নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনে কমপক্ষে ২০ বার বলুন- ‘আমি ভালো আছি’।

২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

নিজের অভিজ্ঞতা থেকে একটা কথা বলি- ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের সকল বিধানই মানুষের জন্য চির কল্যাণকর। যে কেউ(সে অমুসলিম হউক) ইসলামের বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করবে, নিঃসন্দেহে সে সুখের সন্ধান পাবে। লাভ করবে সুখ-সমৃদ্ধ শান্তিময় জীবন। পক্ষান্তরে কেউ যদি নিজের মনমত চলে, ইসলামি বিধি-বিধানকে লঙ্ঘন করে অবলীলায়, তার জীবনে নেমে আসে চরম অশান্তি; উন্মুক্ত হয় বিপদ-মসিবত ও জ্বালা-যন্ত্রণার দ্বার!



এক ছেলে তার রুমমেটের নাক ডাকার শব্দে ঘুমাতে পারেনা। রুমমেটকে এটা বলেও কোন লাভ হচ্ছেনা। তাই, ছেলেটা একদিন তার রুমমেটকে ঘুমের মধ্যে বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গার ঐ পারে নিয়া ফালায়া আসে। ফিরে আসার পথে নৌকার মাঝির বৈঠার আঘাতে পানির ছিটা এসে ছেলেটার মুখে লাগে। ছেলেটা বিরক্ত হয়ে মুখ সরিয়ে নিতে গেলে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ছেলেটা দেখে তার রুমমেট তাকে পানির ছিটা দিয়ে ঘুম ভাঙ্গাচ্ছে।





একজন বিখ্যাত লেখক একবার বক্তৃতা দিয়ে আসছেন, তো পথের মাঝে একজন তরুণের সাথে তার দেখা, দেখে বোঝাই যায় তরুণ দরিদ্র ঘরের ছেলে,ছেঁড়া ময়লা শার্ট,উস্কো খুসকো চুল, তো তরুণ এসে লেখককে প্রস্তাব দিলো, "জনাব আপনি কি দয়া করে আমাকে আপনার একদিনের রোজগার ধার দেবেন, বিনিময়ে আমি আপনাকে একদিন আমার এক বছরের রোজগার দেব" .....তো লেখক বালকের কথাকে পাত্তা দিলেন না, বাড়ি ফিরে সাহায্যের নামে এমনি কিছু ডলার দিলেন, দিয়ে বললেন, "না পারলে ফেরত দিতে হবে না..". তরুণ ধন্যবাদ দিয়ে বলল, 'জনাব আপনার এই উপকার আমি কোনদিন ভুলবো না'........তো এভাবে অনেকদিন কেটে যায় লেখক সেই তরুণের কথা ভুলে যায়, হঠাৎ অনেক বছর পর সেই তরুণের আবির্ভাব, সে তখন যুবক, লেখকের সেই মুহূর্তে অভাব চলছে। তরুণ এসে তাকে কয়েক হাজার ডলার দিয়ে বলল, "জনাব, আপনি একদিন আমাকে আপনার একদিনের রোজগার দিয়ে হেল্প করেছিলেন, আজকে আমার সময় এসেছে এই নিন আমার একদিনের রোজগার।" সেই লোকটার একদিন এর রোজগার ছিল সেই লেখক মানুষটির এক বছর এর রোজগার ..... লেখকের সেই মুহূর্তে চোখে পানি চলে এল, এবং তিনি অদ্ভুত দৃষ্টিতে যুবক কে দেখতে লাগলেন। সেই যুবকের নাম ছিল চার্লিচ্যাপলিন।



বাংলাদেশের মানুষের রাগ-ক্ষোভ, আবেগ-ভালবাসা সব কিছুই চড়ুই পাখির মত। কোন কিছুই তাঁরা দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখতে পারেনা। সম্ভবত ভৌগোলিক ও পরিবেশগত কোন সমস্যার কারনে এ উপ-মহাদেশের মানুষদের মধ্যে এই স্বভাবটা গড়ে উঠেছে। এখানে এত সমস্যা, এত ইস্যু প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হয় কোনটা রেখে কোনটা ধরবে তাঁরা বুঝে উঠতে পারেনা।



