নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শীতের পিঠা

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

আমাদের দেশে শীত মওসুম মানে পিঠাপুলি, ক্ষির-পায়েস ইত্যাদি খাওয়ার ধুম। আমাদের সংস্কৃতির একটি অপরিহার্য অংশ পিঠা। বাংলাদেশে এখনো পিঠা তৈরি হয় প্রায় দেড়শ' রকমের। একেক পিঠা তৈরি হয় একেক ধরনের উপাদানে। ফুল পিঠা, দুধ পিঠা, জামাই পিঠা, পাতা পিঠা, বিবিখানা পিঠা, সাজ পিঠা, তাল পিঠা, পাটা পিঠা, মুঠা পিঠা, লবঙ্গ পিঠা, ছিটা পিঠা, চষি পিঠা, ঝাল পিঠা, মালাই পিঠা, মুঠি পিঠা, জামদানি পিঠা, হাড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, পাতা পিঠা, ক্ষীরকুলি, গোকুল, গোলাপ ফুল, লবঙ্গ লতিকা, ঝুড়ি পিঠা, ফুলকুচি পিঠা ছাড়াও বাহারি নামের আরো অনেক পিঠা রয়েছে।



অলসতার মাঝেও যদি খানিকটা সময় বের করে নিয়ে শীতের পীঠাগুলো তৈরি করেন তাহলে কিন্তু মন্দ হবে না। তীব্র শীতে ধোঁয়া ওঠা পিঠা ভাবলেই জিভে জল চলে আসে। আগে শীতের এই পিঠা উত্সবকে কেন্দ্র করে বাড়ি বাড়ি মহাধুম পড়ে যেতো। বাড়িতে আসতো জামাই-ঝি আর নতুন কুটুম। আগের মতো গাঁও-গ্রামে বাড়ি বাড়ি এখন আর পিঠা উত্সব হয় না। ভারতের কিছু কিছু এলাকায় পিঠার প্রচলন থাকলেও এটা বাঙালীর নিজস্ব খাবার।” পিঠা তৈরি হয় সাধারনত নতুন ধানের চালের গুড়া ও গুড় দিয়ে। অনেক সময় এর সঙ্গে দরকার হয় নারিকেল আর ভাজার জন্য তেল। তবে বর্তমানে ময়দা বা চিনি দিয়েও পিঠা তৈরি করা হচ্ছে।



জার্মানিতে এক রাজনীতিক বলেছিলেন, ‘জার্র্মানিতে প্রায় ৪০ রকম কেক পাওয়া যায়। তোমার দেশে ক’ধরনের কেক আছে?’ মওলানা ভাসানী জবাবে বলেছিলেন, ‘আমার বাংলাদেশে নব্বই রকম পিঠা বা কেক আছে।’ এর পর মওলানা ভাসানী যখন এসব পিঠার নাম বলতে শুরু করেন, তখন সেই জার্মান রাজনীতিক বিস্ময়ে অভিভূত হন। আমার ধারণা, দেশে ও বিদেশে পিঠা বাজারজাতকরণের মাধ্যমে আমরা বিপুল মুদ্রা অর্জন করতে পারি। একই সঙ্গে বাঙালীর পিঠা ছড়িয়ে পড়বে দেশ হতে দেশান্তরে।



চুলা থেকে সদ্য নামানো গরম গরম ধোঁয়া ওঠা চিতই পিঠার স্বাদও কিন্তু অসাধারণ। আর তার সঙ্গে যদি ধনেপাতার চাটনি বা মাংসের ঝোল হয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। মনে হবে সারাদিন আর অন্য কোনো খাবারের দরকারই নেই। এই চিতই পিঠাই আবার সারা রাত দুধ আর গুড়ের রসে ডুবিয়ে রেখে বানানো হয় দুধ চিতই বা রস পিঠা। সারা রাত রসে ডুবে একেকটা পিঠা ফুলে রসে টসটসে হয়ে যায়। সকালবেলা এ পিঠার এক টুকরো মুখে ভরলেই পুরো মুখ মিস্টি রসে ভরে যায়। কি যে দারুণ এর স্বাদ তা না খেলে লিখে ঠিক বোঝানো যাবে না!



শীতের সময় লন্ডন কিংবা নিউইয়র্কেও প্রবাসী বাঙালীরা ঘটা করে পিঠা উৎসবের আয়োজন করছে। এটা কোন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা পরিকল্পিত অনুষ্ঠান নয়; বরং অন্তরের টানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে হাজার হাজার বাঙালী শরিক হচ্ছে। আমাদের কোন ‘জাতীয় পিঠার’ নাম আজ অবধি ঘোষণা করা হয়নি; যদি করা হয়, তবে ভাপা পিঠা নিঃসন্দেহে আমাদের ‘জাতীয় পিঠার’ মর্যাদা লাভ করবে। শীতের সময় রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় রাস্তার পাশে ভাপা পিঠা বিক্রির অস্থায়ী দোকান গড়ে ওঠে। আমি সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের বেশ কিছু বৃদ্ধ ও তরুণ দম্পতিকে জানি যারা ভাপা পিঠা বিক্রির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত; শীতের সময় ভাপা পিঠা বিক্রি করে যাদের অতিরিক্ত কিছু অর্থ উপার্জন হয়।



পিঠাকে ঘিরে পল্লী মায়ের কোল কবিতায় বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি বেগম সুফিয়া কামাল লিখেছেন, “ পৌষ পার্বণে পিঠা খেতে বসি খুশীতে বিষম খেয়ে/ আরও উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি পেয়ে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৬

কসমিক- ট্রাভেলার বলেছেন:





++++++++++++++++
++++++++++++++++++
+++++++++++++++++++++

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.