নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
অ্যাস্ট্রোনমি(Astronomy) বা জ্যোতির্বিদ্যার কাজ হল মহাকাশের কোন বস্তুর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা।পারতপক্ষে জ্যোতির্বিদ্যার কাজ শুধুমাত্র মহাকাশের কোন বস্তুর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করাই না বরং জ্যোতির্বিদ্যার মাধ্যমেই আমরা মহাবিশ্বের গঠন ও সৃষ্টিতত্ত(Cosmology) সম্পর্কে জানতে পারি।আর এই অ্যাস্ট্রোনমি(Astronomy) বা জ্যোতির্বিদ্যার সবচে বড় হাতিয়ার হল টেলিস্কোপ বা দূরবীক্ষণ। গ্যালাক্সি হচ্ছে মহাকাশের সবচেয়ে দীর্ঘতম পর্যবেক্ষণ বস্তু। গ্যালাক্সি সম্পর্কে যত গভীর আর স্পষ্ট তথ্য জানা যাবে ততই মহাকাশ সৃষ্টি এবং মহাকাশ বিবর্তন সম্পর্কে ভালোভাবে জানা সম্ভব হবে।
যারা বিজ্ঞানী নন, তাদেরও তো আছে আকাশ দেখার সাধ। আর তাই তাদের জন্যেও আছে কিছু যন্ত্রপাতি। শখ করে জ্যোতির্বিদ হতে চাইলে প্রথমেই চাই একটা টেলিস্কোপ। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে তৈরি হয়েছে হাবল এবং আলমার মত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেলিস্কোপ ।সাধারন টেলিস্কোপের প্রধান সমস্যা হলো এতে মহাকাশের যে চিত্র দেখা যায় তা কিছুটা ঝাপসা। কারন টেলিস্কোপ আর মহাকাশের মাঝে থাকে পৃথিবীর বায়ুমন্ডল। ঠিক এ কারনেই ১৯৯০ সালের ২৪ এপ্রিল পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের বাইরে ভূ-পৃষ্ট থেকে ৬০০কিলোমিটার উপরে বায়ুমন্ডলে মহাশূন্যে স্থাপন করা হয় ২.৪ মিটার দীর্ঘ হাবল টেলিস্কোপ। প্রথমদিকে এই টেলিস্কোপের সাহায্যে প্রাপ্ত ছবিও ঝাপসা দেখাত। ফলে তিন বছর পর ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মেরামতের পর এই টেলিস্কোপটি পৃথিবী থেকে কয়েক বিলিয়ন আলোক বর্ষ দূরের গ্যালাক্সিও স্পষ্ট হয়ে উঠে।
বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর হাত ধরে যাত্রা শুরু হয়েছিল টেলিস্কোপের। গ্যালিলিও টেলিস্কোপের সাহায্যে বিভিন্ন গ্রহের পরিভ্রমণ পথ পরীক্ষা করে ঘোষণা দিয়েছিলেন সূর্য নয়, পৃথিবীই সূর্যের চারদিকে ঘোরে। বর্তমানে আধুনিক অনেক টেলিস্কোপ তৈরি হচ্ছে।গ্যালিলিওর মৃত্যুর পর আইজ্যাক নিউটন টেলিস্কোপ নিয়ে কাজ শুরু করেন। পৃথিবীতে বর্তমানে প্রতিসরণ ও প্রতিফলন- এ দুই ধরনের টেলিস্কোপ ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিসরণ টেলিস্কোপের উদ্ভাবক গ্যালিলিও গ্যালিলি এবং প্রতিফলন টেলিস্কোপের আবিষ্কারক আইজ্যাক নিউটন।বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত অপটিক্যাল দুরবিন, এটি গ্রেগরিয়ান বাইনোকুলার দুরবিন।
এলিয়েন বা ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের খুঁজে বের করার লক্ষে মেক্সিকোতে ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি টেলিস্কোপ বসানোর পরিকল্পনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা।পৃথিবী থেকে ৬০ বা ৭০ আলোকবর্ষ দূরেও কোন গ্রহেও এলিয়েনদের খোঁজ করতে সক্ষম হবে এ টেলিস্কোপ। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া।এলিয়েন প্রসঙ্গে পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং সতর্ক করে বলেছেন, এলিয়েনদের ঘাঁটানো বা বিরক্ত করা ঠিক হবে না। এতে তারা পৃথিবীতে আক্রমণ করে বসতে পারে। গবেষকেরা আশা করছেন, কলোসাস নামের টেলিস্কোপ তৈরি করা সম্ভব হলে এলিয়েনদের বিরক্ত না করেই দূর থেকে তাদের ওপর নজরদারি করা যাবে।
হাবল টেলিস্কোপ পৃথিবী থেকে প্রায় ছয়শ কিলোমিটার দূরে থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে আর অন্যদিকে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ পৃথিবী থেকে প্রায় দেড় মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করবে! পৃথিবী থেকে দেড় মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বিন্দুটি দ্বিতীয় ল্যাগরেঞ্জ বিন্দু (যা সংক্ষেপে L2 point) হিসেবে পরিচিত। গবেষকরা দেখেছেন, পৃথিবী থেকে মহাকাশ ভালোভাবে পর্যবেক্ষনের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক জায়গা হচ্ছে এই বিন্দুটি।
