নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা শীতের কাপড় দিবেন? পুরাতন হলেও চলবে...

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

আমাদের দরিদ্র দেশে এক শ্রেণীর মানুষ আছে- তারা খুব বেশী রকম বিলাসিতা করে থাকেন। দরিদ্র দেশে বিলাসিতা করা ঠিক নয়। একেবারেই ঠিক নয়। দেশের স্বার্থে বিলাসিতা বন্ধ করতে হবে। নিজের শখকে মাটি করতে হবে। যাদের প্রচুর টাকা আছে- তাদের বিলাসিতা করতে লজ্জা হওয়া উচিত। ওমুক লোকের মেয়ের বিয়ে- ওমুক লোকের ছেলের বিয়ে- দাওয়াত দাও তিন থেকে পাঁচ হাজার মানুষ, খরচ করো লক্ষ লক্ষ টাকা। বিশাল সেন্টার ভাড়া করো। লাইটিং করো সারা বাড়ি রাস্তা সহ। কেন রে ভাই এই ফালতু খরচ? আপনার ছেলে অথবা মেয়ের বিয়েতে খরচ টা কম করে সেই টাকা দিয়ে- দরিদ্র মানুষদের সাহায্য সহোযোগিতা করুন। লোক দেখানো ব্যাপার স্যাপার বন্ধ করুন।



আমাদের দেশে এই শীত কালেই সবচেয়ে বেশী বিয়ে সাদী হয়ে থাকে। এবং দুঃখের বিষয় এই শীত কালেই লক্ষ লক্ষ মানুষ শীতে কষ্ট করে। একটা শীতের জামার জন্য কি কষ্ট না ভোগ করতে হয় দরিদ্র লোক গুলোর। আচ্ছা, যারা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দু তিন দিনের অনুষ্ঠান গুলো করে- তারা কি তখন একটা শীতের জামার অভাবে কষ্ট করা লোক গুলোর কথা ভুলে যায়? কি হয় যদি বিয়েতে কিছু কম খরচ করে, সেই টাকা দিয়ে পঞ্চাশ জনকে শীতের জামা কিনে দিলে? পাঁচ তারা হোটেল গুলোতে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান লেগেই আছে। এই অনুঠান গুলোতে অনেক টাকা খরচ করা হয়। এই ফালতু খরচ না করে- তারা কি পাঁচ শো কম্বল দরিদ্র লোক গুলোর মাঝে বিলিয়ে দিতে পারে না?



কেএফসি অথবা কোনো চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গেলে দেখা যায়- অকারণে বিলাসিতা করা মানুষ জন। তাদের কাছে টাকা যেন কোনো বিষয়ই না। অনেক মহিলাকে দেখা যায়- বড় বড় শপিং সেন্টার গুলোতে কেনাকাটা করতে। তাদের অনেক টাকা। তারা কেন দরিদ্র মানুষ গুলোকে সাহায্য করে না? দরিদ্র দেশে বিলাসিতা করতে তাদের কেন লজ্জা হয় না? তারা যখন বড় বড় রেস্টিরেন্টে আরাম করে বসে বসে মূরগীর ট্যাং চাবায়- তখন ভূখা মানুষ গুলো ফুটপাতে শুয়ে বসে থাকে অনাহারে। তখন কি তাদের ফুটপাতে শুয়ে থাকা দরিদ্র মানুষ গুলোর কথা একবারও মনে পড়ে না? সৎ মানুষেরা কখনও বিলাসিতা করে না। এবং তারা যথা সাধ্য দরিদ্রদের সাহায্য করে থাকে।



বিত্তবানরা সাহায্যের মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসলে- দরিদ্র মানুষ গুলোর শীতের কষ্ট থেকে মুক্তি দেওয়া খুব সম্ভব। বছরে একবার লোক দেখানো জাকাত দিলেই হয় না। অথবা নিজ গ্রামে একটা মসজিদ বানিয়ে দিলেই হবে না। সব মানুষেরই দেশের প্রতি দায়-দায়িত্ব আছে। সরকারের পক্ষে একা সব দিক সামলানো সম্ভব নয়। দেশের প্রতি এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে সবার এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই সম্ভব সোনার বাংলা গড়া। দয়া করে কেউ আবার আমাকে কমিনিষ্ট ভাববেন না। আমি আমার অবস্থান থেকে সব সময় দরিদ্রদের সাহায্য সহোযোগিতা করছি। তা খুব সামান্যই। যদি শিল্পপতি হতাম অথবা রাজনীতিবিদ অথবা সরকারী আমলা তাহলে ব্যাপক দুর্নীতি করে দরিদ্র মানুষ গুলোর মুখে হাসি ছড়িয়ে দিতাম।



শীত নিয়ে নিজের একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। সুন্দরবন যাচ্ছিলাম আমরা। বাবা, মা ভাই বোন এবং আমাদের সমস্ত আত্মীয়স্বজনরা। একটা তিনতলা লঞ্চ ভাড়া নিয়ে। যখন আমাদের এমভি মাছরাঙ্গা- ৩ লঞ্চটি বঙ্গোপসাগরে উঠল। তখন মধ্যরাত এবং ভয়াবহ শীতকাল। আমি একটা ঘটনা নিয়ে ছোট চাচার সাথে রাগ করে কেবিনে না ঘুমিয়ে লঞ্চের ছাদে উঠে গিয়েছিলাম। ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। তীব্র ঠান্ডা বাতাস। হাড় কাঁপানো শীত। শীতে আমি কাঁপছিলাম। আমার হাত পায়ের আঙ্গুল ঠান্ডায় বাঁকা হয়ে আসছিল। তীশ যে কি পরিমান তীব্র হতে পারে সেদিন আমি বুঝতে পেরেছিলাম। এরপর থেকে আমি শীতে দরিদ্র মানুষের কি পরিমান কষ্ট হয়- তা আমি বুঝতে শিখেছি।



মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস নামের অংশটি শরীরের অভ্যন্তরের এই নির্দিষ্ট তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যেন সবকিছু ঠিকঠাকমতো চলে। ভাত-মাছ, শাকসবজি থেকে শরীর প্রয়োজনীয় জ্বালানি সঞ্চয় করে, যা পুড়িয়ে শরীর তাপ পায়। খুব বেশি শীতের জন্য যদি শরীরের ভেতরের অংশের তাপমাত্রা (কোর টেম্পারেচার) ৯৭ ডিগ্রি ফারেনহাইটের (৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) নিচে নেমে যায়, তাহলে তাকে হাইপোথার্মিয়া বলে। অপুষ্টির শিকার গরিব-দুস্থ মানুষ তীব্র শীতের সময় খুব সহজেই হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়। এ সময় শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্ত চলাচল প্রভৃতির গতি কমে যায়, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হলে ঠান্ডার অনুভূতিও নষ্ট হতে পারে, কারণ মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। মৃত্যু যে ঘনিয়ে আসছে, তা টেরও পাওয়া যায় না। খুব ঠান্ডায় হাত-পা জমে যায়, শরীরে কাঁপুনি ওঠে। একসময় মানুষ চেতনা হারায়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অবশ্যই অবশ্যই এবং অতিঅবশ্যই।

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২

টয়ম্যান বলেছেন: অবশ্যই উচিৎ

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫১

ইখতামিন বলেছেন:
জনসচেতনতামূলক পোস্ট
++
আপনি কারও মন্তব্যের জবাব দেন না কেনো? আমরা তো আপনার পোস্ট পড়ি। দু'একটা মন্তব্য করি। ভালো-খারাপ কিছু তো বলবেন। :(

এই ব্যাপারে আপনার অনুভূতি কী? (!!!!)

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, আওয়ামিলীগ, বিএনপি হওয়ার আগে মানুষ হতে হয়।

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩১

ইখতামিন বলেছেন:
যাক, ভালো লাগলো যে আপনার কাছ থেকে আমার একটা রিপ্লাই আদায় করতে পেরেছি। সুন্দর একটা প্রতিমন্তব্য করেছেন আপনি।

কিন্তু এই কারণেই কি আপনি কারও মন্তব্যের জবাব দেন না? মনে হয়না। প্রায় সকলেই আশা যে, তার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য দেয়া হবে।

ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইলো। :)

৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

টেকনিসিয়ান বলেছেন: এসব সংগ্রহ করা কাপড়-চোপড় আপাততঃ যশোর অভয়নগর, দিনাজপুর সংখ্যালঘুদের উদ্দ্যেশ্য দিলে মনে হয় সবচেয়ে ভাল হবে।

এত শীতে টিভিতে দেখে খুউব খারাপ লাগলো।

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১০

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

৫রহেজগার বলেছেন: যে দেশের প্রচুর শিক্ষিত যুব সমাজ বেহেস্তে যাওয়ার সুড়া খেয়ে মাতাল হয়ে মানুষ খুনে মত্ত। যে দেশের মানুষ চাঁদে খুনি, মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠনকারীর মুখ দেখে শহীদি উন্মাদনায় মেতে উঠে। ঐ সমাজে মানবিক ভাবনার সুযোগ কই। লিখাটি মানবিক এবং যৌক্তিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.