতা, তেজপাতা, তুলসী, সুগন্ধাবচ,

নীল, শিউলী, আনারস, রক্ত কাঞ্চন,এলাচ, রক্ত রাগ, অশ্বত্থ, কালোজিরা, মেথি, মহুয়া, শিরীষ, পে ইত্যাদি ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০২

রেজোওয়ানা বলেছেন: ফুলকে জাতীয় ফুলের মর্যাদা প্রদানের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে"..........এই জায়গাটা বুঝলাম না ভাইয়া!!

কৃষ্ণচূড়াও কিন্তু বাংলাদেশী ফুল না, এই ফুল জাপানী!

ফুলের পোস্টে ছবি না থাকলে কেমন হয় বলেন তো!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি দিতে পারি না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.