নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন মিশর দেশটি সম্পর্কে জানি

২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২৭

মিশর উত্তর আফ্রিকার একটি প্রাচীন রাষ্ট্র। মিশরের অধিকাংশ এলাকা মরুময়। নীল নদ দেশটিকে দুইটি অসমান অংশে ভাগ করেছে। কায়রো দেশের বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। বর্তমান মিশর আরবিভাষী মুসলিম রাষ্ট্র হলেও এটি অতীতের খ্রিস্টান, গ্রীক-রোমান ও প্রাচীন আদিবাসী ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি এখনও ধরে রেখেছে। আধুনিক মিশরের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী। আরবি ভাষা মিশরের সরকারি ভাষা। মিশরের জনগণেরর অধিকাংশই আরবি ভাষাতে কথা বলে। সুপ্রাচীনকাল থেকেই নীল নদ মিশরের জীবনযাত্রায় মূল ভূমিকা পালন করছে। লোকসংখ্যা গড়ে আট কোটি। এর শতকরা ৯৫ ভাগই সুন্নী মুসলিম, বাকিরা অধিকাংশই কস্টিক খ্রিস্টান। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে মিসর সরাসরি বৃটিশ নিয়ন্ত্রনে চলে যায়।



ইংরেজিতে ঈজিপ্ট বাংলায় মিশর ।দেশটি নীলনদ, পিরামিড, ও তাদের রাজা বাদশাদের মমির জন্য বিখ্যাত। মিশরের রাজাদের বলা হত ফেরো।তৎকালীন মিশরের ইতিহাস খ্যাত টলেমি বংশের ছেলে সন্তানদের নামের শেষে ‘টলেমি’ এবং কন্যা সন্তানদের নামের শেষে ‘ক্লিওপেট্রা’ নামটি জুড়ে দেয়া হত। ইতিহাস বিখ্যাত যে ক্লিওপেট্রার নাম আমরা শুনেছি তিনি হলেন মিশর শাসনকারী টলেমি বংশের শেষ শাসক সপ্তম ক্লিওপেট্রা। দ্বাদশ টলেমির কন্যা ক্লিওপেট্রা ছিলেন খুব বুদ্ধিমতী, শিক্ষিতা এবং শিথিল নৈতিকতাসম্পন্ন নারী। তার জন্ম খ্রিষ্টপূর্ব ৬৯ সালে এবং মৃত্যু খ্রিষ্টপূর্ব ৩০ সালে। সপ্তম শতকের শুরুতেই মিসরে ইসলামের আবির্ভাব ও বিকাশের সূচনা হয়। মহানবী (সা) তাঁর জীবদ্দশায় মিসর ও আলকজানিন্দ্রায় রোমক শাসনকর্তা বাদশাহ জুরায়হ মকুকাশ ইবনে ইয়ামিনকে ইসলাম গ্রহণের আহবান জানিয়ে একটি পত্র প্রেরণ করেন।



৬৪১ সালে আরব মুসলিম আক্রমণকারীরা মিশর দখল করে। তখন থেকেই মিশর মুসলিম ও আরব বিশ্বের একটি অংশ। খ্রিস্টপূর্ব ৫২৫ সালের দিকে পারস্য আক্রমণকারীরা মিশর দখল করে ফেলে এবং মেমফিসের উত্তরে ব্যাবিলন-অন-দ্যা-নাইল দুর্গ স্থাপন করে। খ্রিস্টপূর্ব ৩৩২ সাল পর্যন্ত এখান থেকেই তারা মিশর শাসন করে। এর পর আলেক্সান্ডার দখল করেন মিশর। তার সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে স্থাপিত হয় আলেক্সান্দ্রিয়া এবং ব্যাবিলনের গুরুত্ব কমে যায়। বিশ্বাস ও কৌতুহলে সংমিশ্রণই মানুষের সভ্যতার ক্রমবিকাশের ইতিহাস। বিশ্বাস মানুষকে দিয়েছে সান্তনা এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভয় থেকে মুক্তি, অসহায়ত্ত্বে ভরসা। কৌতুহল দিয়েছে জীবন ধারণের অনুসংগ, এগিয়ে যাওয়ার শক্তি এবং চিন্তার খোরাক।



প্রাচীন মিশরের ইতিহাসে ফারাওদের রাজত্বকালগুলো বিভিন্ন রাজবংশের

শাসনে ভাগ করা। সে ইতিহাসের আঠারোতম রাজবংশের বিখ্যাত রাজা

ছিলেন প্রথম টুথমিস । মিসর আরবি শব্দ, যার মানে সরকার ও আইন-কানুন বিশিষ্ট রাষ্ট্র। পবিত্র কুরআন ইজিপ্টকে মিসর হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। প্রায় ৫০০০ বছর আগে ইজিপ্ট এর মানুষ মনে করত তারা মারা যাবার পর তাদের মৃত দেহ সংরক্ষন করলে তাদের আত্মা ঐ মমির মধ্যে ফিরে আসে, তারা মরে যেয়েও বেঁচে থাকত তাই তারা এই ভাবে মৃত দেহ সংরক্ষন করত। প্রথম দিকে মমি সংরক্ষন পদ্ধতি জটিল ছিল তাই মৃত দেহ বেশী দিন সংরক্ষন করা যেত না। তখনকার সময় কিছু অভিজ্ঞ ব্যক্তি এই কাজে খুব পটু ছিল। তাদের কাজ ই ছিল শুধু মমি বানানো। ধরনা করা হয় একটা মমি বানাতে প্রায় ৭০ দিন সময় লাগত।



কায়রো থেকে ১৩৪ কিঃ মিঃ দূরে মনোরম ও সুন্দর সুয়েজ শহর অবস্থিত। কৃত্রিমভাবে তৈরি সুয়েজ ক্যানেলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব আর বিখ্যাত ইয়ামকাপুর (ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরবদের একমাত্র বিজয় স্মৃতি ভাস্বর) যুদ্ধের কথা ইতিহাসের অংশ। কায়রো থেকে এক একদিন করে সময় নিয়ে এসব শহর ভালোভাবে ঘুরে আসা যায়। ইজিপ্টের আধুনিক ইতিহাসের নায়কদের মধ্যে আছেন মোহাম্মদ আলী পাশা, জামাল আবদেল নাসের, আনোয়ার সাদাত প্রমুখ। ইওরোপিয়ান সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর হাত থেকে ইজিপ্টকে মুক্ত করাই এদের প্রধান অবদান। এছাড়া বর্তমান প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে দেশটিতে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কৃতিত্বের দাবীদার।



যৌন নিপীড়ন, নারীর খৎনা, সহিংসতা এবং ইসলামী মৌলবাদিতার বৃদ্ধির কারণে আরব দেশগুলোর মধ্যে নারী অধিকার নিশ্চিতকরণে সবচেয়ে পেছনের সারিতে পড়েছে মিসর। পৃথিবীর সকল ধর্ম গ্রন্থেই মিসরের নাম এসেছে বিভিন্ন প্রসঙ্গে। অসংখ্য নবী-রাসূল এর জন্ম ও কর্ম ক্ষেত্র মিসর। আবার ফেরাউনের মত খোদাদ্রোহিদের দেশও মিশর। যিশু খ্রিস্টের জন্মেরও প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মিসরে গড়ে উঠেছিল এক অসাধারণ সভ্যতা। নীল নদের তীরে সভ্যতায় গড়ে উঠেছিল সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন রহস্যমণ্ডিত পিরামিড। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এত প্রাচীন হলেও সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে একমাত্র পিরামিডই এখনো পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। রাজবংশের রাজাদের মমি সমাধিস্থ করা হতো পিরামিডের ভিতরের গোপন কক্ষে। আর রাজার সঙ্গে সঙ্গে সমাধিস্থ করা হতো প্রচুর ধনরত্ন, দাস-দাসী।



