নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
শুভ বড় দিন মানে ঈসা মসীহের শুভ জন্মদিন। বেথলেহেমের গরীব কাঠুরের গোয়াল ঘরেই যীশু খ্রিস্টের জন্ম। কুমারী মেরির গর্ভে যীশু খ্রিস্টের জন্ম। ধর্মবিশ্বাস বলে, ‘ঈশ্বরের অনুগ্রহে ও অলৌকিক ক্ষমতায়’ মেরি কুমারী হওয়া সত্ত্বেও গর্ভবতী হন। ইসলাম ধর্মবিশ্বাসে তাকে হযরত ঈসা (আ.) বলা হয়। ইউসুফের সঙ্গে ঈসার মা মারিয়ামের বিয়ে ঠিক হয়েছিল।
মারিয়ার স্বামী কাঠমিস্ত্রী যোসেফ ছিলেন যিশুর পালক পিতা মাত্র।রাতের বেলা বেথলেহেমের মাঠে ভেড়া চড়াচ্ছিল একদল রাখাল। যিশুর জন্মের পরপরই স্বর্গের দূতেরা এসে তাদের বলল, ওই গোয়ালঘরে তোমাদের উদ্ধারকর্তা জন্মেছেন, যাও তাঁকে শ্রদ্ধা জানাও এবং ঈশ্বরের প্রশংসা করো। রাখালেরা তা-ই করল। যিশুর জন্মের পরপরই আকাশের বুকে ফুটে উঠেছিল একটি বিশেষ তারা। পূর্ব দেশের পণ্ডিতেরা সেই তারা দেখে বুঝতে পারলেন, পৃথিবীতে সেই মহান রাজার জন্ম হয়েছে, ঈশ্বর যাঁকে পাঠানোর কথা বলেছিলেন মানবজাতির মুক্তির জন্য। পূর্ব দেশের তিন পণ্ডিত বহু দূর দেশ থেকে বেথলেহেমে রওনা হলেন তাঁদের রাজাধিরাজকে শ্রদ্ধা জানাতে।
দেশের সব গির্জা ও অভিজাত হোটেল রঙিন বাতি আর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে বড়দিনের সাজে। মানবশান্তি ও মানবকল্যাণই এই দিনের মূল কথা।বড়দিন শুধু খ্রিস্টানদের উৎসব নয়, এ উৎসব সার্বজনীন, সবার। বাংলাদেশের মানুষ সহনশীল, অতিথিপরায়ণ। ঈদ-পূজা-বড়দিনে তারা সবাই একসঙ্গে আনন্দ করে। ঢাকার প্রায় সব এলাকাতেই আছে গির্জা। কক্সবাজরের প্রধান গির্জা বৈথনিয়া ব্যপস্টিস সহ জেলার প্রায় ১৫টি গির্জাতে রঙিন বাতি আর ফুল দিয়ে সাজানোর মধ্যো দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হবে বড়দিন। গির্জাগুলোতে সুন্দরভাবে লাল, নীল, সবুজ চিকচিকে স্টেইনসিল, সোনালি-রুপালী ছোট-বড় বল, তারা, চাঁদসহ বসানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। শহরের বিভিন্ন হোটেলগুলো সেজেছে আরও বর্ণময় সাজে।
বড়দিন উৎসবের অন্যতম বিষয় হলো গৃহসজ্জা ও উপহার আদান-প্রদান। এদিনের উপহার হিসেবে কার্ড হলো এক প্রকারের চিত্রিত শুভেচ্ছাবার্তা। সাধারণত বড়দিনের পূবের্র সপ্তাহগুলোতে বন্ধুবান্ধব ও পারিবারের সদস্যদের মধ্যে ক্রিসমাস কার্ড আদান-প্রদান চলে। চিরাচরিত শুভেচ্ছা বার্তার বাণীটি হলো ‘পবিত্র খ্রিস্টমাস ও শুভ নববষের্র শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন’।২৫ ডিসেম্বর পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় যুক্তরাষ্ট্রেও উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হবে ‘ক্রিসমাস ডে’। ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস ডে হলেও ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকেই উৎসব শুরু হয়ে যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রিসমাসের ছুটি শুরু হয় বেশ আগে থেকেই, অফিস ছুটি থাকে ২৪ থেকে নিউ ইয়ার পর্যন্ত। সারা আমেরিকা জুড়েই থাকে উৎসবের আমেজ।
গীর্জায় ‘হলিমাস’-এর মাধ্যমে বড়দিনের অনুষ্ঠানমালার সূচনা ঘটেছে। বড়দিন উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি রেডিও এবং টিভি চ্যানেলসমূহ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে। জাতীয় দৈনিকসমূহ বড়দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ প্রবন্ধ নিবন্ধ প্রকাশ করবে। রাজধানীর পাঁচতারা হোটেল রূপসী বাংলা, সোনারগাঁও, রেডিসন, ওয়াটার গার্ডেন, ওয়েস্টিন ছাড়াও গুলশান-বনানীসহ অভিজাত এলাকার বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিশেষ লাঞ্চ, ডিনার ও শিশুদের ক্রিসমাস পার্টির আয়োজন করেছে।‘বড়দিন’ উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী। উত্সব উপলক্ষে উপাসনালয়, কবরস্থান ও বড়দিন উদযাপন অনুষ্ঠানের স্থানগুলোতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
যীশু প্রায় ৩০ বছর অপরিচিতি ছিলেন কিন্তু ৩০ বছর বয়স থেকে মাত্র ৩ বছর তিনি প্রকাশ্যে কাজ করেছেন, শিক্ষা দিয়েছৈন, রোগী সুস্থ করেছেন, মৃতকে জীবন দিয়েছেন ফলে জগতে এমন প্রভাব রেখে গেছেন যা আর কারও পক্ষে কখনও সম্বব নয় এবং ছিলও না। তার শিক্ষা, সেবা ও জীবন যাপনের ধরণ সবই ছিল ভিন্ন প্রকৃতির।
খ্রিষ্টানদের প্রচারপত্রে মারিয়ামের যে স্বামীর কথা বলা হয়েছে, তা ডাহা মিথ্যা। কেননা কুরআনে ও হাদীছে সর্বত্র ঈসাকে ‘মারিয়ামপুত্র’ বলা হয়েছে। স্বামী থাকলে ঈসাকে তাঁর পিতার দিকেই সম্বন্ধ করা হ’ত।
১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০২
মুহাম্মদ তাইফ বলেছেন: খ্রীষ্টানরা নিজেদের মত করে তাদের ধর্মগ্রন্থকে পরিবর্তন করে নিয়েছে ।তাই আমাদের উচিত খ্রীষ্টানীয় সকল কালচার থেকে দুরে থাকা ।