নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
বাংলাদেশ গর্ব করতে পারে, এমন একজন মানুষের আগামীকাল জন্মদিন। তিনি আমাদের হুমায়ুন আহমেদ। অসামান্য জাদুকর। এমন সম্মোহনী শক্তি নিয়ে আর কেউ আসেননি। হুমায়ূন আহমেদের পক্ষেই সম্ভব হাসির একটা বইয়ের মধ্যে এমন কয়েকটা তথ্য দিয়ে দেয়া যেইটা জ্ঞানের মোটা মোটা বইয়ের মধ্যে লুকায়া থাকে। এই ক্ষমতাটা দুর্লভ। একবার ভাবুন, হুমায়ুন আহমেদ বলে কোনো লেখকের জন্ম হয়নি। তাহলে কেমন হত?
মৃত্যু আছে বলেই জীবনকে আমরা তিলে তিলে অনুভব করব। জীবন কী? জীবন হলো এক গ্লাস শ্যাম্পেন। আমরা বেঁচে আছি মানে আমরা শ্যাম্পেন খাচ্ছি। যখন তলানিতে এসে যাব তখনই মৃত্যু। মৃত্যু থাকার কারণেই শ্যাম্পেন পানের প্রতিটি মুহূর্তকে আনন্দময় করে রাখতে হবে। হবে না ?
(শুভ্র গেছে বনে)
‘‘পৃথিবীর সব মেয়েদের ভেতর অলৌকিক একটা ক্ষমতা থাকে। কোন পুরুষ তার প্রেমে পড়লে মেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা বুঝতে পারে। এই ক্ষমতা পুরুষদের নেই। তাদের কানের কাছে মুখ নিয়ে কোন মেয়ে যদি বলে- ‘শোন আমার প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। আমি মরে যাচ্ছি।’ তারপরেও পুরুষ মানুষ বোঝে না। সে ভাবে মেয়েটা বোধ হয় এপেন্ডিসাইটিসের ব্যাথায় মরে যাচ্ছে!’’
"মিথ্যা বলা মানে আত্মার ক্ষয়। জন্মের সময় মানুষ বিশাল এক আত্মা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। মিথ্যা বলতে যখন শুরু করে তখন আত্মার ক্ষয় হতে থাকে। বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, আত্মার পুরোটাই ক্ষয় হয়ে গেছে।"
(তিথির নীল তোয়ালে)
"মেয়েরা হচ্ছে জন্মদাত্রী জননী। হাজার ভুল করলেও এদের উপর রাগ করতে নেই। এদের উপর রাগ করাটাই কাপুরুষতা।"
(জোছনা ও জননীর গল্প)
হুমায়ূন আহমেদে মুগ্ধ হয়ে ছিলাম সারা জীবন। এখনও হুমায়ূনের ভক্ত আমি। শব্দের এই যাদুকরের কাছে অনেক অনেক ঋণ। এই যাদুকর যা লেখেন, তাতেই মুগ্ধ হয়ে যাই। এতো মায়া নিয়ে কেউ কখনো লিখছে বলে আমার জানা নেই।
যার সারাটা জীবন কাটল পূর্ণিমা, জোছনা, চাঁদ কে ভালবেসে, সেই মানুষটাই চলে গেলেন অমাবস্যার রাতে। সত্যিই, জীবন আমাদের নিয়ে বড় অদ্ভুত খেলা খেলে।শৈশবে হুমায়ূন আহমেদ যত জায়গায় গিয়েছেন তার মাঝে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ছিলো দিনাজপুরের জগদ্দল। তার প্রধান কারণ ছিল তাঁরা যেখানে থাকতেন তার আশেপাশে কোনো স্কুল ছিল না।
যদিও হুমায়ূন আহমদের প্রথম রচনা ‘নন্দিত নরকে, তবে তারও বহু পূর্বে দিনাজপুরের জগদ্দলে থাকা অবস্থায় একটি কুকুরকে নিয়ে তিনি ‘বেঙ্গল টাইগার’ নামে একটি সাহিত্য রচনা করেছিলেন।
নক্ষত্রকে বিদায় জানাতে গেলে চোখ ভেসে যায় জলে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
মশিকুর বলেছেন:
খুব ভাল লাগলো। গর্ব করার মত নক্ষত্র ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ।