নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন সাইপ্রাস দেশটি সম্পর্কে জানি

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২৪

সাইপ্রাস ভূমধ্যসাগরের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এটি ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্গত। আয়তনের দিক থেকে ইতালির দুটি দ্বীপ সিসিলি ও সার্ডিনিয়ার পরই এটির অবস্থান। গ্রিস, তুরস্ক, সিরিয়া, লেবানন, ইজরাইল ও গাযা স্ট্রিপ, মিসর ইত্যাদি দেশগুলো সাইপ্রাসকে চারদিকে দিয়ে ঘিরে রেখেছে। আর তাই ২০০৪ সালের ১ মে যে দশটি দেশকে ইইউ’র পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়া হয়, সাইপ্রাস এর অন্যতম। ইউরোপের সবচেয়ে দুর্বল ইকনমির কটি দেশের একটা সাইপ্রাস। আয়তন ৯২৫১ বর্গ কিলোমিটার। দেশটা ইউরোপীয় পর্যটকদের জন্য ভূসর্গ। নিকোসিয়া সাইপ্রাসের রাজধানী শহর। সাইপ্রাস এর মাঝামাঝি জায়গায় রাজধানী নিকোশিয়া অবস্থিত । এটা এখন দুভাগে বিভক্ত।



দ্বীপটির জনসংখ্যা বড়জোর ১৩ লাখ, ঢাকার জনসংখ্যার চেয়েও অনেক কম। ২০১১ সালে দ্বীপদেশটি মস্কোর কাছ থেকে আড়াই বিলিয়ন ইউরো ধার নেয়। ব্যাংক ব্যবস্থা বাঁচাতে হলে যত টাকাকড়ির প্রয়োজন, সাইপ্রাসের তা নেই। এখানেই সাইপ্রাস মার খেয়ে গেছে। সাগরবেষ্টিত এই দ্বীপরাষ্ট্র দু'টি বা টুকরো দুটোর নাম সাইপ্রাস। একটি তুর্কী সাইপ্রাস ও অপরটি গ্রীক সাইপ্রাস। সাইপ্রাস ভূখণ্ড থেকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশ বিদায় নেয় ১৯৬৩ সালে। সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস এনাসটাসিয়াডেস। সাইপ্রাসের উত্তর অংশ ফামাগুস্তা এলাকা তুরস্কের দখলে তাই এখানে জাতিসংঘ বাহিনী মোতায়েন আছে। নিকোসিয়া সাজানো শহর তবে পর্যটকদের ভীড় নেই। এক সময় ফামাগুস্তা সাইপ্রাসের অন্যতম পর্যটক কেন্দ্র ছিল।



১৯৮৩ সালে উত্তর সাইপ্রাস নিজেদের স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে ঘোষণা দেয়। তুরস্ক ছাড়া কেউ তাদের স্বীকৃতি দেয়নি। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন উত্তর সাইপ্রাস। উত্তর সাইপ্রাস বলা যায় একতরফাভাবে বিচ্ছিন্ন রয়েছে পুরো বিশ্ব থেকে। বিমান যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই উত্তর সাইপ্রাসকে করতে হয় তুরস্কের মধ্যদিয়ে। এমনকি তুরস্ক হয়ে উত্তর-সাইপ্রাসে কোন বিদেশি গেলে তাদের সীমান্ত দিয়ে দক্ষিণ সাইপ্রাসে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয় না। ভ্রমণকারীদের ইমিগ্রেশন থেকে বলা হয়, অবৈধপথে তারা এ অঞ্চলে ঢুকেছে।



সাইপ্রাস ইউরোপের অনেক নিচের ক্যাটাগরীর দেশ। ওখান থেকে জাহাজে করে অবৈধভাবে ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে যাওয়া যায়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবশ্য গ্রিক সাইপ্রিয়টরা সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। অতীতের সেই সাইপ্রাস এখন আর নাই। কালেরপ্রবাহে সাইপ্রাস পরিণত হয়েছে বিশ্বের যত দুই-নম্বরী লোকের আড্ডা খানায় আর কালো টাকারমহামিলনকেন্দ্রে। সাইপ্রাসেররাস্তায় রাস্তায় গড়ে উঠেছে হোটেল আর ধনকুবেরদের আরাম আয়াসের যত্ত রকমের আয়োজন।



সাইপ্রাসের ৪০% ব্যাংক একাউন্ট হোল্ডাররা ফরেন। সাইপ্রাসে এসোসিয়েট ডিগ্রি, ব্যাচেলর্স ডিগ্রি, মাস্টার্স ডিগ্রি ও পিএইচডি'র জন্য যেতে পারেন। সাইপ্রাসে অনেকেই যায় হোটেল ম্যানেজমেন্ট এন্ড টুরিজমে পড়াশোনার জন্য। বেশিরভাগ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক টিউশন ফি ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২শ' ইউরো। বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক টিউশন ফি ৪ হাজার ইউরো। সাইপ্রাসে বিদেশী ছাত্ররা বাড়িতে, হোস্টেলে, গেস্টহাউসে অথবা ভাড়া বাসায় থাকতে পারে। আবার কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়েও থাকার ব্যবস্থা আছে।



সাইপ্রাসের অফিশিয়াল ভাষা গ্রিক ও তুর্কি। এরপরেই ইংরেজির অবস্থান। তাই দেশটিতে পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে। সাইপ্রাসের অকৃপণ সূর্যের আলো পোহাতে সুইডেন, নরওয়ে, জার্মান ইত্যাদি নানা ইউরোপীয় দেশের পর্যটক এসে থাকে। টাকার জন্য এরা মোটেও চিন্তিত না। এদের লক্ষ্য হচ্ছে বিনোদন ও আরাম করে সময় কাটানো। লিমাসল সাইপ্রাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং দ্বীপের প্রধান সমুদ্র বন্দর । এটা মদ শিল্পের কেন্দ্র এবং প্রসিদ্ধ হলিডে রিসোর্ট। প্রকৃতির অফুরন্ত সৌন্দর্য দেখার জন্য পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা গ্রামগুলো দেখা যায় । সুন্দর ভাবে গোছানো এবং দূরত্ব বজায় রাখা । দেশটা ঘিঞ্জি নয়, সব কিছু আস্তে আস্তে তৈরী হচ্ছে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৫৪

ভাঙ্গা মাস্তুল!! বলেছেন: গিটার না বাজাইতে পারলেও গিটার বাজানোর মতো করে ভাব নেওয়া ভালো! ভাই আপনার পরবর্তী চটি কবে পাবো!!

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:৩৮

সানড্যান্স বলেছেন: ঘুরে আসতে কিরকম খরচ জানালে ভাল হত।
আর সাইরাসে সবাই কি গীটার বাজায়? :প

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮

ইয়াসিনএলাহী বলেছেন: রাজীব নুরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। চমৎকার সব তথ্য দিয়ে লেখাটি সাজানো হয়েছে। অকৃপনভাব নিরপেক্ষতার প্রমাণ রয়েছে লেখাটিতে।

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

এম সিয়াম বলেছেন: ভাল লাগল ।এবং বুঝতে পারলাম পড়ার জন্য উপযুক্ত না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.