নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
রিয়া অবাক হয়ে সমুদ্রের বিশাল ঢেউ দেখছে। বাঘের চেয়ে অনেক বেশী সুন্দর সমুদ্রের গর্জন। সমুদ্রের পাড়ের ঠান্ডা বাতাসে শাড়ির আঁচল উড়ছে, মাথার চুল এলোমেলো করে দিচ্ছে। রিয়ার মনে হচ্ছে- বাতাসের ধাক্কা সে সামলাতে পারবে না- মাটিতে পরে যাবে। প্রতিদিন বিকেলে রিয়া সমুদ্রের পাড়ে এসে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে রিয়ার মনে হয়- সমুদ্রের বিশাল ঢেউ থেকে এক সুদর্শন যুবক এসে রিয়াকে সমুদ্রে নিয়ে যাবে। রিয়া সাঁতার জানে না, তারপরও সে সমুদ্র থেকে উঠে আসা যুবকের সাথে যাবে। সমুদ্রের গভীরে হয়তো অন্য কোনো জগত আছে- সে জগতের সাথে মিশে যাবে। সে জগতে মানুষের সব স্বপ্ন সত্যি হয়।
রিয়া হাঁটতে হাঁটতে সমুদ্রের অনেক কাছে চলে এসেছে। বিশাল বিশাল ঢেউ এসে তার পা ভিজিয়ে দিচ্ছে। রিয়া সাহস করে সমুদ্রের দিকে তিন পা এগিয়ে গেল- ঠিক তখন বিশাল বড় একটা ঢেউ এসে রিয়াকে ধাক্কা দিল, রিয়া ধাক্কা সামলাতে পারল না, বালির উপর আছড়ে পড়ার আগেই এক যুবক তাকে ধরে ফেলল। রিয়া যুবকের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে রইল। এই যুবক কি সমুদ্র থেকে উঠে এসেছে ? যুবকটি দেখতে সহজ সরল সুন্দর। মাথার চুল গুলো লম্বা। সবচেয়ে সুন্দর যুবকটির চোখ। চোখের মধ্যে যেন এক আকাশ মায়া। রিয়ার ইচ্ছা করছে- যুবকটির বুকে মাথা রাখতে। ইচ্ছা করলেই অচেনা এক যুবকের বুকে মাথা রাখা যায় না। স্বপ্ন দেখা সহজ, স্বপ্নে আকাশে প্রাসাদ বানানো যায়। কিন্তু বাস্তব অন্য রকম।
রিয়া এবং যুবকটি হাতে ডাব, তারা পাইপ দিয়ে ডাবের পানি খাচ্ছে। রিয়া বলেছে- ডাবের পানি খেয়ে, ঝালমুড়ি খাবে। কিছু কিছু সম্পর্ক অল্প সময়েই খুব গভীর হয়ে যায়। খুব অল্প সময়েই একজনকে খুব বেশী আপন মনে হয়। রিয় কাছে যুবকটিকে খুব আপন-আপন লাগছে। মনে হচ্ছে- যুবকটির সাথে তার হাজার বছর ধরে পরিচয়। ঝালমুড়ি শেষ করে রিয়া যুবককে বলল- এখন আমি তোমার হাত ধরে সমুদ্রের পাড় দিয়ে হাঁটবো। প্লীজ তুমি মানা করবে না। যুবকটি হেসে বলল, আচ্ছা। রিয়া খুব সুন্দর করে যুবকটির হাত জড়িয়ে ধরে হাঁটতে শুরু করল। বাতাসে রিয়ার চুল, শাড়ির আঁচল এসে পড়ছে যুবকটির গায়ে। রিয়ার সেদিকে হুশ নাই, সে হাত নেড়ে নেড়ে নানান গল্প করে যাচ্ছে।