নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার প্রথম ঘটনাটি ঘটে ১৬ জুলাই, ১৯৪৫ সালে। বিশ্বের ১ম দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক বোমা আবিস্কার ও উন্নয়নের জন্য উদ্যোগী হয়।১৯৪০-এর দশকে নতুন ধরণের পরমাণু বোমা হিসেবে হাইড্রোজেন বোমা আবিস্কারের মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়ন সমগ্র বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।সোভিয়েত ইউনিয়নের পারমাণবিক বোমা আবিস্কারের প্রেক্ষাপটে আন্দ্রে শাখারভ হাইড্রোজেন বোমা'র জনক হিসেবে ইতিহাসে চিত্রিত হয়ে আছেন তাঁর স্ব-মহিমায়। পারমাণবিক অস্ত্রকে ধরা হয় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের এক বোমা হিসেবে। যুদ্ধের ইতিহাসে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় মাত্র দুটি পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত করা হয়েছিল।
আমাদের দেশে বর্তমানে ৯ ও ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার ক্যালিবারের পিস্তল ব্যবহার করছেন এসআই থেকে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।বর্তমানে অন্যান্য উন্নত দেশে মহানগর এলাকায় সাব মেশিনগান ব্যবহৃত হয়। স্নাইপার রাইফেল, সিঙ্গেল গ্যাস লাঞ্চার, মাল্টিপল গ্যাস লাঞ্চার, গ্যাস গ্রেনেড, মাল্টিপল গ্যাস গ্রেনেড, ট্রেসার গান ব্যবহারের কথাও বলা হয়।
রিভলবার এবং পিস্তল । খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে যে এই দুটো আবার আলাদা আলাদা করে কি বোঝায় । যেসব আগ্নেয়াস্ত্র এক হাতে ধরে গুলি ছোঁড়া যায়, এক কথায় তাদেরই পিস্তল বা রিভলবার বলা যাবে। আদি পিস্তল গুলোতে একবারে মাত্র একটাই গুলি ছোঁড়া যেত । সেই দিয়েই মানুষ পরমানন্দে খুনাখুনি চালাতে চালাতে অনুভব করলো বার বার বারুদ ভরো, গুলি ভরো, তারপর মারো; এই প্রক্রিয়াটা অনেক সময়সাপেক্ষ। আরো তাড়াতাড়ি মারতে পারলে সুবিধা । সেই প্রচেষ্টার ফলেই এলো রিভলবার । একবারে ৬ টা গুলি ভরে নিয়ে খুনোখুনি করায় সুবিধা হলো আরো বেশি ।
সাল ১৮৩০। স্যামুয়েল কোল্ট নামের বছর ১৬ বছরের এক ছেলে বড় হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঘর ছাড়ল । ভাগ্যসন্ধানের জন্য চড়ে বসলো ভারতবর্ষগামী এক বানিজ্য জাহাজে । জাহাজের কাজের ফাঁকে ফাঁকে অবসর সময়ে খেলাচ্ছলে বানিয়ে ফেলল এক নতুন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র - যেটা বারবার লোড না করেই গুলি ছোঁড়া যায় পরপর ।কোল্ট এরপর স্থাপন করেন রিভলবার এর কারখানা ।১৮৫০ এর দিকে প্রথম কোল্ট এর কারখানা অভূতপূর্ব সাফল্য পেতে শুরু করে।কারিগরী দিক থেকে ভীষনরকম সরল এই যন্ত্রটি প্রথমে আমেরিকা এবং পরে সাড়া পৃথিবীর মানুষের জীবনধারাই পাল্টে দেয় । শুনতে নিষ্ঠুর হলেও ভীষণ বাস্তব এই সত্য যে , মুঠোভর্তি মাত্র এই অস্ত্র যত সহজে মুহুর্তের মধ্যে মেরে ফেলতে পারে একটা প্রানীকে, এত সহজ খুন করার যন্ত্র ছিলনা আগে মানুষের হাতে ।
বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকার অন্তত ৩০ টি স্পটে গোপন কারখানা গড়ে তাতে তৈরি হচ্ছে দেশী বন্দুক।দিনের বেলায় মুলত অস্ত্র তৈরির কাজ চলে। পাহাড়ের অভ্যন্তরে নিরাপদ স্থানে গড়ে তোলা প্রায় প্রতিটি কারখানার পরিবেশ অনেকটা ওর্য়াকশপ ও কামারের দোকানের মত। বিগত সময় এখান থেকে এম-১৬, একে-৪৭ ও রকেট লাঞ্চারের মত আধুনিক মারণাস্ত্র উদ্ধার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেনেড এক প্রকারের নিক্ষেপণযোগ্য বোমা।অধিকাংশ গ্রেনেডই বিসফোরণের পরে চারিদিকে ছররা বা ধাতুর টুকরো বা শার্পনেল অতি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। হাজার বছর আগে চাইনিজদের আবিস্কৃত গান পাউডার বদলে দেয় সমরাস্ত্রের ধরন। তখনকার দিনে গ্রেনেড বোমায় ব্যবহৃত হত গান পাউডার।
অধিকাংশ বোমাই সাধারণ জ্বালানীর তুলনায় কম শক্তি সঞ্চিত করে। ব্যতিক্রম হিসেবে রয়েছে পারমাণবিক বোমা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় এক জনসভায় বক্তৃতাদানকালে গ্রেনেডের মাধ্যমে সৃষ্ট বোমা হামলায় বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ও তাঁর কানের পর্দা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উক্ত হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ১৯ জন মৃত্যুবরণ করেন ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।আইনস্টাইনে সেই সূএর টির E=mc^2 উপরেই আবিষ্কার পৃথিবীর ইতিহাসে শক্তিশালি বোমা পারমানবিক বোমা।
এই পোস্টে মূলত অস্ত্র কি এবং কেন এ সম্পর্কে ধারনা দিতে চেস্টা করা হয়েছে। তবে মারনাস্ত্র তৈরি ও এ সম্পর্কিত গবেষনাকে বরাবরই ঘৃনা করি। এগুলো একটি সভ্যতাকে ধংস করে দেয়ার হাতিয়ার ছাড়া আর কিছুই নয়।একটু লক্ষ করলে দেখবেন এই বোমা গুলো তৈরী জন্য আমেরিকা যে পরিমান অর্থ আর মেধা ব্যয় করেছে তা যদি মানবতার কল্যানে ব্যয় করা হয় আজ পৃথিবী অন্যরকম হত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
অতুল মিত্র বলেছেন:
দারুন ।