নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো জাতি-রাষ্ট্রের মধ্যে একটি হল ফ্রান্স। ফ্রান্স উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। এটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতির একটি। আয়তনের দিক থেকে ফ্রান্স ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র। আর জনসংখ্যার দিক থেকে এটি ইউরোপের চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র। ফ্রান্সের প্রধান নদীগুলি হল সেন, লোয়ার, গারন এবং রোন। ফ্রান্স নগরভিত্তিক রাষ্ট্র। জনসংখ্যার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ শহরে বাস করেন। প্যারিস ফ্রান্সের রাজধানী ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। ফ্রান্সের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল এই প্যারিসে প্রায় এক কোটি লোকের বাস। ফ্রান্সের অন্যান্য বড় শহরের মধ্যে আছে লিয়োঁ। ফরাসিরা বিশ্বের সবচেয়ে স্বাস্থ্যবান, ধনী ও সুশিক্ষিত জাতির একটি।
প্রাচীন রোমানরা খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকে ফ্রান্সের দখল নেয় এবং খ্রিস্টীয় ৫ম শতকে রোমান সাম্রাজ্যের পতন হওয়ার আগ পর্যন্ত অঞ্চলটি শাসন করে। ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে এবং এর পর বহু দশক ধরে ফ্রান্স রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত হয়। বর্তমানে ইউরোপের যে অংশটি ফ্রান্স নামে পরিচিত, কেবল মধ্যযুগ শেষ হবার পরেই তার আবির্ভাব ঘটে। কেবল ১৭শ শতকে এসেই ফরাসি ভাষা একটি আদর্শ রূপ গ্রহণ করে। মধ্যযুগে অনেকগুলি রাজবংশ পরপর ফ্রান্স অঞ্চলটি শাসন করে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্স তার ধূলিস্যাৎ অর্থনীতিকে আবার গড়ে তোলে এবং বিশ্বের একটি প্রধান শিল্পরাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয়। যুদ্ধের পরে ফ্রান্স নিউক্লীয় অস্ত্রের ক্ষমতা অর্জন করে, এবং শিল্পকলা ও বিজ্ঞানের একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে।
ফ্রান্সে মোট বাংলাদেশীর সংখ্যা পনেরো থেকে বিশ হাজারের মতো হবে। এদের অধিকাংশেরই বাস করে প্যারিস ও তার আশেপাশে। ইদানিং অবশ্য এদের কিছু অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে এদিক ওদিক বড় বড় শহরেগুলোতে। প্যারিস বিশ্বের অত্যাথুনিক জাকজমকপূর্ন মেগাসিটি। প্রতি বছর এখানে প্রায় ৩ কোটি বিদেশী ভ্রমণে আসেন। প্রতি বছর বিশ্বের সর্বাধিক টু্রিষ্ট আগমন করে এই দেশটিতে। অসংখ্য অফিস- আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,হোটেল, রেষ্টূরেন্ট,ক্যাফে-বার এ অসংখ্য বিদেশীর কর্ম-সংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে।অনেক অবৈধ বাংলাদেশীও কাজ পেয়ে যাচ্ছে। বিমানের ঢাকা- প্যারিস ফ্লাই ট বন্ধ হওয়ার পর এখন লন্ডন হয়ে আসে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ ফ্রান্সে আনুমাণিক ৫০ লাখ মুসলমানের বাস।
ইংরেজি নববর্ষ পালনকে ঘিরে দেশটিতে গাড়ি পোড়ানো দীর্ঘদিনের এক ধরণের ঐতিহ্যে পরিণত হলেও গত বছরের তুলনায় চলতি বছর গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। জাতিসংঘের মতে, ২০১২ সালে প্রায় ৮৩ মিলিয়ন পর্যটক গেছেন ফ্রান্সে। অথচ দেশটির মোট জনসংখ্যাই হল ৬৬ মিলিয়ন। পর্যটকদের ৮৩ শতাংশই আসে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে। ইউরোপীয়রা অল্প খরচে ঘোরাফেরার জন্য প্রথম পছন্দ হিসাবে ফ্রান্সকেই বেছে নেন। ফ্রান্সে আসা পর্যটকরা মাথাপিছু ৬৪৬ ডলার করে ব্যয় করেন।
উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা, ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট কোর্স, পিএইচডিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কোর্স পদ্ধতি চালু রয়েছে। সাধারণত ব্যাচেলর কোর্সের মেয়াদ ৪ বছর, মাস্টার্স কোর্সের মেয়াদ ১ বছর ও অন্যান্য কোর্স বিভিন্ন মেয়াদে পরিচালিত হয়। উচ্চশিক্ষার্থে এদেশে নিজ দেশ ও অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা প্রায় সমপর্যায়ের। এখানে শিক্ষাবর্ষ শুরু হয় সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে এবং শেষ হয় মে-জুনে। ফ্রান্সে পড়ালেখার ভাষা ফ্রেঞ্চ। তাই এদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই এ ভাষা জানতে হবে। তবে শুধু ফ্রান্সে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব প্যারিসে ইংরেজিতে শিক্ষালাভের সুযোগ রয়েছে।
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১০:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ২:০৫
নীলতিমি বলেছেন: চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১০:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৪৫
রাসেলহাসান বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট! ভালো লাগলো।
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১০:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৪৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট, ভাল লাগল।
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১০:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৫৩
মারুফ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ, দরকারি তথ্যগুলোর জন্য।
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১০:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
রাশেদ অনু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এমন তথ্যমূলক পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ভালো থাকবেন।