নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
দিনাজপুর জেলার চারপাশ ঘীরে রয়েছে সীমান্ত এলাকা। আর সীমান্ত এলাকায় পাশ্বর্তী দেশ ভারত কাটা তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে। ভারতের কাটা তার দিয়ে ঘেড়া দেওয়ার বাইরেও থেকে গেছে মন্ডপাড়া গ্রাম। যে গ্রামের বাসিন্দরা ভারতীয় নাগরিক হলেও বাংলাদেশের মোবাইল -সীম ব্যবহার, প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করে আসছে। ধ্বংস হয়ে গেছে বাংলাদেশের যুব সমাজ।শুধুই মাদক নয় পাশ্ববর্তী এলাকা জুরে অস্ত্র পারাপারের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহারও হচ্ছে।যে ভাবে মাদক বাংলাদেশে আসছে যুব সমাজ শেষ হতে আর বেশি দিনের অপেক্ষা করতে হবে না।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের (ইপিআর) সদস্যরা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এ বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় অবদান। স্বাধীনতাযুদ্ধে ইপিআরের ৮০০ সদস্য শাহাদত বরণ করেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আবদুর রউফ।
বেনাপোল বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম যেখানে একটি সীমান্ত তল্লাশী ঘাঁটি ও আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর অবস্থিত।ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বেনাপোল গ্রামটি বাংলাদেশের যশোর জেলার শার্শা উপজেলার অন্তর্গত। বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের দিকের অংশটি পেট্রাপোল নামে পরিচিত। বেনাপোল হতে কলকাতা মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই পথে প্রতিদিন শত শত ভ্রমণকারী চলাচল করে থাকে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারত বিভাগের পর ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার্স রাইফেলসের নাম পরিবর্তন করে নাম রাখা হয় ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস। এর সংক্ষিপ্ত নামকরণ করা হয় ইপিআর। কলকাতা মেট্রোপলিটন আর্মড পুলিশের একটি দল এবং বাঙালি ও পশ্চিম পাকিস্তানের এক হাজার সেনা এ বাহিনীতে যোগ দেয়। দক্ষ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনার জন্য ইপিআরে সামরিক বাহিনী থেকে সেনা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।২০০৯ সালে পিলখানা সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের বিভীষিকাময় নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বিডিআরের ২১৫ বছরের গৌরবময় অধ্যায়ের ছন্দপতন ঘটে। এ বাহিনীর নাম ও পোশাক পরিবর্তন করে নতুন আইনও প্রবর্তন করা হয়। ২৩ জানুয়ারি ২০১১ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিবির পতাকা উত্তোলন করেন।
সীমান্তরী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্য উৎকোচের বিনিময়ে ভারতে পাট পাচারে সহায়তা করছে। প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় প্রতিদিন চরফ্যাশন, মনপুরা, হাতিয়াসহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক শ’ টন ইলিশ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর হয়ে পাচার হচ্ছে ভারতে।সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রতিরাতে অবাধে পাচার হচ্ছে কোটি টাকার রাবার। এলাকার পাচারকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বাগানের একশ্রেণীর কর্মকর্তাও। বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে জ্বালানি তেলের দাম বেশি। সেই সুযোগে প্রতিদিন দেশ থেকে দেড় লক্ষাধিক লিটার জ্বালানি তেল পাচার হয়ে যাচ্ছে ভারতে। এই পাচারের নেপথ্যে রয়েছে রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাকের চালকরা। সাতক্ষীরার তলুইগাছা, কাকডাঙ্গা ও মাদরা সীমান্ত দিয়ে ব্যাপকভাবে বাংলাদেশ থেকে রসুন ভারতে পাচার হচেছ। এ তিনটি সীমান্ত দিয়ে একইভাবে ভারত থেকে আসছে আমদানী নিষিদ্ধ ফেনসিডিল ও গাঁজা।রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে এবার অবাধে ভারতে পাচার হচ্ছে পেঁয়াজ। রাজশাহীর মতিহার, গোদাগাড়ী, বাঘা, চারঘাট এবং শিবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার পেঁয়াজ বস্তায় ও গরুর গাড়ীতে করে সীমান্ত দিয়ে চলে যাচ্ছে ভারতে।
সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে ফেনসিডিল, হেরোইন, নেশার ইনজেকশন, গাঁজা, মদ, নেশা জাতীয় ট্যাবলেটসহ নানা প্রকার মাদকদ্রব্য পাচার হয়ে আসছেই। বিভিন্ন সময়ে এসব মাদকদ্রব্যের বড় বড় চালান পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি’র সদস্যদের হাতে আটক হলেও জঘন্য এ অবৈধ ব্যবসার নেপথ্যে থাকা অপরাধীচক্র থাকছে সম্পূর্ন ধরাছোঁয়ার বাইরে।কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হচ্ছে হাইব্রীড ধান বীজ এবং ভারত থেকে আসছে মদ,গাজা,ফেন্সিডীল, ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য।কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে চোরাই পথে আসছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্য। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ তাদের প্রতিরোধে হিমশিম খাচ্ছে।
ভারতীয় কাঠ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। আবার এ চক্র বিভিন্ন পরিচয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের চোরাচালানী ব্যবসা। ভারতীয় যেসব কাঠ সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে আসছে তার মধ্যে বিশেষ করে রয়েছে সুন্দি, গামাইর, শীলকরই, রামডালা, চাকরাশি প্রভৃতি মূল্যবান কাঠ রয়েছে।ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে পাচার করে আনা হচ্ছে ফেনসিডিল। বিশেষভাবে তৈরি ভেলাযোগ সীমান্তবর্তী নদী পার হয়ে আসছে এসব ফেনসিডিলের চালান। এ ধরনের বিভিন্ন মাদকদ্রব্য অটো রিকশার চেসিসের নিচে, সাইকেলে, ভ্যানে স্তূপ ফসলের নিচে, কাপড়ের বান্ডিলের মধ্যে এপারে আনছে চোরাচালানকারিরা। বিশেষ করে রাতে সীমান্তের ওপার থেকে ভেলায় করে বস্তাভর্তি ফেনসিডিল ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে।
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
অতুল মিত্র বলেছেন:
লেখা ভাল লাগল তবে মিডিয়ার তথ্যসূত্র দিয়ে বিশ্লেষন করলে আশ্বস্ত হোতাম ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বাঙ্গালির জন্য আমদানি হয় বিষ
আর রপ্তানি হয় মুল্যবান সম্পদ
অরক্ষিত সিমান্ত সমূহ বিপদ
এক্ষনি ব্যবস্থা না নিলে সব নিঃশেষ ।