নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
শারিরীক প্রতিবন্ধি বা বুদ্ধি প্রতিবন্ধি এই সমস্যাকেই সেরিব্রাল পালসি বলে। ব্রিটিশ ডাক্তার ড: জন লিটল সর্বপ্রথম এই রোগের আবিস্কার ও নামকরণ করে থাকেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশুর শারিরীক এবং বুদ্ধি জনিত দুইটি সমস্যা হতে পারে। যদি আরেকটু সহজ করে বলি- সেরিব্রাল ব্রেন এর আরেক নাম। আর পালসি মানে আংশিক বা পুরো অর্থাৎ সেরিব্রাল পালসি মানে শরীরের অংশ নাড়ানোর ক্ষমতা হারানো ।
এই রোগকে সাধারনত ৪ ভাগে ভাগ করা হয়:
১. স্পাস্টিক
২. অ্যথেটয়েড
৩. অ্যাটাক্জিক
৪. মিক্সড্
আমাদের মস্তিষ্কের একটি অংশের নাম সেরেব্রাম। যদি শিশু জন্মের আগে, জন্মের সময় বা জন্মের ২ বছরের মধ্যে কোন কারনে মস্তিষ্কের এই অংশটি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে শিশুর শারিরীক বা বুদ্ধি জনিত যে সমস্যা দেখা দেয়, তাকেই সেরেব্রাল পালসি বলে। ফিজিওথেরাপি সেরিব্রাল পালসি রোগীর আন্দোলন এবং মোটর দক্ষতা উন্নতিতে সাহায্যে ব্যবহৃত হয়। সেরিব্রাল পালসি সঠিকভাবে মস্তিষ্কের পেশী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার এবং আন্দোলন ব্যাধি যেখানে, ফিজিওথেরাপি সেরিব্রাল পালসি রোগীর গতিশীলতা লাভে সাহায্য করে।
সেরিব্রাল পালসি এক ধরনের শারীরিক যন্ত্রণা, কোনও রোগ নয়। যাঁরা এর শিকার, তাঁদের অধিকাংশই মানসিক দিক থেকে একেবারে সুস্থ থাকেন, কিন্তু শরীর তাঁদের বশে থাকে না। সেরিব্রাল পালসি কখনও সম্পূর্ণ রূপে ভালো হয় না কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক বেবস্থা নিলে একটি বাচ্চাকে একটি উন্নত জীবনে প্রবেস করানো জায়।আর এর জন্য প্রয়োজন সঠিক চিকিৎসা।
যেসব কারণে হতে পারেঃ
— গর্ভাবস্থায় মা অপুষ্টিতে ভুগলে, গর্ভাবস্থায় মায়ের জন্ডিস হলে, গর্ভাবস্থায় মায়ের কিডনিতে বা প্রস্রাবের রাস্তায় ইনফেকশন হলে, মা যদি গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করে, জন্মের সময় শিশুটি যদি অক্সিজেনের অভাবে ভোগে, শিশুটির জন্মের এক সপ্তাহের মধ্যে যদি খুব বেশি জন্ডিস হয়, জন্মের সময় শিশুর মাথায় আঘাত পেলে বিশেষ করে ফোরসেপ ডেলিভারির সময়, জন্মের পর শিশুটি যদি মস্তিষ্কের কোনো ইনফেকশনে ভোগে। যেমন—এনকেফালাইটিস, মেনিন্জাইটিস ইত্যাদি। শিশুটি পড়ে গিয়ে বা কিছু দ্বারা মাথায় আঘাত পেলে, নির্দিষ্ট সময়ের আগে ডেলিভারি করালে।
আক্রান্ত শিশুর প্রাথমিক লক্ষণগুলোঃ
জন্মের পর শিশু কান্না না করলে বা অনেকক্ষণ পর কান্না করলে। জন্মের পর শিশুর খিঁচুনি হলে। শিশুটির শরীরের গঠন বা ভঙ্গিমা অস্বাভাবিক হলে। শিশুটির ব্যবহার অস্বাভাবিক হলে। বিছানায় শোয়াবস্থায় কুঁজো হয়ে থাকলে। হাত-পা শক্ত থাকলে। ঘাড় সোজা করতে না পারলে। শিশুটির বসা বা দাঁড়ানো অবস্থায় ভারসাম্য রাখায় সমস্যা হলে। শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হলে। একটি স্বাভাবিক শিশুর মতো যে বয়সে উপুর হওয়া, হামাগুঁড়ি দেয়া, বসতে শেখা, দাঁড়ানো বা হাঁটার কথা; সেটা করতে না পারলে।
সঠিক ফিজিওথেরাপির পদ্ধতির মাধ্যমে সেরিব্রাল পালসি রুগী হাটতে শিখছে ও কোন কিছুর সাহায্য ছাড়া দাড়াতে শিখছে এবং শুধু তাই নয় মাংসপেশির দুর্বলতা,ক্ষয় ও গঠন অনেকটা ঠিক হয়ে আসে।
কারো কোন সীমাবদ্ধতা থাকলেই তা নিয়ে আলাপ করতেই হবে এটি আরেকটি অদ্ভুত ইচ্ছে, এই ইচ্ছে পরিহার করা উচিত। অথবা অনেকে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিটিকে অযথাই মহিমান্বিত করতে চান, অকারনে আপনি সাহসী, আপনি একজন হার না মানা ব্যাক্তি এসব বলে আর কিছুই নয় শুধু বিড়ম্বনার জন্ম দেন।
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০২
বেলা শেষে বলেছেন: Thenk you very much for medical writing, we have Need more medical writer, medical Journal, if you like you may continue, some time click me i will join with you again & again.
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৪
মোঃ নুরুল আমিন বলেছেন: দরকারী পোস্ট.। ধন্যবাদ
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪২
সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। গুড পোস্ট।