নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনে করি, A হলো একটি সফল জীবন। A=x+y+z, এখানে x=কাজ, y=খেলা, z=মুখ বন্ধ রাখা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর দিবারাত্রির কাব্য অনেকেরই পড়া। তারই বিশেষ একটা লাইন পড়ে মনে হয়েছিল - প্রচণ্ড বৃষ্টির এ রকম তুলনা কি করে কেউ ভাবতে পারে? চিন্তাই করতে পারি না!

মালতির খুব সরল মনের মেয়ে আনন্দ! আনন্দ সমুদ্রে প্রবল বৃষ্টি দেখে বলেছিল 'কি বৃষ্টি নেমেছে! সমুদ্রটা পর্যন্ত ভিজে যাবে' । যে সমুদ্র সীমাহীন জলের আধার - সেটা ভিজে যাবে !!!



১/ স্ত্রী ছাড়া কোনো মেয়েকে বিশ্বাস করা ঠিক না। সব মেয়েই কালনাগিনী, পিশাচিনী।



২/অনেক সময় প্রিয় মানুষটির সাথে মান-অভিমানের কারনেই সৃষ্টি হয় দূরত্ব। আর এই দূরত্বই আমাদের বুঝিয়ে দেয় যে ঐ মানুষটির ভালবাসা বেঁচে থাকার জন্য কত বেশি প্রয়োজন !

তখন ছুটে গিয়ে তার হাতটি ধরে বলে উঠতে ইচ্ছে হয়, ভালোবাসি, ভালোবাসি, অনেক বেশি ভালোবাসি..... ♥♥



৩/ শেয়ার মার্কেটের চোরদের শাস্তি হয় না ... মন্ত্রীর চুরির শাস্তি হয় না ... পয়সাওয়ালাদের করা খুনের শাস্তি হয় না ... ধর্ষণের শাস্তি হয় না ... ধনীদের কোন অপরাধের শাস্তি হয় না !!

এই দেশে খুনের আসামী কে ধরা হয় ... ফাঁসির রায় দেয়া হয় ... রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমা করে দেন ... তার শাস্তি হয় না !!



৪/ হে মানবসন্তান আমি নানান রুপে তোমাদের সামনে নিজেকে উপস্থিত করেছি। চোখ মেললেই আমাকে দেখবে। কান পাতলেই আমাকে শুনবে। কেন তোমরা চোখ ও কান দুই-ই বন্ধ করে রেখেছ?



৫/ কোন বইতে যেন পড়েছিলাম- অতি সহজেই আমরা মানুষ সম্পর্কে একটা সিদ্ধান্তে চলে আসি। মানব চরিত্রের এটা একটা বড় দুর্বলতা। একটা মানুষ সম্পর্কে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব তার মৃত্যুর বারো বছর পর। মৃত্যুর পর কোনো মানুষ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। মৃত্যুর কারণে লোকটার প্রতি মমতা চলে আসে। বারো বছর পার হবার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।



৬/ মানুষের জীবনে জ্ঞান বা ভালো পরামর্শ হলো মূল্যবান পাথরের মতো। এ-জিনিস যতো বেশি সম্ভব সংগ্রহ করা উচিত। জ্ঞান যত বেশি হবে, মানুষ ততো আলোকিত হবে, হবে মনের দিক দিয়ে ধনী। অবশ্য জ্ঞানের পিপাসা কখনো মেটে না। আফসোস থেকেই যায়। কিন্তু যতোটা সম্ভব জ্ঞান অর্জন করে যাওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে দিন শেষে আফসোসের মাত্রা কম হবে।



