নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

যখন জীবনটা হতাশা-বিশৃঙ্খলার মাঝে দিয়ে যায়, তখন প্রতিটা পুরুষের জন্যেই একজন প্রেরনাদায়ী নারীর প্রয়োজন পড়ে

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৪

রহস্যময়ী এক নারী হেলেন কেলার।মানুষ বিধাতার সৃষ্টির সেরা জীব। তাই যুগে যুগে কিছু মানুষ জন্মগ্রহণ করেন যাদের দেখে খুবই বিস্মিত হতে হয়। চোখ দিয়ে সুন্দর পৃথিবী দেখেনি, কান দিয়ে শোনেনি কোনো বাক্য, পারেনি মুখ দিয়ে কথা বলতে। এই জগত্ তাদের কাছে অদৃশ্য, মানুষের কথা তাদের কাছে নিঃশব্দ, বাক্যহীন, নীরব, নিস্তব্ধ। পৃথিবীতে এ ধরনের মানুষের সংখ্যা অতি নগণ্য। উনিশ শতকের দিকে এরকমের একজন নারী হচ্ছেন ‘হেলেন কেলার’, বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ১৮৮০ সালের ২৭ জুন উত্তর আমেরিকার টুস্কুমরিয়া নামের ছোট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আথার কেলার এবং মা’র নাম ক্যাথরিন। হেলেন কেলারের বয়স যখন মাত্র দেড় বছর তখন তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবা-মা প্রাণের প্রিয় কন্যার জীবনের আশা-ভরসা ছেড়ে দিলেও ভেঙে পড়েননি। চিকিত্সা শুরু করেন। তত্কালীন সময়ে আমেরিকা পৃথিবীর একটি উন্নত দেশ হলেও আজকের মতো চ্যালেঞ্জিং চিকিত্সা ব্যবস্থা ছিল না। বহু চিকিত্সার পর জীবন রক্ষা পায়। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! কথা বলা, শোনা এবং দেখার শক্তি চিরদিনের জন্য হারিয়ে যায়। অন্ধকার, আলোহীন আর নিস্তব্ধে ছেয়ে যায় মায়ার জীবন ও জগত্।



আট বছর বয়সে অ্যানা সেলভেন নামের এক গৃহশিক্ষিকা তার পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। এখান থেকেই তাদের ৪৯ বছরের সম্পর্কের শুরু। এনি নিজেও একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি ছিলেন। এনি প্রথমে আঙুল দিয়ে হেলেনের হাতে বিভিন্ন চিহ্ন এঁকে এবং এরপর বর্ণমালা কার্ড দিয়ে বর্ণমালা শেখান। তারপর ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়াশোনা করেন। ১০ বছর বয়সে নরওয়েতে উদ্ভাবিত এক পদ্ধতি অনুসরণ করে কথা বলা শেখেন হেলেন। ১৯০০ সালে রেডক্লিফ কলেজে ভর্তি হন যেখানে বিশ্ববিখ্যাত লেখক মার্ক টোয়েনের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। কলেজে পড়বার সময়েই সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন হেলেন কেলার। ডিগ্রি অর্জনের আগেই তার আত্মজীবনী দ্যা স্টোরি অব মাই লাইফ প্রকাশিত হয়। ১৯০৪ সালে হেলেন প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি হিসেবে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।



যদিও তিনি সম্পূর্ণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছিলেন, কিন্তু তিনি দৃষ্টিসম্পন্ন বহু জ্ঞানী লোকের চেয়েও বেশি বই পড়েছেন। শুধু বই পড়েনইনি, বই লিখেছেনও। তার রচিত বইয়ের সংখ্যা ১১-প্রধান বই হচ্ছে—দি স্টোরি অব মাই লাইফ, লেট আস হ্যাভ কেইথ, দি ওয়ার্ল্ড আই লিভ ইন, ওপেন ডোর ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অভিশপ্ত বিড়ম্বনা জীবনের বিষাদের ওপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। চলচ্চিত্রে তার নিজের ভূমিকায় তিনি নিজেই অভিনয় করেছেন। তিনি বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নারী ছিলেন অথচ স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে বেশি সঙ্গীত উপভোগ করতে পারতেন। তার সঙ্গীত উপভোগ করার আশ্চর্য পদ্ধতি ছিল। তিনি বাদ্যযন্ত্রের ওপর হাত রেখেই বলে দিতে পারতেন তাতে কি ধরনের সুর বাজছে। হাতের স্পর্শ দিয়ে তিনি শ্রবণের কাজ করতেন আশ্চর্য বুদ্ধিমত্তা দ্বারা। গায়ক-গায়িকার কণ্ঠে হাত দিয়ে অনায়াসে বলতে পারতেন কি সঙ্গীত গাইছে। তার এমন আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল যে, বহুদিনের পরিচিত মানুষের সঙ্গে করমর্দন করে বলে দিতে পারতেন তার পরিচয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়ে তিনি নৌকা চালাতে পারতেন। নদীতে সাঁতার কাটতে পারতেন, নৌকা বাইতে পারতেন, দাবা ও তাস খেলতে পারতেন। ঘরে বসে সেলাই করতে পারতেন।



