নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ডি জে পার্টি অসহ্য। খুব অসহ্য। আজকাল গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান যেন ডি জে ছাড়া সম্ভবই নয়। একটা ছেলে ( ডিজে) বিকট সব গান বাজনা চালায় ( বেশীর ভাগই হিন্দি গান) মাইক্রোফোন দিয়ে মাঝে মাঝে কি যেন বলে- নিজে নাচে অন্যদেরও নাচায়। তখন নানান রকম লাল নীল বাতি জ্বলে নিভে। একদল তরুন তরুনী তখন হাত বা ছুড়ে নাচানাচি করে। হিন্দি সিনেমা নাটক দেখে দেখে তারা শিখেছে। এটা কি রকম আনন্দ আমি বুঝি না। আসল আনন্দ বাদ দিয়ে নতুন প্রজন্ম নকল আনন্দ নিয়ে লাফালাফি করছে। আমি জানি, উঠতি বড়লোকের ধনীর টিনেজার ছেলে-মেয়েরা এই ডি জে পার্টির আয়োজক। ঝাঁটা পিটা করে আমাদের দেশ থেকে এই ডিজে দূর করতে হবে।
ডিজে তার যন্ত্রপাতি চালানোর সময় মুখের ভাব ভঙ্গি এমন করে- যা দেখলেই জুতা খুলে মারতে ইচ্ছা করে। কেনরে ভাই, হারমোনিয়াম তবলা আর গিটার বাজিয়ে কি গান বাজনা করা যায় না। সহজ সরল সুন্দর ভাবে ? এরকম বিকট সব মিউজিকের সাথে- বাঁকা তেড়া ভাবে হাত-পা নাচালেই কি আধুনিক হওয়া যায়? যদি একটা গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে এরকম কুৎসিত গান বাজনা না করা হয়- তাহলে সমস্যাটা কোথায়? আপনার অনেক টাকা আছে- এটা বুঝানোর জন্য কি ডিকে পার্টি করতে হবে? ডিজের নামে রাজধানীর বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেলগুলোতেও চলে নানা বীভৎস অনুষ্ঠান। প্রতিরাতেই বেশ কিছু কমিউনিটি সেন্টার, সামাজিক ক্লাব ও পাঁচ তারকা হোটেলে চলে এ ধরনের পাটি। আর ডিজে পার্টির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে এখানে আসা যুবক-যুবতীরা মেতে ওঠে জমজমাট সিসা, মদ ও ইয়াবা সেবনে।
আমরা তো বাঙ্গালী। কেন বিদেশীদের দেখে আমরা তা নকল করবো? আমাদের তো সুন্দর একটা ইতিহাস আছে। গ্রাম দেশে কিভাবে বিয়ে হতো- তা কি আপনারা ভুলে গেছেন? আমি মনে করি, হিন্দি নাটক সিনেমা দেখে-দেখে ছেলে-মেয়েদের আজ এই অবস্থা। সরকারের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। শুধু টিনএজ নয় বিভিন্ন বয়সীদের কাছেও ডিজে পার্টি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আগে শুধু বিশেষ দিবসগুলোতে বিশেষভাবে ডিজে পার্টির আয়োজন করা হতো। আর সেই ডিজে পার্টি শুধু ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন তা বাইরে ছড়িয়ে গেছে। খোলা জায়গাতেও এখন ডিজে পার্টির আয়োজন করা হয়।
নেট থেকে জানতে পারি- ডিজে মানে হলো- ডিজে ইংরেজি শব্দ। যার মূল অর্থ করলে দাঁড়ায় ডিস্ক জকি। একজন ব্যক্তি যখন তার সংগ্রহে দেশি-বিদেশি গান নিজের পছন্দমতো আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে অতিথির উদ্দেশে প্লে করে তখন তাকে ডিজে বলা হয়। আর ওই গানের তালে তালে অতিথি তার মনের অনুভূতি নৃত্যের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারে। ডিজেরা মিউজিক প্লে করেন বিশেষ একটি ডিস প্লেয়ারের মাধ্যমে। নিকষ কালো অন্ধকারের মাঝে লেজার লাইটের ঝলকানি। হিন্দি ও ইংরেজি পপ গানের কান ফাটানো শব্দ। এর মধ্যে সিসা আর সিগারেটের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হওয়ার জোগাড়। আর নেশার ঘোরে চলছে বেসামাল তরুণ-তরুণীদের উন্মাতাল নাচ। একজন চিয়ার্স গার্ল, প্রথম দিকে ডিজে পার্টিতে পার নাইট হাজার-বারো’শ পেতাম। এখন পাই আড়াই থেকে তিন হাজার। ডিজে পার্টি হয় গভীর রাতে। রাত জাগার জন্য আর ফিগার ঠিক রাখার জন্য ইয়াবা খাওয়া শুরু করি। ইয়াবার খরচ যোগাতে আমাকে অনৈতিক কাজও করতে হয়।রাতভর চলা ডিজে পার্টির রঙচঙে চিয়ার্সগার্লদের সিংহভাগের জীবন কাহিনী অনেকটা এমনই।