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে। যুবকটি বলল, চলো- তোমাকে বাসায় নামিয়ে দেই। রিয়া বলল, নো নেভার। আমি তোমার সাথে আরও অনেকটা সময় থাকতে চাই। যুবক বলল, সন্ধ্যার পর বাইরে থাকতে আমার ভালো লাগে না। চলো, আমার বাসায় চলো। আমার বাইক আছে, বাইকে করে গেলে সাত মিনিট লাগবে। রিয়া এক আকাশ খুশি হয়ে বলল- তোমার বাইক আছে! খুব ভালো কথা। চলো বাইক-এ করে তোমার বাসায় যাই। এক কাপ চা খেয়ে আসি। বাইকে বসে রিয়ার ইচ্ছা করল, দুই হাত দিয়ে - যুবকটির বুক জড়িয়ে ধরতে কিন্তু লজ্জার কারনে পারল না। যুবকটিও চাচ্ছিল রিয়া তাকে গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরুক। বেশীর ভাগ সময়ই মানুষের গোপন ইচ্ছা গুলো কখনও পূরন হয় না।
রিয়া বলল, তোমার ঘরটা অনেক সুন্দর। ঘর ভর্তি বই আর বই। যুবকটি বলল, চায়ের সাথে আর কি খাবে ? রিয়া বলল- তুমি যা দিবে তাই-ই খাবো। যুবকটি নুডুলস বানিয়ে রিয়াকে দিল, নিজেও খেল। নুডুলস খেয়ে রিয়া মুগ্ধ। কোনো যুবক এত মজা করে নুডুলস রান্না করতে পারে তার ধারনা ছিল না। চা খেয়েও- রিয়া মুগ্ধ। রিয়া বলল, আমার হাতে চা নুডুলস এত ভালো হয় না। হঠাত রিয়ার একটু মাথা ঘুরে উঠলো। চোখেও ঝাপসা দেখতে শুরু করলো। সুদর্শন যুবকটি রিয়ার চায়ের সাথে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে দিয়েছে। আজ রাতে রিয়াকে নিয়ে তার অনেক পরিকল্পনা আছে। রিয়া টলতে টলতে যুবকের হাত ধরে বলল- হঠাত শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। কি করি বলতো? যুবকটি রিয়াকে কোলে করে নিয়ে বিছায় শুইয়ে দিল। যুবকটির চোখ-মুখ অজানা এক খূশিতে ঝলমল করছে।
রিয়া শরীরে শক্তি পাচ্ছে না। তার সারা শরীর অবশ অবশ লাগছে। যুবকটি খাটের সাথে রিয়ার হাত -পা শক্ত করে বাঁধল। রিয়া বলল, এই কি করছো ? যুবকটি রিয়ার কথার জবাব দিল না। যুবকটি ব্যাপক উৎসাহে একটা একটা করে রিয়ার শরীর থেকে জামা খুলে নিচ্ছে। রিয়া ছটফট করছে- কিন্তু সে নিজেকে ঢেকে রাখতে পারল না। যুবকটি অনেকক্ষন আগেই তার হাত-পা শক্ত করে বেঁধে রেখেছে। যুবকটি অবাক বিস্ময়ে রিয়ার নগ্ন শরীরে চেয়ে আছে। কি হতে যাচ্ছে- রিয়া কিছুই বুঝতে পারছে না। ঘুমে তার চোখে বন্ধ হয়ে আসছে। যুবকটি রিয়ার কানে ফিসফিস করে বলল- আজ সারারাত তোমাকে ধর্ষণ করবো। শুধু আমি একা না, আমার বন্ধুরা সহ। হা হা হা... এমন বিচ্ছিরি হাসি সে তার জীবনে দেখেনি। রিয়ার মনে হলো কোনো পশু হাসছে।
( সত্য ঘটনা অবলম্বনে এবং এই লেখাটি আমার এক হাজার তম পোষ্ট।)
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
অথৈ সাগর বলেছেন:
রিয়া শব্দটা একটূ বেশি বেশি লাগছে । মাঝে মধ্যে প্রনাউন ব্যবহার করতে পারেন ।