নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা- ২৭

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

সময় বিকাল চারটা। আমি বসে আছি বঙ্গবন্ধুর বাড়ির উল্টা পাশে। আমার পাশে মন খারাপ করে বসে আছে এক বিদেশী মেয়ে। খুবই সুন্দরী মেয়ে। বয়স খুব বেশী হলে বিশ- বাইশ হবে। মেয়েটিকে দেখে খুব মায়া লাগছে। বিদেশী একটি মেয়ে আমাদের দেশে এসে মন খারাপ করে থাকতে পারে না, তাও আবার আমার পাশে। আমার একটা দায়িত্ব আছে না! আমি স্পষ্ট করে ইংরেজীতে মেয়েটিকে বললাম- এই মেয়ে তুমি মন খারাপ করে বসে আছো কেন ? কি হয়েছে তোমার ? মেয়েটি আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে স্পষ্ট ভাবে ইংরেজীতে বলল- এয়ারপোর্ট থেকে বের হওয়ার পর তার ব্যাগ ছিনতাই হয়ে গেছে। ব্যাগের ভেতর পাসপোর্ট এবং ডলার ছিল। মেয়েটির কথা শুনে, মেয়েটির প্রতি আরোও বেশী মায়া লাগল। আহারে...বেচারি। মেয়েটি বলল-কি বললে ? আমি বললাম, না কিছু না। তোমার নাম কি ? মেয়েটি বলল- আমার নাম বারবি।



আমি বারবি'কে বললাম- তুমি চিন্তা করো না। টাকা পয়সা ফেরত না পেলেও তোমার পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। এখন কি তুমি এক কাপ চা খাবে ? মেয়েটি বলল- আমি কফি খাবো। ঠিক এই সময় এক লোক এসে বলল স্যার কফি খাবেন ? ধানমন্ডি লেকের আশে পাশে সব সময় ফ্লাস্কে করে কিছু লোক চা-কফি বিক্রি করে। আমি বারবি'র হাতে প্লাস্টিকের গ্লাসে কফি তুলে দিলাম। এক চুমুক দিয়ে বারবি কফি ফেলে দিয়ে বলল- খুব বিচ্ছিরি। সিগারেট দাও। আমি একটা বেনসন দিলাম। সিগারেটি আরাম করে খেল। কোনো মেয়ে যে এত সুন্দর করে সিগারেট খেতে পারে- বারবি'কে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। আমার ইচ্ছা করলো- বারবি'কে বলি- তুমি আমার সামনে কম করে হলেও আরও পাঁচ টা সিগারেট শেষ করো প্লীজ। বেশীর ভাগ সময়ই মানুষের ইচ্ছা পূরন হয় না। বারবি'র সিগারেট খাওয়া দেখতে রাস্তায় একটা বিরাট জটলা হয়ে গেল। আমি বারবি'কে নিয়ে হাঁটা শুরু করলাম।



বারবি'কে নিয়ে থানায় গেলাম। পুলিশকে সব বুঝিয়ে বললাম। পুলিশ বলল- দেখি কি করা যায়। অর্থাৎ তারা কিছুই করতে পারবে না। আমার থানায় যাওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না, বারবি'র জন্যই যেতে হলো। রুপসী বাংলা হোটেলে বারবি'র জন্য রুম বুক করা আছে। কিন্তু বারবিকে নিয়ে এলাম আমার বাসায়। বারবি হোটেলে থাকতে রাজী হলো না। আমার বাসায় কেউ নেই, সবাই গেছে কক্সবাজার। খালি বাসায় বারবিকে নিয়ে আসাটা কি ঠিক হলো? বাংলাদেশের মাটিতে পা দিয়ে- ছিনতাই এর ঘটনায় সে খুব দুঃখ পেয়েছে। বারবি আমাকে খুব পছন্দ করেছে, সবচেয়ে বড় কথা খুব বিশ্বাস করেছে। কেউ আমাকে বিশ্বাস করলে- ইচ্ছা করে, খুব ইচ্ছা করে তাকে আমার কলিজাটা ছিঁড়ে দেই। এখন আমার চিন্তা মেয়েটা যেন- বাংলাদেশকে খারাপ না ভাবে। এই দেশ গরীব হতে পারে কিন্তু সব মানুষ খারাপ নয়। ভালো মানুষের সংখ্যাই বেশী।



বারবি''কে মা'র একটা শাড়ি দিয়ে বললাম, যাও গোছল করে এটা শরীরে জড়িয়ে নাও। আমি রাতের খাবারের ব্যবস্থা করি। সকালে তোমাকে নিয়ে শপিং এ যাবো। বারবি, অনেক সময় নিয়ে গোছল শেষ করে- মা'র শাড়িটা বৌদ্ধ ধর্মের লোকদের মতন গায়ে প্যাচিয়েছে। বারবি বলল- এত লম্বা কাপড়, তুমি আমাকে একটা শার্ট দাও তার চেয়ে ভালো, আর একটা ট্রাউজার দাও। এই লম্বা কাপড়টা যে কোনো সময় খুলে যাবে। আমারই ভুল হয়েছে। বিদেশী মেয়ের পক্ষে শাড়ি পরা সম্ভব নয়। আমাদের দেশের অনেক মেয়ে শাড়ি পরতে পারে না। তারা পার্লার থেকে পড়ে আসে। বারবিকে আমার একটা শার্ট আর ট্রাউজার দিলাম। আমার ভাবতেই ভালো লাগছে- এত সুন্দরী একটি মেয়ে আমার পাশে, তাও আবার বিদেশী। নিজেকে কোরিয়ান মুভির নায়ক ভাবতে ইচ্ছা করছে। আর বারবি আমার নায়িকা। যে নায়িকাকে দেখে স্বর্গের দেবতারও মাথা নষ্ট হয়ে যাবে।



বারবি টিভি দেখছে। ডিসকোভারি চ্যানেলে ক্যামেরার লেন্স কিভাবে কাজ করে তা দেখাচ্ছে। রাতের খাবার নুডুলস নিয়ে বারবিকে দিয়ে বললাম- শোনো মেয়ে তুমি রাতে কি খাও তা তো জানি না, বাসার সবাই সমুদ্রে বেড়েতে গিয়েছে। আজ রাতে এই নুডুলস খেয়ে পার করতে হবে। আমি নিজে রান্না করেছি। বারবি আগ্রহ নিয়ে নুডুলস খাচ্ছে। কি সুন্দর করেই না খাচ্ছে। ইচ্ছা করল আরও পাঁচ বাটি এনে দিয়ে বলি- খাও তো রাজকন্যা। আরাম করে খাও। আমি তোমার খাওয়া দেখি। এর আগে কি এত সুন্দর করে কোনো মেয়ে নুডুলস খেয়েছে! বারবিকে বললাম এটা আমার ঘর, এই ঘরে তুমি ঘুমাও। আমি অন্য ঘরে ঘুমাচ্ছি। বারবি বলল- আমি একা ঘুমাতে পারব না। ভয় করবে। তুমি আমার সাথে ঘুমাবে। আমি বললাম- তুমি একা একা আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে আসছো- ভয় করেনি। আর এখন একা থাকতে ভয় পাচ্ছো ।



বারবিকে বিছানা ছেড়ে দিলাম। আমি নীচে বিছানা করলাম। বারবি বলল- তুমি নীচে বিছানা করছো কেন ? আমার তো এইডস হয়নি। আমার পাশে ঘুমাতে তোমার সমস্যা কি ? আমি বললাম, ম্যাডাম এটা বাংলাদেশ। এই দেশের সব নিয়ম-কানুন আলাদা। আমি বললাম- বারবি, তুমি কি বোকা ? ঘুমের মধ্যে যদি আমি ভুলভাল কিছু করে ফেলি। বারবি বলল- না, তুমি এই রকম কিছু করতে পারবে না। সবাই সব কিছু পারে না। আমি বললাম- তুমি কি করে এই রকম ভাবলে- যে আমি কিছু করবো না! বারবি বলল- তোমার চোখ দেখেই বুঝতে পেরেছি- তুমি সবার থেকে আলাদা। তোমার চোখে কোনো লোভ নেই। লোভী চোখ মেয়েরা খুব ভালো চিনে। তোমার চোখে যদি লোভ থাকত- তাহলে আমি তোমার বাসায় আসতাম না- হোটেলে চলে যেতাম। আমি বললাম- ও আচ্ছা। আমি বললাম- বাতি কি জ্বালিয়ে রাখব ? বারবি বলল- নো, ঘর থাকবে অন্ধকার।



ঘড়িতে ঢং ঢং করে ঘন্টা বাজল। রাত একটা। বারবি বলল- এই ছেলে তুমি ঘুমিয়েছো ? আমি তো তোমার নাম জানি না। তোমার নাম কি ? আমি বললাম- আমার নাম- গুল্লু। বারবি বলল- গাল্লু আমার ঘুম আসছে না, তুমি আমাকে গল্প শোনাও। আমি বললাম- কি গল্প শুনবে ? প্রেম ভালোবাসার ? নাকি ভূতের ? বারবি বলল- তোমার যেটা ভালো লাগে- সেটাই বলো। আমি শুরু করলাম- ভূতের গল্প। মধ্যরাত্রে এক মেয়ে একা একা গ্রামের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। বারবি বলল- গভীর রাতে একটা মেয়ে একা একা হাঁটবে কেন ? আমি বললাম- আমি কি জানি, মেয়েটি একা একা হাঁটবে কেন ? বারবি বলল- তুমি একটা গল্প বলছো- তুমি জানবে না ! আমি বললাম- বারবি, গল্প বলা শেষ হবে তারপর তুমি প্রশ্ন করবে। গল্পের মাঝখানে হাত ঢুকাবে না। বারবি বলল- হাত ঢুকানো মানে কি ? আমি বললাম- চুপ। এখন মন দিয়ে গল্প শোনো।



গল্প শেষ করার পর, বারবি বলল- গাল্লু ? আমি বললাম আমার নাম গুল্লু। গাল্লু নয়। বারবি বলল- গাল্লু- আমার খুব ভয় ভয় করছে। আমি বললাম- বুকে থু থু দাও তাহলে ভয় কমবে। বারবি বলল- কি যে নোংরা কথা তুমি বলো। রাগ লাগে। হঠাত একটা তেলাপোকা উড়ে এসে বারবি'র গলায় বসল। বারবি চিৎকার দিয়ে লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নেমে আমাকে জড়িয়ে ধরল। ...



চলবে...

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ রোমান্টিক মেয়ে বারবি
বন্ধুর হল অতি আপন
তার পর কি হল
জানালে খুশি হব , অভিনন্দন ।।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬

হৃদ যমুনার জল বলেছেন: বেশ হচ্ছে।carry on...

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: বারবির গল্পটা দারুন লাগলো। বাকীটুকু তাড়াতাড়ি শেষ করুন।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

দুষ্টু ছোড়া বলেছেন: কল্পনার ঘোড়া রাস্তা ছেড়ে দৌড়াচ্ছে। লাগাম ধরে রাস্তায় নিয়ে আসুন। আর হ্যাঁ, হুমায়ুন আহমেদ থেকে সাবধান। ভারী খারাপ লোক, মনে হচ্ছে আপনারও মাথার কিঞ্চিৎ মগজ খেয়ে ফেলেছে।
চেষ্টা চালিয়ে যান, হবে...

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

আকরাম বলেছেন: ভালোই।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫২

খেয়া ঘাট বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো।

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৮

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো লাগলো

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮

ভিটামিন সি বলেছেন: রাত কি ভোর হবে, না রাইতেই কাম শ্যাষ???

৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

আল ইফরান বলেছেন: ভিটামিন সি বলেছেন: রাত কি ভোর হবে, না রাইতেই কাম শ্যাষ???
আমি বলি "গোলাম হোসেন নির্বাক" :P ;) B-))

১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

শীলা শিপা বলেছেন: পাচটা সিগারেট, পাচ বাটি নুডলস... সব পাচ টা করে কেন??

১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

স্বপনীল জলরং বলেছেন: ভাললাগছে !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.