[
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) অধ্যাদেশ অনুযায়ী রাজধানীতে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হলে পুলিশের অনুমোদন নিতে হয়। অুনুষ্ঠানের প্রকৃতি বিবেচনা করে সন্তুষ্ট হলে অনুমতি দেয় পুলিশ। মহানগর পুলিশের জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়েছে, ডিজে পার্টিগুলো পুলিশের অনুমোদনের তোয়াক্কা করে না। তারা কোনো না কোনো প্রভাবশালীকে ম্যানেজ করে তার ছত্রছায়ায় অনুষ্ঠান আয়োজন করে। আর পাঁচ তারকা হোটেলে ডিজে পার্টি আয়োজিত হলে সেখানে অবস্থানরত বিদেশী অতিথিদের বিষয়টি বিবেচনা করে পুলিশকে নীরব থাকতে হয়।
নগরজীবনের ব্যস্ততা ও নানাবিধ হতাশা ভুলতে অনেকেই ছুটছেন ডিজে ক্লাবে। এখানে মিউজিকের তালে তালে এক মায়ানগরীতে ভাসে সবাই। বিশাল স্পিকার থেকে ভেসে আসে বুক কাঁপানো সুর। কানে হেডফো চোখের সামনে রাখা ডিস্ক প্লেয়ারে চলে ডিজেদের দক্ষ হাতের জাদু। আঙুলের নিয়ন্ত্রণে চলে ভিন্ন ধরনের মিউজিকের খেলা। ডিস্ক জকির বাজনার জাদুতে মোহাচ্ছন্ন হয়ে নাচে এক দল মানুষ। এদের বেশিরভাগই তরুণ। চোখ ধাঁধানো আলো-আঁধারির খেলায় হারিয়ে যায় সব বেদনা ও হতাশা। অভিজাত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেদের অনেকেই গার্লফ্রেন্ড নিয়ে আনন্দ-ফুর্তি করতে ডিজে পার্টিতে আসে। আবার অনেকে আসে একাকী। একাকী যারা আসে, তাদের জন্যই পার্টিতে থাকে চিয়ার্স গার্লরা। পয়সাওয়ালা পুরুষরাই থাকে চিয়ার্সগার্লদের মূল টার্গেট। আয়োজকরাই ইশারায় চিয়ার্সগার্লদরে চিনিয়ে দেয় মালদার পুরুষকে। ব্যাস, তাকে টার্গেট করেই এগিয়ে যায় একেকজন স্বল্পবসনা চিয়ার্সগার্ল। নাচের নামে একটু একটু করে বাড়ায় ঘনিষ্ঠতা।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
পথহারা নাবিক বলেছেন: ডিজে তার যন্ত্রপাতি চালানোর সময় মুখের ভাব ভঙ্গি এমন করে- যা দেখলেই জুতা খুলে মারতে ইচ্ছা করে।
সহমত!!
১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
জনাব মাহাবুব বলেছেন: চোখ ধাঁধানো আলো-আঁধারির খেলায় হারিয়ে যায় সব বেদনা ও হতাশা।
এই জন্যই ডিজে পার্টি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।
পুরোনো ধ্যান ধারনার মানুষেরা নতুন কিছুকে গ্রহণ করতে না পারলেও, সেটাকে তাদের আটকানোর ক্ষমতা নেই, নতুন অলটাইম এগিয়ে গেছে।
ডিজে পার্টিও ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে এগিয়ে যাবে। কারও আতে ঘা লাগলেও কিছু করা নেই।
১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
rakibmbstu বলেছেন: ডিকে পার্টিকে আমি খুব খারাপ বলব না তবে................
একটা গল্প:
এক ব্যক্তি চার্চের পাদ্রীকে বলছে :
ফাদার কোন মেয়েকে ভালোলাগা, ভালোবাসা, এক সাথে ঘুমানো কি অন্যায়?
ফাদার বললেন: না বাছা, তবে তোরা তো ঘুমাস না.........
১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা
৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: ডিজে তার যন্ত্রপাতি চালানোর সময় মুখের ভাব ভঙ্গি এমন করে- যা দেখলেই জুতা খুলে মারতে ইচ্ছা করে।
সহমত!!
১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট ভাল লাগল।