নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১/ শাহী বিফ
উপকরণ : গরুর মাংস ১ কেজি হাড় ছাড়া, পেঁয়াজ ২০০ গ্রাম, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, জিরা ১ টেবিল চামচ, গরম মসলা ১ টেবিল চামচ, ডিম ২টি, টকদই ১ কাপ, মাওয়া ২ টেবিল চামচ, তেল ৭৫ গ্রাম, ঘি ৭৫ গ্রাম, কাঁচামরিচ ৫০ গ্রাম, পেস্তাবাদাম পেস্ট ১ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম পেস্ট ১ টেবিল চামচ, টমেটো ২টি, কিশমিশ ৩০ গ্রাম, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি : গরুর মাংস ভালোভাবে ধুয়ে ছেঁকে নিতে হবে। তারপর ডিম, মাওয়া, ঘি ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে চুলোয় চড়াতে হবে। রান্না করতে হবে কিছুক্ষণ। মাঝে মধ্যে নেড়ে দিতে হবে যেন লেগে না যায়। পানি শুকিয়ে তেল ওপরে উঠে এলে পানি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করতে হবে। সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত এভাবে রান্না করতে হবে। সিদ্ধ হয়ে গেলে মাংস একটি পাত্রে নামিয়ে রাখতে হবে। একটি পাত্রে ঘি দিয়ে তাতে পেঁয়াজ, রসুন, এলাচ, দারুচিনি বাদামি না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে। মসলা বাদামি হয়ে এলে তাতে নামিয়ে রাখা মাংসগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করতে হবে। মাংস ভাজা ভাজা হলে তাতে মাংসের জমানো ঝোল দিয়ে মাখা মাখা করে রান্না করতে হবে। মাখা মাখা হয়ে এলে এতে কিশমিশ ও মাওয়া দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। ডিম ভেজে জুরিয়ান করে কেটে গরম গরম পরোটা অথবা পোলাও এর সঙ্গে পরিবেশন করুন নবাবি বিফ।
২। গরুর চাপ
উপকরণ : গরুর মাংস ৫০০ গ্রাম (কুঁজের হলে ভালো হয়), আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, টক দই ২ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ বাটা ১ চা চামচ, জায়ফল কোয়ার্টার ভাগ, জিরা সিকি চা চামচ, জয়ত্রী ৩টি, গোলমরিচ সিকি চা চামচ, দারুচিনি ২ টুকরা, এলাচ ছোট ২টি ও বড় ১টি সব একসঙ্গে গুঁড়া করে নিতে হবে। পেঁয়াজ মোটা করে কাটা ২টি (বড়), পেঁয়াজ বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ, খোসাসহ কাঁচা পেঁপে বাটা ১ টেবিল চামচ, সরিষার তেল আধা কাপ, সয়াবিন তেল সিকি কাপ, কর্নফাওয়ার ১ টেবিল চামচ, লবন পরিমাণমতো ।
প্রণালী : মাংসের সঙ্গে সবকিছু মাখিযে ২-৩ ঘন্টা রাখতে হবে । এবার তাওয়ায় তেল দিয়ে মাখানো মাংস অল্প আঁচে কষাতে হবে। কালচে রং এলে মাখা মাখা অবস্থায় নামিয়ে নিতে হবে। তারপর লুচি অথবা পরাটার সাথে খাবেন।
৩। গরুর মাংস ভুনা
উপকরণঃ গরুর মাংস ১ কেজি, আদা বাটা ৪ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, আস্ত রসুন ৬ কোয়া, জিরা বাটা ১ চা চামচ, দারুচিনি ৬ টুকরা, এলাচ ৬ টুকরা, পেঁয়াজ মোটা গোল করে কাটা ২ কাপ, পেঁয়াজ চিকন কুচি ১ কাপ, কাঁচা জিরা, শুকনা মরিচ ২টা, তেল ২ কাপ, হলুদ বাটা দেড় চা চামচ, শুকনা মরিচ বাটা ১ চা চামচ, লবণ ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ।
প্রণালীঃ প্রথমে চুলায় তেল দিয়ে চিকন কুচি করা পেঁয়াজ ভেজে নিতে হবে। এবার মোটা গোল পেঁয়াজ দিয়ে একটু বাদামি হলে মাংস, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা, হলুদ বাটা, মরিচ বাটা দিয়ে খুব ভালো করে ভুনে গরম পানি ২ কাপ ঢেলে দিতে হবে। মাংস আধা সেদ্ধ হলে আস্ত রসুন দিতে হবে এবং ঢিমা আঁচে রাখতে হবে। এবার চুলায় কাঁচা জিরা, দারুচিনি, এলাচ, শুকনা মরিচ শুকনা তাওয়ার ওপর ভেজে গুঁড়া করে নিতে হবে। ভাজা পেঁয়াজ চিনির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। যখন মাংস ভুনে তেলের ওপর আসবে, তখন পেঁয়াজের সঙ্গে মেশানো মসলা মাংসের ওপর ছড়িয়ে ঢিমা আঁচে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে।
