নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
দলের শীর্ষনেতাদের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের ওপর জামায়াত-শিবিরের নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট আলেম-ওলামারা। তাদের মতে, ইসলামে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের। সব ধর্মের মানুষকে সমানাধিকার ভোগ করার অধিকার ইসলাম দিয়েছে। কেউ যদি সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করে, তা ধর্মদ্রোহেরা শামিল। কোরআনে আল্লাহ সংখ্যালঘুদের ওপর কোনও ধরনের নির্যাতন করতে নিষেধ এবং নির্যাতন করলে কঠোর শাস্তির কথাও উল্লেখ করেছেন।কোনও ধর্মীয় উসকানিতে কান দেওয়া উচিত নয়।
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, মন্দির ভাংচুর তো মসজিদ ভেঙে দেওয়ার মতো অপরাধ।ইসলাম সব মানুষের নিরাপত্তার কথা বলেছে, সহনশীলতার কথা বলেছে। ইসলাম একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধর্ম। কোনও ধর্মকে আঘাত করা ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না।সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলাই তাদের উদ্দেশ্য।সারা দেশে স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠি কর্তৃক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ী-ঘর, মন্দিরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ চলছেই । শান্তি অশান্তি গলা ধরাধরি করে এগোবে--- স্থায়ী শান্তি বলে কিছু হয় না, তেমনি স্থায়ী অশান্তি নিয়েও মানুষ বাঁচে না।
সাঈদীর ফাঁসির রায় হওয়ার পরপরই চট্টগ্রামের বাঁশখালী সদরের শীলপাড়ায় মন্দির পুড়িয়ে দেন জামায়ত-শিবিরের কর্মীরা। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নোয়াখালীসহ বেশ কিছু জেলায় চার দিন ধরে একটানা একতরফা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চালানো হয়েছে এবং হচ্ছে। এ সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেড় হাজারের বেশি বাড়িঘর ও অর্ধশতাধিক উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেককে নির্মমভাবে জখম করে হত্যা করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়েছে। আগুন দিয়ে বাড়ির পর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
১৯৮৬ সালে ধ্বংস হওয়া দালাইলামা বৌদ্ধ মন্দির ছিল ঠিক দিঘীনালা বাজারের পরেই যেখানে পরবতীর্কালে একটি সামরিক চেকপোষ্ট বসানো হয়। এক সময় যেখানে মন্দির ছিল এখন সেখানে খালি জায়গায় মেশিনগান দিয়ে নিশানা চর্চা করা হয়। মন্দির বলতে এখন শুধুমাত্র কিছু ইট এবং সিমেন্টের ভিত পড়ে আছে। সৈন্য বাহিনীর সহায়তায় বসতিস্থাপনকারীরা ঘরবাড়ী জ্বালিয়ে দেয়। আশ্রমের কাছাকাছি অন্যান্য বৌদ্ধ মন্দির ছিল সেগুলো পুড়িয়ে দেয়া হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠি তথা নারী ও শিশু, সংখ্যালঘু এবং প্রতিবন্ধিদের অধিকার সুরক্ষাই হলো একটি সমাজের ন্যায় বিচারের মানদন্ড। বর্তমান সময়ে দেশের পত্রিকা বা টিভি চ্যানেলে যে সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে, তা হল সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং এই নির্যাতন নিয়ে নাস্তিক ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের উদ্বেগের কারণ ।গত বছর কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের বৌদ্ধ উপাসনালয় এবং ঘরবাড়ি আক্রমন এবং সহিসংতার পর জামাতি তান্ডবের প্রেক্ষাপটেবৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষজন শঙ্কাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছেন বলে সংবাদপত্রে উঠে এসেছে।
বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজে হিন্দু-মুসলিম পাশাপাশি বসবাস করছে । সম্পূর্ণ আলাদা সম্প্রদায় হয়েও তাদের ভিতর রয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি । পাশাপাশি বসবাস করলে অনেক সময় বিভিন্ন কারণে বিবাদ হতে পারে । যে বিবাদ ভাইয়ে ভাইয়ে হতে পারে, পরিবারে পরিবারে হতে পারে, হতে পারে প্রতিবেশির সাথে । গ্রামীণ সংস্কৃতি হতে এই বিবাদগুলোর উৎপত্তি হয়েছে । কিন্তু বাংলাদেশের গ্রামে কখনও হিন্দু - মুসলিম বিবাদ হয়নি । বিবাদগুলো হয়, জমি নিয়ে, রাস্তা নিয়ে, গ্রামীণ মতপার্থক্যের কারণে ।
সাম্প্রদায়িক সহিসংতা থেকে বড় প্রাপ্তি হলো সাধারণের মনযোগ ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। এবং বলতে দ্বিধা নেই যে স্থানীয় জনসমর্থনও ক্ষেত্রবিশেষে বাড়ে। জামায়াত সবসময়ই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে তার প্রতিপক্ষ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে গন্য করে। এটাই হয়ে আসছে। ১৯৬৪ সালে যখন ভারত-পাকিস্থান যুদ্ধ হয় সেসময় এটা হয়েছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়তো বাংলার মাটিতে হিন্দুত্ব সাফ করার জন্য পাকিস্থানের সেনাদের মোটিভেট করে আনা হয়েছিল। সাথে ছিল জামায়াতের গনহত্যা, ধর্মান্তরিতকরণ সহ যুদ্ধাপরাধ। ২০০১ সালে নির্বাচনের পরও আবার যে হিংসাত্মক সাম্প্রদায়িক সহিংস হামলা হয় তার নির্মম শিকার হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রান্তিক মানুষজন।
পাহাড় ও সমতলের আদিবাসী আর বাঙ্গালি জনগণের ঐক্য-সংহতি স্থাপন করা অতি জরুরি। আত্মপরিচয় কেড়ে নিয়ে আমরা সেই ঐক্য-সংহতি ধবংস হতে দিতে পারি না। আমরা দাবি করি বৈচিত্র-বৈভবে সবাই একসাথে বাঁচি। সকলের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত হোক। ১৫ বছরের পুরোনো পার্বত্য শান্তি চুক্তি (১৯৯৭) অবিলম্বে বাস্তবায়ন হোক। সকল জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করা হোক।
২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
বিষক্ষয় বলেছেন: সকলের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত হোক।
৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মশামামা বলেছেন: মজার একটা গল্প শোনাই - দেখেন কি চমকপ্রদ কাহিনী। নিজে পাত্তা না পাইয়া দু'জন ব্লগারের প্রেমের কবিতা আদান-প্রদানকে কেন্দ্র করিয়া একজন জনপ্রিয় ব্লগার জ্ঞান-বুদ্ধি হারাইয়া কিভাবে তার চক্ষুশূলদ্বয়কে গালিগালাজ করিয়া ব্লগ থেকে বিতাড়িত করিতে পারেন।
এখানে দেখেন - শায়মার ন্যাকা কাহিনী:
Click This Link
দুইদিন হইতে বিরাট গবেষণা করিয়া আমি ইহা আবিষ্কার করিয়া ফেলিলাম। তবে, নীলঞ্জন বা সান্তনু একটা গাধা। দিবাকে আমার ভালোই লাগতো। যাইহোক, উচিত ফল পাইয়াছে। তবে, শায়মা ও যে এক বিশাল মক্ষীরাণী এ ব্যাপারেও কোন সন্দেহ নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
নন্দনপুরী বলেছেন:
হে আল্লাহ.....শিবিরের হাত থেকে তুমি ইসলাম দেশ ওদেশের মানুষকে রক্ষা কর