১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের অনুরোধে হেলেন কেলার বিভিন্ন হাসপাতালে যুদ্ধাহত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নাবিক ও সৈনিকদের দেখতে যেতেন এবং শান্তি ও আশার বাণী শোনাতেন। যুদ্ধ শেষ হলে বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিশ্বব্যাপী এক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রয়াস পান। ১৯৫৯ সালে হেলেন কেলার জাতিসংঘ কর্তৃক বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন।



১৯৬৮ সালের ১ জুন হৃদয়ের আলোতে আলোকিত এই মহিয়সী প্রতিবন্ধী নারী দুনিয়ার মায়া ছেড়ে চলে যান। বিশ্বব্যাপী বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নারীর স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার জন্য এবং অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৭ সালে ‘আমেরিকান এসোসিয়েশন ফর দি ওভারসিজ ব্লাইন্ড’ গঠন করা হয়েছে। পরে নাম পরিবর্তন করে ‘হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল’ করা হয়েছে।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৩

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :D :D :D :D :D :D

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৫০

লক্ষ্মীছাড়া বলেছেন: উপস্থাপন নিঃসন্দেহে চমৎকার।
ধন্যবাদ। ভালো থাকার শুভ কামনা ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০০

বাংলার হাসান বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম।+++++++++

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:২০

জুন বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
+

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

bangal manus বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত।যোগ্য সঙ্গীনি ছাড়া সফলতা অসম্ভব ।দুরাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রেরণা অন্তর্গত ব্যাপার । নারী সব সময়েই প্রয়োজন ।



প্রেরনার জন্য নারী! কামুক পুরুষের আজীবন ছল ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

চিগিমিকি বলেছেন: কিন্তু মেয়েরাইতো ডিসটাফ করে ছেলেদের মাথা নষ্ট করে দেয়

ওদের জন্য কুন কাজই ঠিকমুত করা যায় না

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: !

৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

টুম্পা মনি বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫২

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অনেক তথ্যই অজানা ছিল। ভাল লাগল।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০১

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: ভাল লাগল । +++

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:২৫

মুহাম্মদ যিয়ান ইলাহী বলেছেন: লুল রে লুল।

#রবীন্দ্রনাথ

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: From dust I have come, dust I will be.
Dust we will be.

১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

কল্লোল পথিক বলেছেন: সহমত

১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

কল্লোল পথিক বলেছেন: সহমত

১৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

কল্লোল পথিক বলেছেন: সহমত

১৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

জন রাসেল বলেছেন: ব্রাদার আমাদের নতুন সং-টা দুদিন আগে রিলিজ করলাম। আপনাকে লিংকটা দিয়ে গেলাম। সময় পেলে ডু মারবেন অবশ্যইঃ স্বপ্ন দেখার দিন - টিয়ারস অফ সাইলেন্স

মন্তব্যটি পড়ার পর দয়া করে মুছে দেবেন। পোষ্টের কমেন্টে এসে কেউ বিজ্ঞাপন দিচ্ছে এটা দেখতে ভালো লাগে না। ;)

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: দেয়ার ইজ আ গোল্ড মাইন ইন দা স্কাই ফার,
আওয়ে, উই উইল ফাউন্ড ইট....

১৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

আরুশা বলেছেন: একমত

১৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২২

গ্রীনলাভার বলেছেন: একসময়কার প্রেরনাদায়ী নারী ই যখন হতাশা-বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী হবে, তখন কি করব?

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: বনী ইসরাইলের নবী মুসা আঃ একবার আল্লাহ তায়লাকে জিজ্ঞাসা করলেন হে আল্লাহ তুমি যখন খুব খুশি হও তার নিদর্শন কি? আল্লাহ বললেন আমি যখন বেশী খুশি হই তখন বৃষ্টি দেই। এবার মুসা আঃ আবার জিজ্ঞাসা করলেন এর চেয়ে বেশী খুশী হলে কি করেন ? আল্লাহ বললেন তখন মানুষকে আমি কন্যা সন্তান দান করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.