৭/ আকাশে ওড়ার সময় একটি কবুতরের সঙ্গে একটি কাকের দেখা হল। কবুতর কাককে জিজ্ঞেস করল: ‘তুমি কোথায় যাচ্ছ?’ কাক বলল: ‘আসলে আমি কোথাও যেতে চাই না। কিন্তু কেউ আমার কণ্ঠ পছন্দ করে না। তাই সবার কাছ থেকে দূরে কোথাও চলে যাচ্ছি।’ কবুতর বলল: ‘তোমার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। কারণ, তুমি যেখানেই যাও সেখানেই কেউ না কেউ থাকবে এবং তোমার কণ্ঠস্বরও পরিবর্তিত হবে না।’



৮/ কাউকে বেশি ভালবাসবেন না, এইটা অমার্জনীয় পাপ ।



৯/ "বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে"

খুবই সুন্দর এবং বাস্তব একটি কথা।

দয়া করে কেউ পাখি কিনে বা অন্যায় ভাবে ধরে খাঁচায় বন্দি করে রাখবেন না।দেখতে হয়তো আপনার ভাল লাগতে পারে , কিন্তু যে খাঁচার ভিতরে ছটফট করছে তার কথা ভাবার কি সময় আছে আপনার?



একবার শুধু নিজেকে জেল খানার বন্দি অবস্থায় দেখুন। ঠিক বুঝতে পারবেন যে বন্দি জীবন কতটা কষ্টের।



১০/ আমরা শুধু আপন মানুষ খুঁজি, কিন্তু আপন মানুষদের খুঁজতে হয় না , তারা পাশেই থাকে ।



১১/ বাচ্চারা কথা বলতে শিখলেই নানান প্রশ্ন করে। একটি ৪ বছরের শিশু প্রতিদিন গড়ে ৪৩৭টি প্রশ্ন করে।



১২/ জোড়াসাঁকোতে থাকতে রবীন্দ্রনাথের ধর্মীয় চিন্তা-ভাবনা যে রকম ছিল শান্তিনিকেতনে যাওয়ার পর তা কিন্তু ধীরে ধীরে বদলে গিয়েছিল। বিশেষ করে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী ছাত্রদের কাছে বক্তব্য তুলে ধরতে গিয়ে তার ধর্মীয় ভাবনায় পরিবর্তন এসেছিল। গৌতম বুদ্ধ, যীশু খ্রিস্ট, গুরু নানক প্রমুখ ধর্মগুরুর সম্মানে তিনি কবিতা ও গান রচনা ও পরিবেশন করেছেন। তাঁদের জীবন ও দর্শন সম্পর্কে আলোচনাও করেছেন।

হযরত মোহাম্মদ (সা:) -এর জন্মদিনে শান্তি নিকেতনের মন্দিরের অনুষ্ঠানে ‘কোন আলোকে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে তুমি ধরায় আসো’ গানটি গাওয়া হতো।



১৩/ শুধু অর্থ মানুষকে সুখী করে না। অর্থ যে সুখী করে না এটা প্রমাণিত সত্য। তবুও মানুষ জ্ঞানশূন্য হয়ে অর্থের পেছনে ছুটছে কেন? এটা তো একটা ভুল দৌড় মাত্র। এই ভুল দৌড়ের ব্যাপারেও আমাদের ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআনে অনেক কথা বলা আছে। মানুষ যদি বুঝত তার জীবনটা অতি সংক্ষিপ্ত, এরপর তার জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে, তা হলে তো এই পৃথিবীতে আরো অনেক বেশি শান্তি বিরাজ করত।



১৪/ হাসপাতালে ঢুকে দেখি হাসপাতালটা বেশ জোরেসোরে ঝাড়ামোছা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেয়াল থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে- হাতের দাগ, পানের পিক, নাকের পোঁটা। আজেবাজে পোষ্টার, ওষুধের বিজ্ঞাপন সব ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। লোকজনের মহা উৎসাহ। একজন ক্লিনার শুনি আরেকজনকে বলছে, হাত চালাইয়া কাম করন লাগব মিয়াভাই, বঙ্গবন্ধু দ্যাশে ফিরত্যাছেন, যদি মেডিক্যালে আইয়া দ্যাহেন দেয়ালে নাকের পোঁটা, তাইলে খবর আছে! তার কথা শুনে আরেকজন ক্লিনার অবিশ্বাসের সঙ্গে বলে উঠল, তোমারে কে কইছে যে, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে আইবেন, বঙ্গবন্ধু বাইচ্যা আছে কি না জানো তুমি ?

