নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২

সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশটা অনেক সুন্দর। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের দেশের মানুষ গুলো খুব সহজ সরল এবং শান্তি প্রিয়। বাংলাদেশ অঞ্চলে জনবসতি গড়ে উঠেছিলো প্রায় ৪ হাজার বছর আগে। আয়তনের হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে ৯৩তম; ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। বাংলাদেশের সমুদ্রতটরেখার দৈর্ঘ্য ৫৮০ কিলোমিটার। আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা দারিদ্রতা। আমাদের দেশের জনসংখ্যা কোনো সমস্যা নয় বরং আশীর্বাদ। জনগনকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের দেশের মানুষ অলস নয়, তারা খুব কর্মঠ। সরকারের ভুলের কারণে আমাদের দেশে দিনদিন বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।



বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে প্রণীত হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ এর সর্বমোট ১৭টি সংশোধনী আনা হয়েছে। আমি মনে করি আমাদের দেশের সংবিধান আবার নতুন করে লেখা উচিত। আমাদের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে- সবার আগে সংবিধান পরিবর্তন খুব প্রয়োজন। নতুন করে একটা আধুনিক সংবিধান তৈরি করতে হবে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সংবিধান করতে হবে। একতরফা দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। শুধু নিজের এবং নিজের দলের কথা ভাবলে হবে না। ভাবতে হবে দেশের কথা, দেশের মানুষের কথা। অযোগ্য লোককে দেশ পরিচালনার কাজে রাখা যাবে না। খুব দুঃখ লাগে যখন দেখি, দেশের কর্তা ব্যাক্তিরা সামান্য চেকাপের জন্য সিঙ্গাপুর -আমেরিকা যান। দরিদ্র দেশে বিলাসিতা করতে তাদের লজ্জা হওয়া উচিত।



বাংলাদেশের সরকারী প্রশাসন যন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু হলো বাংলাদেশ সচিবালয়। আমি সরকারী সমস্ত অফিস আদালতে দেখেছি- কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অফিস সহকারী পর্যন্ত, তারা অফিস করেন জিম ধরা মুরগীর মতন। তাদের হাত চলে না, পা চলে না- তারা সবাই ক্লান্ত। অনেকে তো লুঙ্গি পরে অফিস করেন। সমস্ত অফিস গুলোতে ঘুষ ব্যাপারটা হয়ে গেছে ডাল ভাত। দেশের উন্নতির জন্য সবার আগে দুর্নীতি বন্ধ করা খুব জরুরী। সদিচ্ছা থাকলে দুর্নীতি বন্ধ করা খুব কঠিন কিছু না। সত্যি কথা বলতে কি, দেশ পরিচালনা করার জন্য আমাদের দরকার যোগ্য লোক। আওয়ামীলীগ বা বিএনপিতে যোগ্যলোকের খুব অভাব। সারা বাংলাদেশ চষে যোগ্য লোক খুঁজে বের করতে হবে। বুড়া-বুড়ি দিয়ে সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। আমাদের বর্তমান সকল রাজনীতিবিদদের মন-মানসিকতা কলুষতায় ভরা। তারা লোভী এবং বড্ড হিংসুটে।



সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত। এর দুটি স্তর রয়েছে যথা হাইকোর্ট ডিভিশন ও আপীলাত ডিভিশন। দলীয়করণ অনেক বড় একটা সমস্যা। প্রতিটা ক্ষেত্রে দলীয়করণ চলছে। দলীয়করণ টাইপ মানসিকতা পুরোপুরি বাদ দিতে হবে- দেশের স্বার্থে। মনে রাখতে হবে সবার আগে দেশ। আমরা তো বাঙ্গালী, দেশের জন্য আমাদের অনেক ভালোবাসা আছে। ভালোবাসা আছে বলেই আমরা ৭১ এ জয়ী হতে পেরেছিলাম। গাছ ভালো হলে- ভালো ফল পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি একটি দেশের প্রধান কর্তা ব্যাক্তিরা ভালো হলে সৎ হলে- খুব দ্রুত দেশের উন্নতি সম্ভব। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে- মালোশিয়ার কথা, মাহাথীর মোহাম্মদ এর কথা। দুবাই দেশটি থেকেও আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। শুধু মুখে মুখেই বললে হবে না- ডিজিটাল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশী মানুষ জানে না 'ডিজিটাল' ব্যাপারটা কি ।



