নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১৯৪৭ সালটা সমস্ত বাঙ্গালীর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । ভারতীয় উপমহাদেশ ১৯৪৭ ও ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে এবং ভারত,বার্মা (বর্তমান মায়ানমার) সিলন (বর্তমান শ্রীলংকা) এবং পাকিস্তান (তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান, বর্তমান বাংলাদেশ) এই চারটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৪৭ সনে অর্থাৎ দেশবিভাগের বছর শেখ মুজিব কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রী লাভ করেন। ভারত ও পাকিস্তান পৃথক হওয়ার সময়ে কলকাতায় ভয়ানক হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়। এসময় মুজিব মুসলিমদের রক্ষা এবং দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সোহরাওয়ার্দীর সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক তৎপরতায় শরিক হন। পাকিস্তান-ভারত পৃথক হয়ে যাওয়ার পর শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৪৮ সালের জানুয়ারি ৪ তারিখে প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগ যার মাধ্যমে তিনি উক্ত প্রদেশের অন্যতম প্রধান ছাত্রনেতায় পরিণত হন। ( এই লেখাতে আমি, একটু একটু করে দেশ ভাগ, যুদ্ধ, আন্দোলন,আবিস্কার, রাজনীতি, প্রেম, মানব জীবন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে টুকরো টুকরো কিছু আলোচনা করবো।)
ফাতেমা বেগমের মেয়ের নাম, নূরজাহান বেগম। ডাক নাম নূরী। নূরী ছোটবেলা পুকুরে পড়ে গিয়েছিলেন। অল্পের জন্য বেঁচে জান। বেগম পত্রিকার প্রকাশনা শুরু হয় ১৯৪৭ সালের ২০ জুলাই যখন নূরজাহান বেগম বিএ শ্রেণীতে পড়তেন। বেগম পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন সুফিয়া কামাল। বেগমের শুরু থেকে নূরজাহান বেগম ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। তিনি বিয়ে করেন রোকনুজ্জামান খান (দাদা ভাই) কে। নারীদের ছবি আঁকতে, লেখার জন্য উৎসাহী দিতেন নূরজাহান বেগম। প্রায় ৬৩ বছর ধরে প্রকাশিত হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠিত বেগম পত্রিকা। যদিও অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল পত্রিকাটা নিয়ে কিন্তু বেগম-এর উদ্দেশ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। নারী জাগরণ, নতুন লেখক সৃষ্টি, সাহিত্য ও সৃজনশীলতায় নারীকে উৎসাহী করাই ছিল মূল লক্ষ্য। বেগম-এর প্রথম দিকে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাঁরা লেখা, ছবি সংগ্রহ করেতেন। আজ নারীরা নিজেই লেখা পাঠিয়ে দেন। 'ধাবমান কালো চোখে আলো নাচে' উপন্যাসে এই রকম অনেক জ্ঞানী গুনীদের কথা আসবে।
শশীভূষন ক্লান্তিহীন ভাবে তার ডায়েরীতে লিখে চলেছেন- সমস্ত পৃথিবী জুড়েই দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে মানুষ। তাদের একটি দল হচ্ছে শাসক শ্রেণী, অন্যটি শোষিত শ্রেণী।পৃথিবীর আদিতে এই সব শ্রেণী বিভাজ্যতা ছিল না। কারণ তখন রাজা প্রজার ভেদ বুঝতে পারতো না মানুষ।পশ্চিমা দেশগুলো সভ্যতার সংগ্রামের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। অন্ত পাঁচহাজার বছর আগে থেকে শুরু করতে পেরেছিল তারা। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ রদ করতে যাওয়া বাঙালি ১৯৪৭ সালে কাজে পরিণত করার মতো পরস্পরবিরোধী কাজে লিপ্ত হতে পেরেছিল। আগেরবার বৃটিশ রাজ সেটা করতে চেয়ে এদের বিরোধিতায় সেটা পারেনি পরের বার বৃটিশদের হাতে-পায়ে ধরে সেটা করে এরা। ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন নিপীড়িত মেজরিটি বাঙ্গালীদের একটু সুবিধা দিতে চেয়ে বঙ্গভঙ্গ করেন। কিন্তু সংখ্যালঘু বাঙ্গালীর বিরুদ্ধে দারুণ আন্দোলন শুরু করেন। এ আন্দোলনে কিছু জাতীয়তাবাদী মুসলিম নেতা যে ছিলেন না তা নয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৯১১ সালে দিল্লীর দরবারে এটা বাতিল ঘোষিত হয়। অবিভক্ত বাংলায় হিন্দু-মুসলি জনসংখ্যায় ভারসাম্য ছিল ঠিকই, কিন্তু লেখাপড়ায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে, সাহিত্য-সংস্কৃতিতে এরা মুসলমানদের চাইতে কয়েক যোজন এগিয়ে ছিল যা একশ' বছরের মধ্যেও অক্ষুণ্ণ থাকতো। ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসন অবসান করে ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভাগ হয়ে ১৪ আগষ্ট পাকিস্থান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা ও ১৫ আগষ্ট ভারতের স্বাধীনতা লাভ ।
ওমর আলীর হাতে পন্ডিত নেহেরু ‘ডিস্কভারি অব ইন্ডিয়া' বইটি। তিনি ৩১৪ পৃষ্ঠাটি খুব মন দিয়ে পড়ছেন। ৩১৪ পৃষ্ঠায় লেখা আছে, ''অন্যান্য অঞ্চলে বৃটিশ শাসন ছড়িয়ে পড়ার আগে বাঙালিরা একচেটিয়া সুবিধা ভোগ করে পঞ্চাশ বছর ধরে। এ কারণেই অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষাংশ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত বৃটিশ ভারতে ঔদ্ধত্যব্যঞ্জক ও প্রধান ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়। সে সময় বাংলা শুধু বৃটিশ শাসনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল না, এদের মধ্য থেকেই প্রথম ইংরেজি শিক্ষিত দলটি বের হয় এবং বৃটিশ ছত্রছায়ায় ভারতের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। বাংলা বৃটিশ শাসনকে মেনে নেয়, বশ্যতা স্বীকার করে এবং এতে অভ্যস্ত হয় ভারতের বাকি অংশের অনেক পূর্বেই।'' ওমর আলী হচ্ছেন- আমার নানা। খুবই সহজ সরল একজন মানুষ। আমার যখন দুই বছর বয়স, তখন নানা মারা যান। মার কাছ থেকে নানার অনেক গল্প শুনেছি। সেই গল্পের কিছু কিছু অংশ এই লেখাতে আসবে।
জওহরলাল নেহ্রু সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চাই। গঙ্গা নদীর তীরে এলাহাবাদ শহরে জওহরলাল নেহেরু জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮৯ সালে। গান্ধীর দর্শন ও নেতৃত্ব জওহরলাল নেহেরুকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করে। মহাত্মা গান্ধীর প্রভাবে নেহেরু পরিবার তাদের ভোগ-বিলাসের জীবন ত্যাগ করেন। তখন থেকে নেহেরু খাদির তৈরি কাপড় পড়তেন। ব্যক্তিজীবনে রূচিবান পুরুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন জওহরলাল নেহ্রু। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, আদর্শবাদী, পন্ডিত এবং কূটনীতিবিদ নেহেরু। তিনি মোট পাঁচবার ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। বৃটিশ সরকারের নীতির বিরোধিতা করায় এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদান করায় তিনি বহুবার কারারুদ্ধ হন এবং প্রায় ১৭ বছর জেল খাটেন। পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করলে তিনি প্রথম সে-দেশের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন এবং মৃত্যু পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন। ১৯৬৪ সালের ২৭ মে ভারতের এই মহান নেতা তার নিজ কার্যালয়ে মৃত্যু বরণ করেন। জওহরলাল নেহেরু ও তার দুই বোন বিজয়া লক্ষ্মী ও কৃষ্ণা "আনন্দ ভবন" নামক বিশাল বাড়িতে পশ্চাত্য সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বড় হযে উঠেন। তৎকালীন ভারতের সব থেকে আধুনিক স্কুলে পড়ার পর প্রায় ১৫ বছর বয়সে নেহেরু ইংল্যান্ডের হ্যারোতে চলে যান। এরপর তিনি কেমব্রীজেই ব্যারিস্টারি পড়া শুরু করেন। ইংল্যান্ডে পড়ার সময় নেহেরু ভারতীয় ছাত্র সংসদের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
