নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাস্তায় পাওয়া ডায়েরী থেকে- ৩০

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

১/ খ্যাতনামা আইরিশ সাহিত্যিক, সমালোচক ও নাট্যকার জর্জ বার্নার্ড শর মুখের লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য ছিল তাঁর দাড়ি। একবার একটি ইলেকট্রিক রেজর নির্মাতা কোম্পানির কর্তারা বাজারে আসা তাঁদের নতুন রেজরের প্রচারণায় শর এই দাড়িকে নিশানা করল। শকে তারা এই নতুন রেজর দিয়ে দাড়ি কামানোর অনুরোধ করল। বিনিময়ে দেওয়া হবে লোভনীয় অঙ্কের টাকা। শ তাদের হতাশ করে বললেন, তাঁর বাবা যে কারণে দাড়ি কামানো বাদ দিয়েছিলেন, তিনিও ঠিক একই কারণে এ জঞ্জাল ধরে রেখেছেন।

কোম্পানির কর্তারা কারণটি জানতে আগ্রহী হলে বার্নার্ড শ বললেন, “আমার বয়স তখন পাঁচ বছর। একদিন বাবা দাড়ি কামাচ্ছেন, আমি তাঁকে বললাম, ‘বাবা, তুমি দাড়ি কামাচ্ছ কেন!’ তিনি এক মিনিট আমার দিকে নীরবে তাকিয়ে থেকে বললেন, ‘আরে তাই তো, আমি এ ফালতু কাজ করছি কেন?’ এই বলে তিনি সেই যে জানালা দিয়ে রেজর ছুড়ে ফেললেন, জীবনে আর কখনো তা ধরেননি।”



২/ বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন ইংরেজ শাসনামলের প্রথম বাঙ্গালী মেজিস্ট্রেট। মেজিস্ট্রেসিতে যোগ দিতে গিয়ে তাকে পরীক্ষা(ইন্টারভিউ) দিতে হয়েছিল,

পরীক্ষক ছিলেন একজন ইংরেজ। পরীক্ষক বঙ্কিমচন্দ্রকে প্রশ্ন করেছিলেন "হোয়াট ইজ দ্যা ডিফারেন্স বিটউইন আফদ(আপদ) এন্ড বিফদ(বিপদ)?"

বঙ্কিমচন্দ্র উত্তর দিলেন :ধরুন, নৌকায় চড়ে নদী পার হচ্ছি এমন সময় প্রচন্ড ঝড় উঠল, এটা হচ্ছে বিপদ। আর এই যে আমি একজন বাঙ্গালী হয়েও ইংরেজের কাছে বাংলার পরীক্ষা দিচ্ছি এটা হচ্ছে আপদ।



৩/ আইনস্টাইন এর মেয়ের বিয়ে। সবাই চার্চে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে উনি উনার মেয়েকে বললেন তুমি চার্চের দিকে যাও আমি ল্যাবে আমার কলমটা রেখে আসতাছি। মেয়ে অনেক বারন করা সত্বেও উনি গেলেন, ৩০ মিনিটের কথা বলে উনি যখন না এলেন তখন সবাই মিলে উনার মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিলেন। ৭ দিন পর উনার মেয়ে যখন বাসায় এসে মাকে জিজ্ঞাস করলো বাবা কোথায় তখন তার মা বলল ওই যে গেল আর আসে নাই। তখন উনি আইনস্টাইন এর খোজে ল্যাবে গেল। ল্যাবে গিয়ে দেখল যে তার বাবা একটা কলম নিয়ে বোর্ড এর সামনে গিয়ে কি জানি চিন্তা করছিল। মেয়ে বাবা কে বলল বাবা কি কর। তখন উনি বলল যে মা তুমি চার্চে যাও আমি এই কাজ টা ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ করে আসছি।



৪/ আফগানিস্তানে ওসামা বিন লাদেনের পরিত্যক্ত সদর দফতরে অন্যান্য জিনিসপত্রের সঙ্গে পাওয়া গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত ফান ম্যাগাজিন ‘ম্যাড’ এর ২৭টি সংখ্যা। ধৃত আল কায়েদার অন্য সদস্যরা বলেছিল বিন লাদেন বইপত্র পড়তেন খুব এবং ‘ম্যাড’ ছিল তার সবচেয়ে পছন্দের ম্যাগাজিন।



৫/ বিভূতিভুষণ বন্দোপাধ্যায় একবার ভীষণ বেগ পাওয়ায় রাস্তার ধারেই প্রস্রাব করতে বসতে বাধ্য হলেন । পুলিশ তাঁকে ধরে থানায় নিয়ে গেল । দারোগাবাবু ধমকে জিজ্ঞেস করলেন ' রাস্তা নোংরা করলেন কেন ?' বিভূতিভুষণের জবাব ' নইলে জামাকাপড় নোংরা হত যে !' এই জবাবে মোটেই সন্তুষ্ট হতে পারলেন না দারোগাবাবু । শুরু করলেন জেরা । বিভূতিভুষণের নাম ধাম জেলা দু'চার কথাতেই দারোগাবাবু ধরে ফেললেন ধৃত ব্যক্তিই বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক বিভূতিভুষণ । সাহিত্যপ্রেমী দারোগাবাবু সসম্ভ্রমে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে করজোড়ে নমষ্কার করে উৎফুল্ল স্বরে বললেন ' কি পরম সৌভাগ্য আমাদের যে "পথের পাঁচালি"র স্রষ্টাকে এই থানায় আমরা পেলাম ! অনেক কিছু জানার আছে আপনার কাছে । কিন্তু তার আগে , আমাদের এখানে একটা সুন্দর বাথরুম আছে আপনি চাইলেই সেটা ব্যবহার করতে পারেন ।' 'না ভাই' বিভূতিভুষণ বললেন ,' এক্ষুণি জলবিয়োগ হল , এখন শুধু জলযোগই হতে পারে ।' উত্তর শুনে পুলকিত দারোগাবাবু মিষ্টি আনতে পাঠালেন !

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

আমার কোন প্রশ্ন নাই বলেছেন: ভাল লাগল।

১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

তাহমিদুর রহমান বলেছেন: এই ব্লগে লিখার আমন্ত্রণ রইল

১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.