বাংলাদেশের জেলার সংখ্যা মোট ৬৪টি। সারাদেশে উপজেলা রয়েছে ৫০৭টি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, ও জলোচ্ছ্বাস প্রায় প্রতিবছরই বাংলাদেশের কোনো না কোনো স্থানে আঘাত হানে। সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না। নদী পথ বা সড়ক পথ কোনোটাই খুব উন্নত নয়। এর জন্য দায়ী মন্ত্রী এমপিরা। আমাদের দেশে জবাবদিহির ব্যবস্থা নেই বলে- উন্নতি খুব কম হয়। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে- পুরো বাংলাদেশটাই যেন তাদের হয়ে যায়। পত্রিকা তাদের, টিভি চ্যানেল তাদের, এমন কি সড়ক পথ, নদী পথও তাদের হয়ে যায়। দেশ টা যেন তাদের বাপ দাদার জমিদারী। কথায় বলে, ছোটলোকের পোলায় যদি জমিদারী পায়- কানের আগায় কলম খুঁজে বাঈজী নাচায়। ক্ষমতায় আসার পর তাদের শরীর ভারী হয়ে যায়। যেন তাদের নড়াচড়া করতেই যেন কষ্ট হয়ে যায়। এই গুলারে কানে ধরে দেশ থেকে বের করে দেওয়া দরকার।



বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রধানত কৃষিনির্ভর। আমাদের সারা বাংলাদেশে যে পরিমান আবাদী জমি আছে- যদি তা সঠিক ভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে আমাদের খাদ্যশস্য'র অভাব হওয়ার কথা নয়। আমাদের দেশের কৃ্ষি মন্ত্রী বলতে পারবেন না- এক একর ধানী জমিতে কি পরিমান সার প্রয়োজন। বাংলাদেশের কৃ্ষকরা সব রকম সুযোগ সুবিধা পেলে- এত এত ফসল হবে যা সারা দেশের মানুষরা খেয়েও শেষ করতে পারবে না। তখন এই সব ফসল আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে পারব। কিন্তু সরকারের সেদিকে খেয়াল নেই। কিন্তু মিটিং মিছিল সমাবেশে দেশ নিয়ে বড় বড় কথা বলে বেড়ান। কাজের বেলায় ঠনঠন। পাঁচ বছরে একটি দেশের যে পরিমান উন্নয়ন সম্ভব তা কোনো সরকারই করতে পারেন নি। কারণ, তাদের বুদ্ধি কম, তারা লোভী, তারা অসৎ। দেশের উন্নতির জন্য আমাদের যোগ্য লোক দরকার। অনেক উন্নত দেশে, হাতী ঘোড়া অথবা কুকুরের যখন অনেক বয়স হয়ে যায়- তখন তাদের মেরে ফেলে। কারন তারা অকেজো হয়ে পড়েছে। ঠিক আমাদের দেশের রাজনীতিবিদ গুলো অকেজো হয়ে পড়েছেন। কিন্তু তারা অবসর নিচ্ছেন না।



তৈরি পোশাক খাতে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কাজ করেন, যাঁদের ৯০%-ই নারী শ্রমিক। কয়দিন পর-পরই গারমেন্টেসে আগুন লাগে। সরকারের উচিত পোশাক শিল্পের দিকে খুব বেশী মনোযোগ দেওয়া। এবং অনেক বেশী পোশাক কারখানা স্থাপন করার সুযোগ করে দেওয়া। উন্নত দেশ গুলোতে আমাদের দেশের তৈরি পোশাকের অনেক চাহিদা। পোশাক শ্রমিকদের আরও বেশী সুযোগ সুবিধা প্রদান করা উচিত। তারা তো এই দেশেরই মানুষ।



বাংলাদেশ খুব ছোট হলেও এবং শিক্ষিত লোকের সংখ্যা কম হলেও- প্রায় ২০০টি দৈনিক সংবাদপত্র ও ১৮০০রও বেশি সাপ্তাহিক বা মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তবে নিয়মিতভাবে পত্রিকা পড়েন এরকম লোকের সংখ্যা কম, মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৫%।



(চলবে...)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৫

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: স্যরি, আপনি যা চাচ্ছেন তা ভুল চাচ্ছেন; অন্য কেহকে দেখে কিছু করা সম্ভব নয়: সম্ভব হবে তখন, যখন জাতি নিজকে সাহায্য করতে পারে এ ধরণের একটা অর্থনীতি অনুসরণ করবে।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনি যা চাইছেন তা কোনদিন আর সম্ভব না। ১৫% শিক্ষিত লোকের দেশে ১০০% অসৎ রাজনীতিবিদদের দেশে আর কিছুই হবেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.