নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন ইরাক দেশটি সম্পর্কে জানি

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৯

ইরাক একটি মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্র। বাগদাদ ইরাকের রাজধানী। ইরাকের দক্ষিণে কুয়েত এবং সৌদি আরব, পশ্চিমে জর্ডান, উত্তর-পশ্চিমে সিরিয়া, উত্তরে তুরস্ক এবং পূর্বে ইরান অবস্থিত। আরবি ইরাকের সরকারী ভাষা। ইরাকের তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি জনগণের মাতৃভাষা আরবি। ইরাক ১৯৩২ সালে বৃটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। মধ্যযুগে ইরাক ইসলামিক সাম্রাজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। ইরাকের জাতীয় পতাকা ১৯২১ সাল হতে ৪ বার পরিবর্তিত হয়েছে।



“ওয়াদি আল সালাম” (Wadi Al-Salaam) হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে বড় কবরস্থান। এটি শিয়া মুসলিম ধর্মালম্বিদের গোরস্থান। এটি ইরাকের পবিত্র শহর “নাযাফ” (Najaf) এ অবস্থিত। প্রতি বছর এখানে অর্ধ মিলিয়ন মৃত লোককে নতুন করে কবর দেওয়া হয় আর এই কবরস্থান ১৪৮৫.৫ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে। এই কবর স্থান মূলত গড়ে উঠেছে “ঈমাম ইবনে আবি তালিব” এর কবরকে কেন্দ্র করে। যিনি ছিলেন শিয়া মুসলিমদের প্রথম ঈমাম এবং সুন্নি মুসলিমদের ৪র্থ খালিফা। এই কারনে ইরাকে যারা মারা যান তাদের অনেকের মনের ইচ্ছা থাকে যে তাদের যেন এখানে কবর দেওয়া হয়। এই কারনে ইরাকের প্রায় ৯০% শিয়া মুসলিমদের কবর এখানে।



আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগে, গড়ে উঠে প্রাচীন আসিরীয় সভ্যতা। টাইগ্রিস নদীর তীরে এখানেই গড়ে উঠে গৌরবোজ্জ্বল ব্যবিলনীয় সভ্যতা। এখানেই ছিলো ব্যাবিলনের আশ্চর্য শূন্যোদ্যান। কিন্তু এসব আজ স্মৃতিকথা। হারিয়ে যাওয়া দিন।



তেলের কারনে ইরাক অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করে। ১৯৭৯ সালে সাদ্দাম হোসেন যখন ইরাকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয় তখন ইরাকের বৈদেশিক মুদ্রার শতকরা ৯৫ ভাগ পেট্রোলিয়াম রপ্তানী থেকে আসত । রিপাবলিক অব ইরাকের আয়তন প্রায় চারলক্ষ সাইত্রিশ হাজার বর্গ মাইল এবং এটা পৃথিবীর বৃহত্তম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ৫৮ তম।



ইরান-ইরাক যুদ্ধের সূচনা ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে । জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় ১৯৮৮ সালের আগস্টে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে এর অবসান ঘটে।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কৌশলের সাথে এ যুদ্ধের বেশ মিল খুঁজে পাওয়া যায় । পরিখা , কাঁটাতার , মানব স্রোত, বেয়নেট চার্জ এ যুদ্ধে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় । ইরাকি বাহিনী ইরানি সৈন্য , বেসামরিক নাগরিক এবং ইরাকি কুর্দদের উপর রাসায়নিক গ্যাস এবং মাস্টারড গ্যাস প্রয়োগ করে । ১৯৮৭ সালের শুরুর দিকে ইরান , বসরা নগর দখলের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে শুরু করে অপারেশন কারবালা-৫। এর প্রতিশোধ নিতে ইরাক ৪২ দিনের মাঝে ৬৫ টি ইরানী শহর এবং ২২৬ টি লোকালয়ে হামলা করে। ৮ টি বড় শহরে মূলত চলে ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ।এ ঘটনায় অনেক ইরানী বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারায়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: অভিনন্দন সমসাময়িক জরুরী লেখার জন্য।

আমার এক ভাই পড়ুয়া ছিলেন। এখন প্রয়াত। ইরাক ইরান যখন যুদ্ধ শুরু হয় তখন মন্তব্য করেছিলেন, "তাদের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি সবে তো শুরু, সামনে দেখো আরো বিপযর্য় অপেক্ষা করছে।" বিপযর্য়টা উনি দেখে যেতে পারেননি।

আমি না বুঝে ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, "একথা কেন ?"

উত্তরে ভাই বলেছিলেন, " এরা আদি কাল থেকে হঠকারী জাতি"

এখন হৃদয়ঙ্গম করি সাদ্দামের কাজ কারবার দেখে।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.