নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিদিন সবার একটি আমলকি খাওয়ার অভ্যেস করা উচিত

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৩

ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। বীজ দিয়ে আমলকির বংশবিস্তার হয়। বর্ষাকালে চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকায় একে ভিটামিন ‘সি’র রাজা বলা হয়। লেবু জাতীয় অন্য কোনো ফলে এত ভিটামিন ‘সি’ নেই। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ দরকার। দিনে দুটো আমলকি খেলে এ পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়।



উদ্ভিদের নাম: আমলকী

স্হানীয় নাম: আমলকী/অমৃতকলা, শ্রীফল, ধাত্রী

ইংরেজীতে: Phyllanthus emblice.

ভেষজ নামঃ- Embilica officinalis Gaertn.

ফ্যমিলিঃ Eophorbiaceae

ব্যবহার্য অংশ: পাতা, ফুল ও বাকল।

রোপনের সময়: বছরের সবসময় রোপণ করা যায় ।

উত্তোলনের সময়: যখন থেকে ফল ধরতে শুরু করে তখন থেকেই ফল আহরণ করা যায়।

আবাদী/অনাবাদী/বনজ: আমলকী বনজ এবং জঙ্গলের ঔষধী উদ্ভিদ।



কাঁচা আমলকী বেটে গোসলের ২/৩ ঘণ্টা পূর্বে মাথায় মেখে রোদে বসে শুকিয়ে ধুলে চুলের গোড়া শক্ত হয় ।আমলকী বাটা নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে রাত্রে ঘুম ভাল হয় ও মাথা ঠান্ডা থাকে, চুল ঝরঝরে থাকে এবং চুলের রং কালো হয় ।আমলকী বেটে তার সাথে সাদা চন্দন ভালভাবে মিশিয়ে পুরো কপালে ঘষলে মাথা ধরায় আরাম পাওয়া যায়।কাঁচা আমলকীর রস দুই ফোঁটা করে দিনে দুইবার ব্যবহার করলে তিন দিনে চোখওঠা ভাল হয় ।হার্টের রোগীরা আমলকি খেলে ধরফরানি কমবে। টাটকা আমলকি তৃষ্ণা মেতে, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বন্ধ করে, পেট পরিষ্কার করে।



সংস্কৃত ভাষায় এর নাম 'আমালিকা'। আমলকী গাছ বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, মায়ানমার, মালয়েশিয়া ও চীনে দেখা যায়।এটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে। আমলকির ফল, পাতা ও ছাল থেকে তৈরি পরীক্ষামূলক ওষুধে কিছু রোগ নিরাময়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে যেমন- ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ এবং কিডনি-রোগ।দীর্ঘমেয়াদি কাশি সর্দি হতে উপকার পাওয়ার জন্য আমলকীর নির্যাস উপকারী।বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিতে আমলকি ব্যবহার হয়। আমলকি থেকে তৈরী তেল মাথা ঠান্ডা রাখে। আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে। পিত্ত সংক্রান্ত যেকোনো রোগে সামান্য মধু মিশিয়ে আমলকি খেলে উপকার হয়।



প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকিতে আছে:

জলীয় অংশও – ৯১.৪

মোট খনিজ – ০.৭

আঁশ – ৩.৪

খাদ্যশক্তি – ১৯

আমিষ – ০.৯

চর্বি – ০.১

শর্করা – ৩.৫

ক্যালসিয়াম – ৩৪মি:

লৌহ – ১.২

ক্যারোটিন – ০

ভিটামিন বি-১ – ০.০২

ভিটামিন – ০.০৮মি:

ভিটামিন সি – ৪৬৩



লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।আমলকীর জুস দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখার জন্য উপকারী। ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় উপকারী।এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডিটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।আমলকী আপেলের মতো অভিজাত ফল নয়। আপেলের মতো নিবিড় পরিচর্যায় এটি আবাদও হয় না। জন্ম অযত্নে বন-বাদাড়ে। কিন্তু গুণের বিচারে একটি আমলকীর সমান ছয়টি আপেল।



আমলকির রেসিপি-আমলকী ২৫০ গ্রাম, চিনি ১ কাপ, সিরকা আধা কাপ, আদার টুকরা ৪-৫টি, শুকনা মরিচ ২টি, লবণ পরিমাণমতো।প্রথমে টুথপিক দিয়ে আমলকী ছিদ্র করে ফিটকিরির পানিতে ১৪-১৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। মাঝেমধ্যে পানি পাল্টে দিতে হবে। এবার একটি পাত্রে পানি ও লবণ দিন। একবার ফুটে উঠলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে সব উপকরণ একসঙ্গে দিয়ে আমলকী অল্প আঁচে সেদ্ধ করে নিন। আচার হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। এরপর বয়ামে ঢুকিয়ে রাখুন।



আমলকির মোরব্বা- আমলকি—৫০০ গ্রাম, চিনি—২৫০ গ্রাম, ২টো পাতিলেবু রস, নুন—১/২ চা চামচ। প্রণালীঃ আমলকি ধুয়ে, একটা কাঠি দিয়ে সারা গায়ে ফুটো ফুটো করে, এক হাঁড়ি জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন, কষ বেরিয়ে যাবে। কেউ কেউ জলের সঙ্গে একটু ফিটকিরিও দেন। সকালে জল ঝরিয়ে, ধুয়ে, নুন দিয়ে তিন পেয়ালা জলে, কম আঁচে সেদ্ধ বসান। নরম হয়ে গেলে নামান। এবার দেড় কাপ জল দিয়ে চিনির রস করুন। ফুটলে গাদ তুলে ফেলে দিন। একটু পরে লেবুর রস দিন। এবার রসের মধ্যে সেদ্ধ আমলকি ঢেলে, আরো আট-দশ মিনিট ফুটিয়ে, আমলকি গলবার আগে নামিয়ে ফেলুন। ঠান্ডা হলে চওড়ামুখ বোতলে ভরে রাখুন।



এফল দামে সস্তা ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। বাচ্চা থেকে শুরু করে সবারই ফল খাওয়ার আগ্রহ বাড়ানো উচিত। এতে পুষ্টি চাহিদা পূরণের সাথে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করবে। আর অবহেলা নয়, গুণী এই বৃক্ষটির সংরক্ষণ ও ব্যবহার বিষয়ে আমাদের সচেতন এবং মনোযোগী হতে হবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১৯

প্রভাতের পথিক বলেছেন: পুত্তুম প্লাস। ভাই খু্‌ব ই উপকারী পোষ্ট দিলেন।

পোষ্টের জন্য +++++++++++++++++++++++++

১৩ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:২১

টুনটুনি সুখি বলেছেন: আম্লকির গুনাগুন অনেক আগে থেকেই জানতাম । তবে এখন আর ও ভাল করে জানা হল । খুবই উপকারি পোস্ট ।
++++++++++
ভাল থাকুন
সুস্থ থাকুন
সব সময়
:) :)

১৩ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.