সমুদ্র, জানি তুমি একের পর এক ঢেউ তুলছ আমার জন্য। কিন্তু তোমার প্রচণ্ড টানের কাছে জীবনের বাস্তবতা যেন দানবের মত এসে দাড়ায়। সমুদ্র, তুমি সমুদ্র হয়েই অনেক বেশী সুখী আমার থেকে। আমি চাইলেই তোমার মত ঢেউ তুলতে পারিনা নিজের মাঝে। আছরে পরতে পারিনা বালুর বুকে।



"রাস্তায় ঢাকনা বিহীন ম্যানহলের ভিতরের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকবেন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে কয়েকজন আপনাকে ঘিরে একই ভাবে ম্যানহলের ভিতরে তাকিয়ে আছে। একটু পরে আপনি সেখান থেকে চলে যাবার পর সেখানে ছোট খাট একটা জটলা তৈরি হবে। একজন তাকিয়ে থাকবে অন্যজন তাকিয়ে আছে বলে, কেউ জানে না তারা কেন ম্যানহলের ভিতরে তাকিয়ে আছে।



সমাজে কিছু মানুষ আছে শুধু মানুষের ভুল ধরার তালে। নিজে কোন ভাল কাজ করবে না, অন্যরা করলেও তার মধ্যে হাজারটা ভুল ধরার চেষ্টা করবে। আরে ভাই নিজে একা কারও উপকার করতে না পারলে যারা করছে তাদের সাথে মিলে কর, তা না পারলে যারা করছে তাদের উৎসাহ দে, তাও না পারলে চুপচাপ ঘরে বসে থাক। তা না করে কিছু আছে ফেসবুকে বসে নেতিবাচক মন্তব্য করার তালে। গঠনমূলক সমালোচনা বা পরামর্শ এক জিনিস আর উদ্দেশ্যমুলকভাবে নেতিবাচক মন্তব্য করা আলাদা জিনিস।



সুন্দর মন আর ভালো ব্যক্তিত্যের জন্যে সবচেয়ে দরকারী হচ্ছে উদার মনের হওয়া। উদার না হলে কখনোই সুন্দর মনের অধিকারী হতে পারবেন না। অবশ্যই আপনাকে আপনার ধর্মীয় অনুশাসনগুলো মানতে হবে এবং অবশ্যই তা যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে। ধর্মগ্রন্থগুলো সবসময়েই একটা মানুষকে বিচার-বুদ্ধি প্রয়োগ করেই কাজ করতে বলে।



নৌকা আসিয়া লাগিল। সকলেই ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে দেখিবার জন্য ব্যস্ত। ভিড় হইয়াছে। ঠাকুরকে নিরাপদে নামাইবার জন্য কেশব শশব্যস্ত হইলেন। অনেক কষ্টে হুঁশ করাইয়া ঘরের ভিতর লইয়া যাওয়া হইতেছে। এখনও ভাবস্থ — একজন ভক্তের উপর ভর দিয়া আসিতেছেন। পা নড়িতেছে মাত্র। ক্যাবিনঘরে প্রবেশ করিলেন। কেশবাদি ভক্তেরা প্রণাম করিলেন, কিন্তু কোন হুঁশ নাই। ঘরের মধ্যে একটি টেবিল, খানকতক চেয়ার। একখানি চেয়ারে ঠাকুরকে বসানো হইল, কেশব একখানিতে বসিলেন। বিজয় বসিলেন। অন্যান্য ভক্তেরা যে যেমন পাইলেন, মেঝেতে বসিলেন। অনেক লোকের স্থান হইল না। তাঁহারা বাহির হইতে উঁকি মারিয়া দেখিতেছেন। ঠাকুর বসিয়া আবার সমাধিস্থ। সম্পূর্ণ বাহ্যশূন্য! সকলে একদৃষ্টে দেখিতেছেন।



(ফেসবুক থেকে সংগ্রহ )

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

কালোপরী বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.