নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এক মহিলা একজন বুযুর্গের নিকট এসে বললো! হযরত আমাকে এমন একটি তাবিজ দিন, যা ব্যবহার করলে আমার স্বামী আমার প্রতি নম্র-কোমল হয়ে যাবে। উক্ত বুযুর্গ কিছু পানি নিয়ে তাতে কোন কিছু না পড়ে তাকে দিয়ে দিলেন এবং বললেন, এ পানি বোতলে রেখে দিবে। যখন তোমার স্বামী ঘরে আসবে, তখন এ পানি হতে সামান্য কিছু মুখে নিয়ে বসে থাকবে এবং সে ঘর থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত পানি মুখেই রাখবে। ফলে তোমার স্বামী পানির মতো হয়ে যাবে।
মহিলা তাই করলো। স্বামী যখন ঘরে আসতো, সে বোতলের মুখ খূলে কিছু পানি মুখে নিয়ে বসে থাকতো, ফলে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই স্বামী তার প্রতি অত্যন্ত নম্র-কোমল হয়ে গেলো।
তখন মহিলাটি কিছু নযরানা নিয়ে উক্ত বুযুর্গের কাছে গিয়ে বললো, হযরত! আমার স্বামী এখন আর আমাকে কঠিন কোন কথা বলে না। আমার প্রতি অত্যন্ত নম্র-কোমল ও সদয় হয়ে গেছে।
বুযুর্গ তখন মুচকী হেসে বললেন, সেটা তো একটা কৌশল ছিল। ঝাড়-ফুক বলতে কিছুই ছিল না। তোমার আচরণ থেকে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, তুমি তোমার স্বামীর প্রতি রুক্ষ ভাষা প্রয়োগ করতে। ফলে সেও তোমার উপর কঠোরতা করতো। তাই আমি তোমার মুখ বন্ধ করার জন্য এ কৌশল গ্রহন করেছিলাম। যাও, এখন থেকে আর স্বামীর সাথে রুক্ষ ভাষায় কথা বলবে না। আর তোমার এ টাকা ও মিষ্টি আমি গ্রহন করলাম না। তা তুমি নিয়ে যাও।”
#### #### #### #### ####
একডাকাত অনেক অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছিল। একদিন ডাকাতটি খ্যাতিসম্পন্ন একজন শিক্ষককে বলল, কিভাবে আমি সুখ অর্জন করতে পারি? আমার অনেক অর্থ-কড়ি ধন-সম্পদ রয়েছে। তারপরও নিজেকে অসম্পূর্ণ মনে হয়।
শিক্ষক লোকটিকে পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে গেলেন। তিনি তিনটি বৃহৎ পাথরের দিকে নির্দেশ করে ডাকাতকে পাথরগুলো বহন করে তাকে পাহাড় বরাবর অনুসরণ করতে বললেন। তখন ডাকাত তিনটি পাথরের ভারে হাটতে পারছিল না। তাই সে বলল, এত ভারি বোঝা নিয়ে আমি আপনাকে অনুসরণ করতে পারছি না। তখন শিক্ষক বলল, একটি পাথর রেখে দাও। ডাকাত তাই করল। তারপর শিক্ষককে অনুসরণ করে পাহাগের দিকে কিছুদূর যাওয়ার পর, ডাকাত দু'টি পাথর নিয়ে হাটতে পারছিল না। শিক্ষক তাকে দ্বিতীয় পাথরটি ফেলে দিতে বললেন এভাবে তৃতীয়টিও ।
এরপর ডাকাত শিক্ষককে পাহাড়ের উপর পর্যন্ত অতি সহজেই অনুসরণ করতে পারল। তখন শিক্ষক বললেন, ন্যায়ের সঠিক পথ থেকে বিচ্যুতি স্থুল বিবেকের জন্ম দেয়। তুমি যেমন ভারি পাথরের বোঝা নিয়ে পাহাড়ে উঠতে পারছিলে না, তেমনিস্থল বিবেক দ্বারা সুখ অর্জন করা যায় না। মূল্যবোধের বিরোধীতা থেকেই স্থুল বিবেকের জন্ম হয়, কঠিন চাপ বৃদ্ধি পায় এবং নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ তাচ্ছিল্য বিবেকের মৃত্যু ঘটায়। মৃত বিবেক ক্রমান্বয়ে গল্পের পাথরের ন্যায় স্থুল হয়ে পড়ে। জীবন বোঝা হয়ে দাড়ায়।
বাস্তবিকই মানুষের মুখের ভাষা বড় বিপদ জনক। মুখের ভাষার কারনেই অনেক বিপত্তি ঘটে।
২| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১০
আহলান বলেছেন: হুম, মহিলারা এমনই, দেখেন না সংসদের অবস্থা! হ্যগোর মুখেও পািন রাখার ব্যবস্খা করতে হৈব।
৩| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:৪২
খাটাস বলেছেন: বাস্তবিকই মানুষের মুখের ভাষা বড় বিপদ জনক। মুখের ভাষার কারনেই অনেক বিপত্তি ঘটে।
প্লাস টাইপ পোস্টের প্লাস টাইপ কথায় প্লাস।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখা।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।