নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

দারুন গল্প,না পডলে বুঝবা না ....

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

অনেককাল আগের কথা ।

রাজকুমারের সিংহাসনে অভিষেক হবে। কিন্তু রাজ্যের নিয়ম অনুসারে রাজকুমারকে সিংহাসনে বসার আগে বিয়ে করতে হবে।

তো শুরু হয়ে গেলো রাণীর খোঁজ।



এই রাজ্যের এক দাসীর মেয়ে আবার রাজকুমারকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতো। কিন্তু কখোনোই মুখ ফুটে বলে নাই, বলার মতো কোন যোগ্যতাও তার ছিল না।



এদিকে রাজকুমারকে যারা বিয়ে করতে ইচ্ছুক তাদেরকে রাজকুমার এক বিশেষ দিনে ডাকলেন।

দাসীর মেয়েও যেতে চাইলে তার মা বলল, মা, তোর ওখানে গিয়ে কোন লাভ নাই। অযথা যাস না।

প্রতুত্তরে দাসীর মেয়ে বলল, মা,লাভ-ক্ষতির হিসাব জানি না, বুঝিও না। আর এটা জানি ওকে আমি কখনোই পাবো না। আমি যাব শুধু শেষ বারের মতো তাকে দেখতে।



নির্ধারিত দিনে সব রাজ্য থেকে পাত্রী এলে রাজকুমার সবার উদ্দ্যেশে বললেন, আমি আজ সবাইকে ডেকেছি একটা প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে। আমি সবাইকে একটি করে ফুলের বীজ দেব, যে সবচেয়ে সুন্দর ফুল ফুটাতে পারবে সে-ই হবে এই রাজ্যের রাণী।



দাসীর মেয়ে বীজ নিয়ে এল। তার এসব বিষয়ে কোন ভালো অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা কোনটাই ছিল না। তারপর-ও সে তার মন-প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করতে লাগলো। কৃষকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিল। নিয়মিত পানি দিল, পরিচর্যা করলো, দিন-রাত খাটলো। কিন্তু হায়! সে ফুল ফুটানো তো দূরের কথা চারা পর্যন্ত জন্মাতে পারলো না।



সময় শেষ হয়ে এল, নির্ধারিত দিনে সবাই আবার উপস্থিত হলো। দাসীর মেয়ে তার শূন্য টব নিয়ে গেলো জীবনের শেষবারের মতো রাজকুমারকে দেখতে। সেখানে যেয়ে তার ভগ্ন হৃদয় আরো ভগ্ন হলো যখন সে দেখলো সবাই চমৎকার চমৎকার ফুল ফুটিয়ে এনেছে। যেগুলো থেকে চোখ ফেরানোই যায় না। দাসীর মেয়ে ওখানেই কেঁদে উঠলো।



অবশেষে রাজকুমার এলেন, সবার ফুল দেখলেন এবং দাসীর মেয়েকেই বিজয়ী তথা রাণী ঘোষনা করলেন।



সবাই অবাক হয়ে গেলো, দাসীর মেয়ে অবাকের সাথে সাথে বিস্মিত।

তখন রাজকুমার বললেন, আমি সবাইকে যে বীজ দিয়েছিলাম, সেগুলো ছিল বন্ধ্যাবীজ। সেগুলো থেকে ফুল ফুটানো তো দূরের বিষয় চারাই জন্মানোই যাবে না।



দাসীর মেয়েকে দেখিয়ে বললেন,এই মেয়েই ফুটিয়েছে সেই ফুল যে ফুল আমি ফুটাতে বলেছিলাম। সেই ফুল হলো বিশ্বাসের ফুল। যা সবাই ফোটাতে পারে না ।



এরপর মহা ধুনধামে তাদের বিয়ে হলো ।



( কোয়েল পাওলহো-এর লেখা 'ফুল' গল্প।



মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

এয়ী বলেছেন: ভালই লাগল!!!

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

এস এম আর পি জুয়েল বলেছেন: Valo ...but nije kisu likhen

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লাগল।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

না পারভীন বলেছেন: গল্পটা বেশ সুন্দর ।

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৭

লিন্কল্ন বলেছেন: কোয়েল পাওলহো গল্পের একটা ব্যাপার আছে, যেই কারণে গল্পটা ভালো লাগে।

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৬

ভারসাম্য বলেছেন: বিশ্বাসের ফুল! ফুল না ফুটুক, ফল মিলবেই। সুন্দর গল্প। +++

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর ই লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.