নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এবাড়ি ওবাড়ি- দুই বাড়ির দুটি বিড়ালের মধ্যে খুব ভাব। দিনরাত প্রায় সব সময় একত্রেই তাদের বসবাস। আহার সংগ্রহ এবং ভক্ষণেও তারা সহযাত্রী।
এক দিন এক দরিদ্র প্রতিবেশীর পর্ণ কুটিরে ঢুকল বিড়াল দুটি। জীর্ণ-শীর্ণ রান্নাঘরের ভেতর চিতই পিঠা বানাচ্ছে গৃহবধূ। তাদের ইচ্ছা ছিল গৃহবধূর চোখ ফাঁকি দিয়ে দুটি পিঠা নিয়ে পালিয়ে আসবে পাকঘর থেকে। ভাঙা বেড়ার ফাঁক দিয়ে তারা ঢুকল দুই দিক দিয়ে। গৃহবধূর নজরে আসতেই সে হাত দিয়ে ধাক্কা দিল একটি বিড়ালকে। সঙ্গে সঙ্গে বিড়ালটি কামড়ে দিল গৃহবধূর হাতে। যন্ত্রণায় কাতর হলেও হাতের কাছে পড়ে থাকা এক টুকরা লাকড়ি দিয়ে তাড়া করল বিড়ালটিকে। এ সুযোগে অন্য বিড়ালটি চিতই পিঠা নিয়ে চম্পট দিল।
আনন্দে নাচতে নাচতে বাড়ির পেছনের জঙ্গলে গিয়ে মিলিত হলো দুই বিড়াল। এখন একটি পিঠাকে ভাগ করে খাওয়ার জন্য শুরু হলো সলাপরামর্শ। পিঠা বহনকারী বিড়াল বলল, বন্ধু কিছুই করতে পারলে না তুমি অযথা পিটুনি খেয়ে পালিয়ে এসেছ প্রাণভয়ে। তবু তোমাকে দেব খানিকটা। বড় অংশ খাব আমি। অপর বিড়ালটি বলল, বিপদের ঝুঁকি নিয়ে সাহস করে আমি গৃহবধূর হাতে কামড় দিয়ে মনযোগ নিয়ে আসলাম আমার দিকে। তোমার জন্য সৃষ্টি করে দিলাম সুযোগ। আর ফাঁকা মাঠে গোল দিলে তুমি। ফলে পিঠার বড় অংশ প্রাপ্য আমার। বিষয়টি নিয়ে শুরু হলো বিতর্ক। পিঠা চুরিতে কার ভূমিকা বেশি এ বিতর্কে বন্ধুত্ব বিনষ্ট হওয়ার উপক্রম।
শেষ পর্যন্ত একমত হলো উভয়ে। সমান দুটি টুকরায় ভাগ করা হবে পিঠা এবং বন্ধুত্ব অটুট রাখার এটাই উত্তম সমাধান। কিন্তু পিঠা সমানভাবে দুই টুকরা করার জন্য নিরপেক্ষ তৃতীয় পক্ষ আবশ্যক। তাই তারা শরণাপন্ন হলো তাদের অপর বন্ধু বানরের কাছে। দুই বাড়ির মাঝখানে ছিল একটি বড় গাছ। তার উপর বসবাস একটি বানরের। বিড়াল দুটিকে দেখে দ্রুত নিচে নেমে এলো বানর। ঘটনা শুনে বানর বলল, এটা তো খুবই সহজ কাজ। তোমরা বসো এবং দেখ, কি চমৎকার করে আমি খুশি করে দেব তোমাদের। বানরের কথা শুনে খুবই খুশি হলো বিড়াল দুটি। পানি এসে গেল তাদের জিহ্বায়। অধৈর্য হওয়ার উপক্রম হলো তাদের। কতক্ষণে ভাগ হবে পিঠা, কখন পাবে নিজের অংশ, কখন খেতে শুরু করবে, এ নিয়ে অস্থিরতা উভয়ের মধ্যে। বানরকে অনুনয়-বিনয় করে দুটি বিড়ালই বলল তাড়াতাড়ি কর বন্ধু, আর সইতে পারছি না, পেটে বড় খিদে। নানা টালবাহানায় ইচ্ছা করেই বিলম্ব করছে বানর।
অবশেষে বিড়াল দুটির চাপে বানর অসমান ভাগে বিভক্ত করলো পিঠাটি। একটি অংশ বড়, অপরটি ছোট। ভয়ানক খেপে গেল বিড়াল দুটি। অবশেষে উভয় অংশ যাতে সমান হয় তার জন্য বানর পাশের বাড়ি থেকে নিয়ে এলো দাঁড়িপাল্লা। পাল্লা হাতে নিয়ে মাপতে শুরু করল পিঠার উভয় অংশ। যে টুকরাটি বড় সেটি সমান করার আশ্বাস দিয়ে একটু বেশি অংশ খেয়ে ফেলল বানর। তাতে বড় অংশটি হয়ে গেল ছোট এবং ছোট অংশটি হয়ে গেল বড়। আবার যে অংশ বড় হয়ে যায় সে অংশ সমান করার অজুহাতে এমনভাবে খায় যাতে বেশি ছোট হয় যায় বড় ভাগটি।
এভাবে পালাক্রমে খেতে খেতে সবটুকু পিঠাই চলে যায় বানরের পেটে। ভয়ানক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বিড়াল দুটি। এত কষ্টে অর্জিত পিঠার পুরোটাই চালাকি করে খেয়ে ফেলেছে দেখে বানরের ওপর জোটবদ্ধ হয়ে চড়াও হয় দুই বিড়াল। বানরকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেয় বিশ্বাসঘাতকতার।
গল্পটি আমাদের দেশে প্রচলিত একটি লোককাহিনী। প্রকৃতপক্ষে এটি ঈশপের গল্প।ঈশপ ছিলেন খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর মানুষ। ভারতবর্ষে বুদ্ধদেব এবং চীনে কনফুসিয়াস জন্মেছিলেন যে শতাব্দীতে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ২ হাজার ৬০০ বছর আগে গ্রিসে জন্মেছিলেন ঈশপ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
অনিক সি বলেছেন: "এত কষ্টে অর্জিত পিঠার পুরোটাই চালাকি করে খেয়েফেলেছে দেখে বানরের ওপর জোটবদ্ধহয়ে চড়াও হয় দুই বিড়াল। বানরকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেয়বিশ্বাসঘাতকতার" এই অংশটুকু নতুন লাগল। ছোটবেলা বইতে শুধু ঐটুকুই ছিল।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫১
েবনিটগ বলেছেন:
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালই লেখছেন।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
পেন্সিল চোর বলেছেন: ++++++++++++++
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৩
মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: হাহা ভাল লাগলো। তবে আমি হলে ছোট অংশটা হাসি মিখে খেতাম আর বড় টুকরাটা তাকে দিতাম। তবেইনা বন্ধুত্ব হল