৪। গরুর মাংস ভুনা
উপকরণঃ গরুর মাংস ১ কেজি, আদা বাটা ৪ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, আস্ত রসুন ৬ কোয়া, জিরা বাটা ১ চা চামচ, দারুচিনি ৬ টুকরা, এলাচ ৬ টুকরা, পেঁয়াজ মোটা গোল করে কাটা ২ কাপ, পেঁয়াজ চিকন কুচি ১ কাপ, কাঁচা জিরা, শুকনা মরিচ ২টা, তেল ২ কাপ, হলুদ বাটা দেড় চা চামচ, শুকনা মরিচ বাটা ১ চা চামচ, লবণ ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ।
প্রণালীঃ প্রথমে চুলায় তেল দিয়ে চিকন কুচি করা পেঁয়াজ ভেজে নিতে হবে। এবার মোটা গোল পেঁয়াজ দিয়ে একটু বাদামি হলে মাংস, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা, হলুদ বাটা, মরিচ বাটা দিয়ে খুব ভালো করে ভুনে গরম পানি ২ কাপ ঢেলে দিতে হবে। মাংস আধা সেদ্ধ হলে আস্ত রসুন দিতে হবে এবং ঢিমা আঁচে রাখতে হবে। এবার চুলায় কাঁচা জিরা, দারুচিনি, এলাচ, শুকনা মরিচ শুকনা তাওয়ার ওপর ভেজে গুঁড়া করে নিতে হবে। ভাজা পেঁয়াজ চিনির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। যখন মাংস ভুনে তেলের ওপর আসবে, তখন পেঁয়াজের সঙ্গে মেশানো মসলা মাংসের ওপর ছড়িয়ে ঢিমা আঁচে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে।
৫। নেহারি
যা যা লাগবেঃ গরুরর পায়া- ১ কেজি, হাড়সহ মাংস- ১ কেজি, পিঁয়াজ কুচি- ১ কাপ, আদা ছেঁচা- ২ টেবিল চামচ, বড় এলাচ গুঁড়া- ২টি, ছোট এলাচ গুঁড়া- ৪টি, শাহী জিরা- ২ চা চামচ, গোল মরিচ গুঁড়া- ২ চা চামচ, লবঙ্গ- ৩টি, দারুচিনি- ৩ টুকরা, শুকনা মরিচ- ৩টি, কাঁচামরিচ- ৭/৮টি,
সয়াবিন তেল- ২ টেবিল চামচ, লবণ- স্বাদমতো, ধনেপাতা কুচি- ২ টেবিল চামচ।
যেভাবে করবেনঃ তেলে গরুর পায়া ও মাংসগুলো লাল করে ভেজে ওই তেলেই পিঁয়াজ ভেজে তুলে রাখুন, আদা, বড় এলাচ, ছোট এলাচ, শাহী জিরা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, দারুচিনি দিয়ে ১ মিনিট ভেজে এতে ভাজা মাংস, পিঁয়াজ, শুকনা মরিচ দিয়ে ২ মিনিট ভেজে ৪-৫ লিটার পানি দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে মৃদু আঁচে ঢেকে ৩-৪ ঘণ্টা সিদ্ধ করে মাঝে ২ ঘণ্টা পর লবণ-কাঁচামরিচ দিয়ে দিন। হাড় থেকে মাংস খুলে এলে নামাবেন। ঝোল কিছুটা ঘন হবে কিন্তু অনেক ঝোল থাকবে। নান, তন্দুরি রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন। চাইলে পরিবেশনের সময় ধনেপাতা, কাঁচামরিচ, আদাকুচি দেয়া যায়।
এই রান্নার রেসিপি গুলো সংগ্রহ করেছি। এখনই রান্না করুন ।পরিবারের সবাইকে নিয়ে মজা করে খান। আর যদি ইচ্ছা হয় তাহলে আমাকে ডেকে নিতে ভুলবেন না। একটা কথা মনে রাখবেন বিক্ষিপ্ত মন মেজাজ নিয়ে রান্না ভালো হয় না। কাজেই হাসু খুশি থাকুন। রান্না করার সময় গুন গুন করে দু'চার লাইন রবীন্দ্র সংগীত গাইবেন ।
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার সব মজাদার আইটেম। গোমাংস সবচেয়ে সুস্বাদু। বিঃদ্রস্টব্য অতিরিক্ত গোমাংস ভক্ষণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যত বেশি স্বাদ তত বেশি ক্ষতিকর।
আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা । পোস্ট ভাল লাগল।
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনে গরুর মাংস খান?
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: উপস, ভুল হইছে, আমি আপনাকে রাজীব দে মনে করেছিলাম
৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
মিজান আনোয়ার বলেছেন: রাজীব ভাই আপনাকে এক দিন দাওয়াত করবো।রান্না শিখার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
শায়মা বলেছেন: বাহ ভাইয়া! তুমি দেখছি রান্না বান্নাতেও সেরা!