তাঁর শাসনামলে ভারতে ব্যাপক শিল্পায়ন হয়। এই সময়ে একটি ভারত-পাকিস্তান ও একটি ভারত-চীন যুদ্ধ সংগঠিত হয়। ভারত-পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেহেরু ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান নেহেরু-লিয়াকত চুক্তি করেন। লেখক হিসেবেও নেহরু বিশেষ দক্ষ ছিলেন। জেলে বসেই তিনি কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন। ইংরেজীতে লেখা তাঁর তিনটি বিখ্যাত বই- 'একটি আত্মজীবনী'(An Autobiography), 'বিশ্ব ইতিহাসের কিছু চিত্র' (Glimpses of World History), এবং 'ভারত আবিষ্কার' (The Discovery of India) চিরায়ত সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করেছে। জওহরলাল নেহেরুও একজন রাজনীতিবীদ সুতরাং তার পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য থাকবে, কেউ শ্রদ্ধা আবার কেউ নিন্দাও জানাবে তাকে এটা অস্বাভাবিক নয়। জওহরলাল নেহ্রু'র সাথে বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ এর সাথে খুব মিল আছে, বলুন তো দেখি আমি কার কথা বলছি ?
১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রচন্ড শীতে এক বালক রাস্তা দিয়ে একা একা হাঁটছে। সে জানে না তার বাবা কে, মা কে ? ক্ষুধা পেলে একটা খাবার দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে কেউ কেউ তাকে- ফেলে দেওয়া খাবার খেতে দেয়। বালকটি মানুষের নষ্ট করা খাবার এক আকাশ আনন্দ নিয়ে রাস্তার পাশে বসে খায়। খাওয়ার সময় বালকটিকে অনেক আনন্দিত দেখা যায়। বালকটির কোনো নাম নেই। যে বালকের বাপ মায়ের ঠিক নাই- ঘটা করে কে আবার সেই বালকের নাম রাখে। তাই আমি লেখার খাতিরে বালকটিকে একটি নাম দিলাম, টারজান। টারজান নাম দেওয়ার পেছনে কারন হলো- সে খুব সহজেই যে কোনো গাছে লাফ দিয়ে উঠতে পারে। এক গাছ থেকে আরেক গাছে যেতে পারে। এই কাজটি করতে তার কোনো ভয় হয়না। দেশ ভাগ হয়ে গেল, ইংরেজরা বিদায় নিলো- টারজান তার কিছুই জানল না, বুঝল না। টারজান এর সব চিন্তা- শুধু তিনবেলা খাবার সংগ্রহে। ইদানিং টারজানের সাথে একটা কালো রঙের কুকুর যুক্ত হয়েছে। ছোট বাচ্চা একটা কুকুর। টারজান বাচ্চা কুকুরটার নাম রেখেছে কাল্লু। কুকুরটা দেখতে কুচকুচে কালো রঙের, তাই নাম রাখা হয়েছে কাল্লু। কাল্লু সারাদিন টারজানের পায়ের কাছে ঘুর ঘুর করে। কাল্লুর উপর মায়া পড়ে গেছে টারজানের। টারজান সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে- কাল্লুকে সে পালবে। অনেক বড় করবে। এই কাল্লু একটু বড় হওয়ার পর- সহজ সরল মানুষ 'ওমর আলী' নামে একজনকে কামড় দেয়, টারজান এবং কাল্লুর কাহিনী পরে বিস্তারিত বলা হবে।
