নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথের কোনো বিকল্প নাই- ৯৫

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা বললেই তো ঋষির মতো একটি মানুষের ছবি ভেসে ওঠে।এ মানুষটির এতো এতো গুণ ছিলো যে, তা বলে শেষ করাই যাবে না। তার সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রয়াত অধ্যাপক হুমাযুন আজাদ। তিনি বলেছেন- ‘রবীন্দ্রনাথই আমাদের সব’৷ যখন তার বয়স হয়ে গিয়েছিলো, তিনি তখন অনেকটাই শিশুর মতো হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি কবিতার মধ্যে কি লিখেছেন শোনো-



‘যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে, আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে, চুকিয়ে দেব বেচা-কেনা, মিটিয়ে দেব লেনা-দেনা বন্ধ হবে আনাগোনা এই হাটে - আমায় তখন নাই বা মনে রাখলে, তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাই বা আমায় ডাকলে।। তখন কে বলে গো, সেই প্রভাতে নেই আমি? সকল খেলায় করবে খেলা এই-আমি।’



আমাদের কবিগুরু বিদেশ ঘুরতে খুবই পছন্দ করতেন। বিদেশ বলতে যে তিনি শুধু ভিনদেশ বুঝিয়েছেন তা কিন্তু নয়। বিদেশ মানে হলো, অনেক দূরে কোথাও। তিনি কলকাতার ছেলে ছিলেন, লেখাপড়া করতে বিলেত পর্যন্ত গেছেন। আবার যখন তার ঘাড়ে শিলাইদহে বসে জমিদারি দেখার ভার চাপলো তখনও তাকে অনেক ভ্রমণ করতে দেখা গেছে। তিনি বজরায় করে পদ্মা নদীর বুকে ঘুরে বেড়াতেন। আর বিভিন্ন এলাকা দেখতেন। কখনও কখনও পালকিতে চেপেও যেতেন তিনি। পালকি মানে ছয় বেহারার পালকি। আর বজরা মানে বড়ো নৌকা। তিনি আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও আরো অনেক দেশ ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৭৮ থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে তিনি পাঁচটি মহাদেশের ৩০টিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেন। ১৯১২ সালে যখন তিনি ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন, তখন তিনি এক কাণ্ড করে বসলেন। সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন এক তাক বই! তার এসব বইগুলো সবাইকে রীতিমতো আশ্চর্য করে দিলো। তিনি তার বইগুলো বন্ধুত্ব বাড়াতে বিলিয়ে দিলেন। যাদের তিনি বই দিয়েছিলেন তাদের নামগুলো শোনো একবার- চার্লস এফ অ্যাণ্ড্রুজ, অ্যাংলো-আইরিশ কবি উইলিয়াম বাটলার ইয়েট্স, এজরা পাউন্ড, রবার্ট ব্রিজেস, আর্নস্ট রাইস। প্রত্যেকেই তাঁদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশ্ববিখ্যাত।



আইনস্টাইনও রবীন্দ্রনাথের বিজ্ঞানের প্রতি এ ভালোবাসাটা বুঝতে পেরেছিলেন। এদিকে, আইনস্টাইনও ছিলেন কবিতার ভক্ত। সুযোগ বুঝে তিনিও রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কবিতার বিষয় বুঝে নিতেন। তাদের যখন বন্ধুত্ব হলো তখন দুজনেরই বয়স হয়ে গেছে। যদি বলো ‘বুড়ো’, তাও বলতে পারো। কিন্তু দুজনই তো তখন পৃথিবীর জ্ঞানী দুটো বুড়োই, নাকি! তাদের বন্ধুত্বের সময়টাকে রবীন্দ্রনাথ ঊনসত্তর বছর পেরিয়ে সত্তরে পা দিয়েছেন। আইনস্টাইনের বয়স তখন বাহান্ন। রবীন্দ্রনাথের চেয়ে আইনস্টাইন ১৮ বছরের ছোট ছিলেন। তবুও তাদের বন্ধুত্বে কোনোরকম সমস্যাই হয়নি!



রবীন্দ্রনাথ-আইনস্টাইন দুজনই নামকরা ব্যক্তি। তারা যে সে সময় কি আলাপ করেছিলেন কেউ জানতে পারেনি। তবে, এ আলাপের পর থেকে দুজনের বন্ধুত্ব এতোটাই জমেছিলো যে, আইনস্টাইন পরবর্তীতে শান্তিনিকেতনে বেড়াতেও চলে এসেছিলেন।



রবীন্দ্রনাথ আইনস্টাইনের মনে যে শ্রদ্ধার রেখা টেনেছিলেন, ১৯২৬ সালে লেখা আইনস্টাইনের একটি চিঠি থেকে সে প্রমাণ পাওয়া যায়। চিঠির তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯২৬। ছোট্ট একটা চিঠি। সে চিঠিতে বন্ধুকে আইনস্টাইন লিখেছেন, মাননীয় আচার্য, ... আপনাকে স্বচক্ষে দেখে আসতে না পারার জন্য দুঃখিত। শুনেছি আপনার উপর প্রচুর ধকল গেছে। তাই ভিড় বাড়িয়ে আপনার বিশ্রাম এবং শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটাতে চাইনি। জার্মানিতে যদি এমন কিছু থাকে যা আপনি চান এবং যা আমি করতে পারি, দয়া করে, যখন খুশি আমায় আদেশ করবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.