মিসরে প্রচুর পিরামিড দেখতে পাওয়া যায়। তবে সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে প্রাচীন গির্জার খুফুর পিরামিড পৃথিবীর প্রাচীন সপ্তমাশ্চর্যের একটি। খ্রিস্ট পু. ২৫৬০ সালে ফারাও রাজা খুফু নিজে এ পিরামিডটি তৈরি করেন। এই পিরামিড নিয়ে কয়েকটি মজার ব্যাপার রয়েছে। চার হাজার চারশত বছর ধরে এটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু স্থাপত্য কর্ম। ১৮৮৯ এ আইফেল টাওয়ার নির্মাণের পর এটি তার গৌরব হারায়। খুফুর পিরামিডের পাথরের গায়ে মূল্যবান লাইমস্টোন প্লাস্টার করা ছিল। পরে অন্য পিরামিডগুলো নির্মাণের সময়ে অন্য রাজারা এখান থেকে লাইমস্টোন নিয়ে নিজের সমাধিসৌধে লাগাতে শুরু করে। এই পিরামিডটিতে তিনটি কক্ষ রয়েছে। আর এই কক্ষগুলোতে ঢোকার জন্য পেরোতে হতো অনেকগুলো গোলক ধাঁধা। ইতিহাসের জনক হেরোডেটাসের মতে, এই পিরামিড তৈরিতে ১ লাখ লোকের ২০ বছর লেগেছিল।



মিশরীয়দে সাথে কোন কারণে যদি বিশেষ করে বাংলাদেশী, ভারতীয়, পাকিস্তানীদের সাথে মনমালিন্য বা ঝগড়া হয় ১০০% নিশ্চিত বাংলাদেশী,ভারতী,পাকিন্তানিদের মার খেতে হবে। সবখানে মিশরীরা জোর করে হোক বা অন্যকৌশলে হোক আধিপত্য বিস্তার করতে চায়, মিশরীয়দের দৈহিক শক্তি ও স্বাস্থ গত ও উচ্চাতয় সাধারণত বাঙ্গালী, পাকিন্তানী, ভারতীয়, পিলিপিনিদের তুলনায় অনেক এগিয়ে, শুধু তায় নয় ভাষাগত কারণে তারা অন্যসব বিদেশীর তুলনায় এগিয়ে, মিশরীরা যে কোন অপরাধ করে খুব সহজে অন্যজনের ঘাড়ে চাপিয়ে নিজেকে রক্ষাকরতে পারে, মিশরীয়দের ভাষা আরবী হওযায় তারা খুব সহজে যুক্তি র্তক উপস্থাপন করে নিজের দোষকে বাঙ্গালী, পিলিপিন,ভারতীয়, পাকিন্তানিদেও উপর চাপিয়ে দেয়, মিশরীয়রা কোন অন্যায় বা চুরি করে বলবে ”ওয়াল্লাহ” আল্লাহু আকবার” ইত্যাদি, মিশরীয়দের আরবী বলার স্টাইল দেখে মনে হয় তারা যেন ফেরেস্তা ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

লিঙ্গুইস্ট বলেছেন: ভালই হয়েছে তবে কয়েকটি বিষয় একটু লক্ষ্য করা উচিত ছিল, যেমন:
"সুন্নী মুসলিম, বাকিরা অধিকাংশই কস্টিক খ্রিস্টান"
এখানে বোল্ড করা শব্দটি প্রকৃতপক্ষে কপটিক হবে। আর মধ্যপ্রাচ্যে উপমহাদেশীয় শ্রমিকদের সাথে কর্মরত সব মিশরী যে খারাপ তা ঢালাওভাবে বলা ঠিক হবে না, কারণ গতবছর সৌদী আরবে বাংলাদেশী এক শ্রমিকের হাতে মিশরী এক দারোয়ান খুন হয়, যার শাস্তিস্বরূপ সেই বাংলাদেশীকে সৌদী সরকার মৃত্যুদন্ড দেয়। যাহোক আমাদের শ্রমিকদের মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার পূর্বে মৌলিক আরবী কথোপকথনের ভাষা শিখিয়ে দেয়া গেলে তারা হয়তো আরো বেশী দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারবে এবং মিশরীরাও তাদের ঘাড়ে আর দোষ চাপাতে পারবে না।

০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১০:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.