সারাদিন একটানা দুশ্চিন্তায় মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোষসমূহে এক ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ জমা হয়। শুধু দুশ্চিন্তা নয়, নিত্যদিনের যে কাজগুলো মানুষকে করতে হয় তা সুন্দরভাবে সমাধা করতে বহু কিছু চিন্তা করতে হয়, সিদ্ধান্ত নিতে হয়। রাতের বেলায় সুনিদ্রার তাৎপর্য নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে।... টাইমস অব ইন্ডিয়া ম্যাগাজিনে মানুষের মস্তিস্ক নিয়ে একটা আর্টিকেল ছাপিয়েছে। অলকা খুব মন দিয়ে আর্টিকেলটি দুইবার পড়ল । এই ধরনের আর্টিকেল তার বাবা শশীভূষন খুব পছন্দ করেন। যে কোনো বিষয়ের উপর বই পড়তে শশীভূষন অনেক আনন্দ পান। নতুন নতুন বিষয় জেনে শশীভুষন প্রচন্ড অবাক হোন। অলকার ধারনা তার বাবা পৃথিবীর এমন কোনো বিষয় নেই- যা তিনি জানেন না। দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া ম্যাগাজিনটি সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। উদার মতাদর্শ নিয়ে ১৮৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পত্রিকার সদর দফতর ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লীতে। বৃটিশ শাসনামলে ১৮৩৮ সালের ৩ নভেম্বর বোম্বাই টাইমস হিসেবে প্রথমে এই পত্রিকা আত্বপ্রকাশ করে। প্রথমে প্রতি শনি ও বুধবার অর্ধ সাপ্তাহিক হিসেবে বের হতো। রায় বাহাদুর নারায়ণ দিনান্ত বেলকার পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা। তখন বৃটেনের সংবাদ বেশি গুরুত্ব পেতো। ১৮৬১ সালে বোম্বে টাইমস থেকে পরিবর্তন হয়ে নামকরণ করা হয় ইন্ডিয়ান টাইমস। ভারত স্বাধীনতার পর পত্রিকাটির মালিকানা লাভ করে ডালিয়াস শিল্পগোষ্ঠী। পরে এটি জৈন গ্রুপ মালিকানা লাভ করে। পরবর্তীতে এরপর নামকরণ করা হয় টাইমস অব ইন্ডিয়া। সহজ ও সাবলীল শব্দচয়ন ও অনলাইন সংস্করণে বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যবহুল সংবাদের কারণে ভারতের উচ্চ ও মধ্য শিক্ষিত ইংরেজি জানা ব্যক্তিদের মাঝে পত্রিকাটির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
জার্মানির একটি ছোট শহর উলমে এক সম্ভ্রান্ত ইহুদি পরিবারে একজন মহান বিজ্ঞানীর জন্ম হয়। স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকে মাঝে মাঝেই অভিযোগ আসত পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়া ছেলে, অমনোযোগী, আনমনা। ক্লাসের কেউ তার সঙ্গী ছিল না। সকলের শেষে পেছনের বেঞ্চে গিয়ে বসতেন। দর্শনের বই তাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করত। পনেরো বছর বয়সের মধ্যে তিনি কান্ট, স্পিনোজা, ইউক্লিড, নিউটনের রচনা পড়ে শেষ করে ফেললেন। বিজ্ঞান, দর্শনের সাথে পড়তেন গ্যেটে, শিলার, শেক্সপিয়ার। অবসর সময়ে বেহালায় বিটোফোন, মোতসার্টের সুর তুলতেন। এই মহান বিজ্ঞানী বাইশ বছর বয়সে মিলেভা নামের এক হাসিখুশি তরুনীকে বিয়ে করে ফেলেন। একদিন গভীর রাতে মিলেভা ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার স্বামী পাশে নেই। মিলেভা বিছানা থেকে নেমে দেখেন- তার স্বামী ব্যালকনিতে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। মিলেভা এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে আস্তে করে স্বামীর পিঠে হাত রাখেন। স্বামী ফিস ফিস করে বললেন- ‘আমি এই বিশ্বপ্রকৃতির স্থান ও সময় নিয়ে গবেষণা করছি।’
আইনস্টাইনের এই গবেষণায় ছিল না কোনো ল্যাবরেটরি, ছিল না কোনো যন্ত্রপাতি। তার একমাত্র অবলম্বন ছিল খাতা-কলম আর তার অসাধারণ চিন্তাশক্তি। অবশেষে শেষ হলো তার গবেষণা। তখন তার বয়স মাত্র ২৬ বছর। একদিন ত্রিশ পাতার একটি প্রবন্ধ নিয়ে হাজির হলেন বার্লিনের বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক পত্রিকা Annalen der physik-এর অফিসে।
( চলবে...)
©somewhere in net ltd.