বাইচ্যা নাই, বঙ্গবন্ধু বাইচ্যা নাই? এই হারামির পুত, তরে কে কইল বঙ্গবন্ধু বাইচ্যা নাই ?

লোকটা মারমুখী চেহারা দেখে অন্য আরেকটা বয়স্ক ক্লিনার মধ্যস্থতা করার জন্য এগিয়ে এসে বলল, বঙ্গবন্ধু বাইচ্যা আছেন, এরকম মানুষরে পাকিস্তান মারবার সাহস পাইবে না, তাগো কোমর ভাইঙ্গা গ্যাছে গা। তার উপর বিরানব্বই হাজার সৈন্য এখনও আমাগো এহানে বন্দী। তাই চিন্তা কইরো না। তারপর একটু থেমে লোকটা বলল, তোমরা তো বঙ্গবন্ধুর নেচার জানো না, জানি আমি। হঠাত কইরা একদিন স্যান্ডেল পায়ে দিয়া মুজিবকোট গায়ে চাপাইয়া মেডিল্যাল হাসপাতাল পরিদর্শনে আইয়া পড়বেন, তখুন এত অপরিস্কার দেখলে তারে আমরা জবাব দিমু কী ?



আনোয়ারা সৈয়দ হোক # উপন্যাস সমগ্র-২

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০০

ঢাকাবাসী বলেছেন: বক্তব্যটি বুঝিনি। অনেক কিছু একসাথে তো!

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৫

খাটাস বলেছেন: বেশ কিছু পয়েন্ট খুব ভাল লাগল। সুন্দর।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন: বন্ধু আপনার দেখার চোখ খুব গভীর ।
এত দূর থেকে ,কোন দিন না দেখে আমায় পড়ে ফেললেন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: কি যে বলেন!!!

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯

ইসিয়াক বলেছেন: কোন্ আলোতে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে তুমি ধরায় আস--
সাধক ওগো,প্রেমিক ওগো, পাগল ওগো, ধরায় আস॥
এই আকূল সংসারে
দুঃখ আঘাত তোমার প্রাণের বীণার ঝঙ্কারে।
ঘোর বিপদ-মাঝে
কোন জননীর মুখের হাসি দেখিয়া হাসো॥
তুমি কাহার সন্ধানে
সকল সুখে আগুন জ্বেলে বেড়াও কে জানে!
এমন ব্যাকুল ক'রে
কে তোমারে কাঁদায় যারে ভালোবাস॥
তোমার ভাবনা কিছু নাই-
কে যে তোমার সাথের সাথি ভাবি মনে তাই।
তুমি মরণ ভুলে
কোন্ অনন্ত প্রাণসাগরে আনন্দে ভাস॥
রাগ:বাউল
তাল:কাহারবা
রচনাকাল(বঙ্গাব্দ): ১৭পৌষ ,১৩১৬
রচনাকাল(খ্রীষ্টাব্দ): ১৯১০
রচনাস্থান:শান্তিনিকেতন
স্বরলিপিকার:সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়,ভীমরাও শাস্ত্রী

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

ইসিয়াক বলেছেন: ৯নং আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
আচ্ছা আপনি কখনো কোথাও বন্দী থেকেছেন?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: কেন বলেন তো?

৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮

ইসিয়াক বলেছেন: এই যে বন্দী জীবনের সঠিক উপলব্ধি কিভাবে পেলেন?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: খাইছে।
ধরা খায়া গেছি।

৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

ইসিয়াক বলেছেন: আমার ও অভিজ্ঞতা আছে.........

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: ও.।.।.।
ওকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.