নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আসলে পৃথিবীর প্রায় সব মানুষ, তা সে বাঙ্গালী বা ইংরেজ যেই হোক না কেন, সাদা বা কালো, ৪ ফুট বা ৬ ফুট যাই হোক না কেন, জীবনে কোনো না কোনো সময় নিজের অজান্তেই নিজেকে অন্যের চেয়ে ছোট ভাবতে শুরু করে। নিজেকে বলতে থাকে সে আসলে অকৃতকার্য। অসফল। খুব একটা সুন্দর না। এই লেখায় আমি কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো যেগুলোর মাধ্যমে আপনি নিজেকে ছোট ভাবার এই প্রবনতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
১। সবার আগে এই কথাটা মাথায় ঢুকিয়ে নিন যে পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ একে অপরের থেকে ভিন্ন, সবার চেহারা বা শরীরের যে কোনো অঙ্গ একে অপরের থেকে আলাদা। আপনি কি কখনো শুনেছেন পৃথিবীর কোথাও একটি আদর্শ মানুষ আছে, যার সৌন্দর্যকে আদর্শ ধরে অন্যদের সৌন্দর্য বিচার করা হয়?? যদি এমন কেউ নাই থাকে তবে কিসের বিচারে একজন আরেকজনের চেয়ে সুন্দর বা অসুন্দর হতে পারে? সমাজের আশেপাশের মানুষ বলে তাই? নিজের চিন্তাকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা সেইসব মানুষের হাতে দিয়ে দেবেন না যাদের কাছে আপনার কোনো গুরুত্বই নেই।
২। একবার ভাবুনতো, আপনি নিজেকে কোন দিক দিয়ে ছোট ভাবছেন । আপনার যদি শারীরিক কোনো দুর্বলতা থাকে তবে তা পয়েন্ট করে খাতায় লিখুন। এবার ভাবুনতো এসব আসলেই কি অন্যের চেয়ে আপনাকে ছোট করছে? রাস্তায় বের হলে কি এইসব দুর্বলতার কোন একটির জন্যে আপনাকে দুনিয়ার কোনো আইনে আটকে দেয়া হবে? চলাফেরা করতে দেয়া হবে না অন্যদের মতো?
৩। আপনার চারপাশের সবাইকে বিচারক ভাবা বাদ দিন। রাস্তায় বের হলে খুব কম মানুষই পাবেন, যারা আপনার শেষ পরীক্ষার রেজাল্টের ব্যাপারে মাথা ঘামায় অথবা আপনার ওজন বেড়েছে কি কমেছে সে বিষয়ে জানতে আগ্রহী।
৪। পৃথিবীতে কেউই পারফেক্ট না। নদীর ওপারের ঘাস বেশি সবুজ এটা ভাবার কোনো কারন নেই। পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া মেয়েটা আপনার চেয়ে বেশি লম্বা-বেশি ফর্সা ভাবার আগে এটাও ভাবুন যে একটু আগে হেঁটে যাওয়া অনেকেই আপনার চেয়ে কম লম্বা, কম ফর্সা ছিলো। এমন আরো অনেকেই আছে যাদের নাক আপনার চেয়ে বেশি বড়, ঠোঁট আপনার চেয়ে বেশি মোটা!
৫।আপনি আসলে কি নিয়ে ভয় পাচ্ছেন? অন্যরা আপনার দুর্বলতা দেখবে এবং তা নিয়ে আপনাকে উপহাস করবে? এগুলো আপনার মনের দুশ্চিন্তা ছাড়া আর কিছুই না। কেউ যদি কখনো এসব নিয়ে কিছু বলে তাহলে তাতে আপনার কিছুই যায় আসে না, এতে তার নিজের মানসিক দৈন্যতাই প্রকাশ পায়।
৬। কিছুতেই কিছু না হলে আমি নিশ্চিত যে, আপনি নিজের প্রতিই আপনার সব মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে রাখছেন। নিজের কথা সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে অন্যের প্রতি এবার মনোযোগ দিন। দেখবেন যে আপনার সব ভয়, সকল দুশ্চিন্তা কর্পূরের মতো উড়ে গেছে।
৭। নিজেকে একা ভাববেন না। আপনার মতো দুর্বলতা আরো অনেকেরই রয়েছে। তাদের দিকে দেখুন। তারা কিভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছে? অনেকসময় তাদের থেকেও আপনি শিক্ষাটা নিতে পারেন।
৮।নিজের শক্তিশালি দিকগুলোর কথা ভাবুন। দেখবেন আপনি অনেক বেশি কনফিডেন্ট হয়ে উঠছেন।
৯।নিজেকে আয়নায় দেখুন। নিজের প্রশংসা করুন। আপনি নিজে যদি নিজেই নিজেকে সম্মান দিতে না পারেন তবে কে আপনাকে সম্মান করবে?
১০। আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধুটির সাহায্য নিন। মনের কথাগুলো তাকে খুলে বলুন। যদি বলতে না পারেন তবে অন্তত তাকে জিজ্ঞেস করুন যে, সে কখনো নিজেকে ছোট ভেবেছে কিনা। আপনি অবাক হয়ে যাবেন তার কথা শুনে! দেখবেন যে আপনি একা নয়, সবাই নিজেকে কোনো না কোনো কারনে বোকার মতো ছোট ভাবছে।ঠিক আপনার মতো। এবার আপনি ই সিদ্ধান্ত নিন, আর কতো দিন নিজেকে বোকা ভাববেন, ছোট ভেবে নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন।
[ সংগ্রহীত ]
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬
খাটাস বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। +++++++
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৯
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো পোস্ট।
++++++ দিলাম।
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬
আলাপচারী বলেছেন: থ্যাংকু। আত্মবিশ্বাস মাইনাস থেকে একটু উপরে উঠলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪
কালোপরী বলেছেন: