নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

অভিজাত পরিবারে ১৮২০ সালের ১২ মে জন্মগ্রহণ করেন ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল। ১৯১০ সালের ১৩ আগস্ট ৯০ বছর বয়সে লন্ডনে নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন যাত্রী ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল।যুদ্ধাহতদের সেবায় প্রাণপাত করা এই নারীর কথা আজীবন মনে রাখবে পৃথিবীর মানুষ। তার নাম ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল।একজন অভিজাত পরিবারের সন্তান হয়েও বিলাস ও আরাম ছেড়ে তিনি আর্তের সেবার নিয়োজিত ছিলেন সারাটি জীবন।তিনি বিভিন্ন সময় নার্সিংয়ের ওপর বইও লিখেছেন।



১৮৫৫ সালে তিনি নার্স প্রশিক্ষণের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য কাজ শুরু করেন। নিরলস প্রচেষ্টায় ১৮৫৯ সালে তিনি নাইটিঙ্গেল ফান্ডের জন্য সংগ্রহ করেন প্রায় ৪৫ হাজার পাউন্ড।১৯৭৪ সাল থেকে তাঁর জন্মদিন ১২ মে পালিত হয়ে আসছে ‘ইন্টারন্যাশনাল নার্সেস ডে’। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল তাঁর কর্মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন-নার্সিং একটি পেশা নয়, সেবা।



১৮৮৩ সালে রাণী ভিক্টোরিয়া তাকে ‘রয়েল রেডক্রস’ পদক প্রদান করেন। প্রথম নারী হিসাবে ‘অর্ডার অব মেরিট’ খেতাব লাভ করেন ১৯০৭ সালে। ১৯০৮ সালে লাভ করেন লন্ডন নগরীর ‘অনারারি ফ্রিডম’ উপাধি।ক্রিমীয় যুদ্ধের সময় আহত সৈন্যদের সেবার মাধ্যমে নার্সিংকে তিনি ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন; যে কারণে তাকে ডাকা হতো দ্য লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প।যুদ্ধের পর তিনি বহু দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি নারীমুক্তির জন্যও পূর্ণ মাত্রায় সোচ্চার ছিলেন।



নাইটিঙ্গেলের বিশ্বাস ছিল, মানবসেবার এহেন কর্মে নিজেকে উত্সর্গ করার জন্য ঈশ্বরের কাছ থেকে তার ডাক এসেছে। এক্ষেত্রে মা ও বোনের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও তিনি সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। ক্ষুধামুক্ত উন্নত জনস্বাস্থ্যের অধিকারী ভারতের সমর্থক ছিলেন নাইটিঙ্গেল।বহু মনীষী তাঁকে ঈশ্বরের দূত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এখন যারা এ পেশায় নতুন আসেন তারা ‘নাইটিঙ্গেল প্লেজ’ নামে একটি শপথ গ্রহণ করে তার প্রতি সম্মান জানান।

নাইটিঙ্গেল বিশ্বাস করতেন স্রষ্টা তাকে সেবিকা হওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন।



ফ্লোরেন্স শহরের নাম অনুসারে তার নাম ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল রাখা হয়।মানবসেবায় জীবন উৎসর্গকারী মহীয়সী ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল মৃত্যুকালে ৩৫ লাখ পাউন্ড রেখে গিয়েছিলেন।তার ছোটবেলা কেটেছে ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ার অঞ্চলের তাদের পুরনো বাড়িতে। ছোটবেলা থেকেই কেউ অসুস্থ হলে ফ্লোরেন্স সেখানে ছুটে যেতেন সেবা করার জন্য। ১৭ বছর বয়সে তিনি ডার্বিশায়ার থেকে লন্ডনে আসেন। সে সময় লন্ডনের হাসপাতালগুলোর অবস্থা ছিল খুবই করুণ। এর অন্যতম কারণ সে সময়ে কেউ সেবিকার কাজে এগিয়ে আসতেন না। এ পেশাকে সবাই খুব ছোট করে দেখতেন।



তিনি তার জীবনের সবটুকু সময় ব্যয় করেছেন মানুষের সেবায়। প্রবল তুষারপাত ও বৃষ্টির মধ্যেও তিনি বিভিন্ন হাসপাতলে হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতেন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

তানভীর আরিফ বলেছেন: পড়ে ভাল লাগলো।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.