টেলিস্কোপ অনেক দামের হয়ে থাকে ।মূলত আপনি ১০,০০০ হতে কয়েক লক্ষ টাকা দামের ঢাকা হতে কিনতে পারেন। অথবা কিছু টেলিস্কোপ আছে যেগুলোর দিয়ে পৃথিবীর ভেতরেই বিভিন্ন জিনিস দেখা যায়। ঊঁচু পর্বতের তলায় দাড়িয়ে এক টানে চূড়াটাকে কাছে টেনে আনা যায় এমন টেলিস্কোপও আছে। এই টেলিস্কোপগুলো পাওয়া যাবে ঢাকার স্টেডিয়াম মার্কেটে। চাঁদ-তারা দেখা যায় এমন টেলিস্কোপগুলোর দাম ৩৫,০০০টাকা থেকে শুরু করে ৪,০০,০০০টাকা পর্যন্ত। আর সাধারণ দূরত্বে দেখতে চাইলে ১৮,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা দামের টেলিস্কোপই যথেষ্ট। সৌখিন জোতির্বিদদের জন্য বাজারে আছে নানান রকম টেলিস্কোপ। কোনটা দিয়ে স্পষ্ট দেখা যায় চাঁদ। কোনটা দিয়ে আবার একলাফে চলে যাওয়া যায় আলোকবর্ষ দূরের গ্রহ-নক্ষত্রে।
ইকারাসের নাম কে না শুনেছে, ঐইই যে, মোমবাতির মোম দিয়ে তৈরি পাখা নিয়ে সূর্যের কাছে উড়ে যাওয়া, আর তারপর সূর্যের তাপে পাখা গলে গিয়ে ভূপাতিত হয়ে মৃত্যুবরণ…। …মৃত্যু তো অনিবার্য, কিন্তু মুক্তির যে স্বপ্ন আমাদের দেখিয়ে গিয়েছিল ইকারাসের সেই রূপকথা— আমরা আশাবাদি, জেম্স ওয়েব টেলিস্কোপ আমাদের জ্ঞানের রাজ্যে সেই মুক্তির স্বাদ এনে দিতে পারবে আগামীর সম্ভাবনাময় বিশ্বে।
দেশীয় প্রযুক্তিতে স্বল্প খরচে টেলিস্কোপ তৈরি করেছেন ফজলে রাবি্ব। পড়ছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের দ্বিতীয় সেমিস্টারে।২০২১ সাল নাগাদ চিলিতে বৃহৎ টেলিস্কোপের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। ইউরোপিয়ান এক্সট্রিমলিলার্জ টেলিস্কোপ নামে এই টেলিস্কোপটির মূল আয়না হবে ১৩৭ ফিট, ক্ষমতা হবে টিএমটির চেয়ে ৩০ ভাগ বেশি। তবে মহাকাশে স্থাপিত জেমস-ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সঙ্গে সমন্বয়ের ফলে টিএমটি এরচেয়ে অনেক বেশি কার্যকরি ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন মহাকাশবিদরা।
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:০০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪০
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: আচ্ছা এস্ট্রোফিজিক্সের ওপর কোন ফ্রি বইয়ের ডাউনলোড লিঙ্ক দিতে পারবেন ভাই ?
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:০১
রাজীব নুর বলেছেন: নেটে সার্চ দিন, পেয়ে যাবেন।
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৪
টুং টাং বলেছেন: টেলিস্কোপ এক খান লাগবেই।
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:০১
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক দাম।
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪১
এহসান সাবির বলেছেন: আমি একটা কিনতে চাই।
পোস্ট ++++++
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১০
প্রাচীন মানব বলেছেন: কোন ব্র্যান্ডের টা ভাল হবে ঐ ৩৫০০০ এর মধ্যে যদি বলতেন ? উপকারী পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ব্যান্ড দেখে কেনার দরকার নাই।
৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: দাম শুইনা আকাশ থিকা পড়লাম..........
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: জিনিসটা বানানো অনেক কষ্টের ও ঝামেলার।
৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
ছোটন বলেছেন: চমতকার একটি লেখা পড়লাম। ভাল লাগল
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪
আদরসারািদন বলেছেন: আমার একটি অনুবিক্ষণ যন্ত্র দরকার...............কই পামু কত দাম পড়বে জানাবেন আশা করি। ও হ্যা! তথ্যবহুল পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: বসুন্ধরাতে পাবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: টেলিস্কোপ এবং মহাশুন্য নিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট ভাল লাগল ,
থাকল শুভকামনা ।