নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
পাপুয়া নিউ গিনি প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানীর নিকট থেকে অস্ট্রেলিয়া জার্মান নিউ গিনি অধিকার করে। ১৯৭৫ সালে এটি অস্ট্রেলিয়ার নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। পাপুয়া নিউগিনির আয়তন ৪ লাখ ৬২ হাজার ৮৪০ বর্গকিলোমিটার। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ৭০ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৩ জন। জনসংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও ওশেনিয়া মহাদেশের দেশটি প্রাকৃতিক সম্পদ আর পর্যটনে বেশ সমৃদ্ধ। পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক আশ্চর্য রেইন ফরেস্ট আমাজনবেষ্টিত রাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনি।
পাহাড়, নদী আর গহিন জঙ্গলের স্বাদ পেতে দেশটিতে তাই পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। হিরি মোতু, টোক পিসিন ও ইংরেজি সরকারি ভাষা। এর মধ্যে টোক পিসিন সার্বজনীন ভাষা। দেশটিতে বর্তমানে ভাষার সংখ্যা প্রায় ৮২০। অবৈধপথে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ধরা পড়লে ঠাঁই মিলবে পাপুয়া নিউগিনিতে। গত বছর অস্ট্রেলীয় সরকার পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে অভিবাসন বিষয়ক এ চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই দেশের রাজধানীর- পোর্ট মোসবি। আয়তন: ৪,৬২,৮৪০ বর্গ কিমি এবং লোকসংখ্যা: ৬৭ লক্ষ। মুদ্রা: কিনা। পাপুয়া নিউগিনি হচ্ছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ।
নৌকায় করে যারা অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইরাক ও ইরান এবং বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে আসা হাজারো মানুষ। ধরা পড়লে, তাদের নিয়ে যাওয়া হয় পাপুয়া নিউগিনি দ্বীপে তৈরি করা ডিটেনশন ক্যাম্পে। পাপুয়া নিউগিনি হচ্ছে চীনের সঙ্গে সর্বপ্রথম কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্রের অন্যতম দেশ। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর দু'দেশের সম্পর্ক ধাপে ধাপে উন্নত হয়ে আসছে। দু'দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন কেবল দু'দেশের জনগণের বাস্তব স্বার্থ বয়ে এনেছে তা নয়, বরং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিও ত্বরান্বিত করেছে।
পাপুয়া নিউগিনি সংক্ষেপে পিএনজি। শত শত বাংলাদেশী যুবক-শ্রমিকের স্বপ্ন ভঙ্গের নিঃশব্দের কান্না চলছে পাপুয়া নিউগিনির বন্দিজীবনের চার দেয়ালের ভেতর। বাংলাদেশের প্রায় সমান আয়তনের পিএনজির জনসংখ্যা মাত্র ৮৫ লাখ। ১৯টি জেলা রয়েছে মাত্র দেশটিতে। পিএনজিতে বন্দীজীবনে বাংলাদেশী যুবক-শ্রমিকদের ওপর প্রায়শই চড়াও হয় সাদা জাতির বর্তমান অস্ট্রেলিয়ান ও কালো জাতির মূল অস্ট্রেলিয়ান অধিবাসীরা। এই দেশের শতকরা ১২ ভাগ লোক নাগরিক সুযোগ সুবিধা পায় । বাকি সবাই মোটামটি আদিম বাসীদের মত জীবন যাপন করে। এরা প্রায় সবাই বনে বা পাহাড়ে বসবাস করে। মাছ ধরা , বন জঙ্গল থেকে খাবার সংগ্রহ করে এদের জীবন চলে।
রকফেলার তার ডায়রিতে আসমাত আদিবাসী সম্পর্কে লেখেন: “এইসব শিল্পের মতই আশ্চর্যজনক হচ্ছে তাদের আচার ও রীতি যা এখনও আদিম রয়ে গেছে। পাঁচ বছর আগেও এরা সবাই হেডহান্টিং বা ছিন্নমস্তক সংগ্রহ করত। ওখানে কম সভ্য লোকই যেতে পারত বলে তাদের মানুষখেকো আদিম আচার তখনও চলছিল।” পাপুয়া নিউ গিনিকে বিশ্বব্যপি মানুষ খেকোদের দেশ হিসাবে পরিচিতি এনে দিয়েছে তা হল মাইকেল রকফেলারের (১৯৬১ সালে) পাপুয়া নিউ গিনিতে অন্তর্ধানের পরে। ১৯৯৮ সালে পাপুয়া নিউ গিনিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছিল দু’হাজার মানুষের৷ রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৭।
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৩২
এহসান সাবির বলেছেন: শুভ হোক নববর্ষ ১৪২১।
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: জানলুম পিএনজি সম্পর্কে!
৪| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪
হাসান মৃধা০০৭ বলেছেন: ওশেনিয়া মহাদেশের দ্বীপ রাষ্ট্র “পালাউ” দেশে কিভাবে যাওয়া যাবে আপনি কি বলতে পারবেন? রাষ্ট্রটি অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা দিয়ে থাকে। কিন্তু প্রসেস টা কি জানাবেন? আমার মোবাইল নাম্বার ০১৭২২ ৭৭০৬২৪
১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখিত ভাই। জানি না আমি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম, এইজন্যই মনে হয়ে পাপুয়া নিউ গিনির মত দেশও বাংলাদেশীদের ভিসা দিতে চায় না।
আমার এক সহকর্মী একবার ইন্ডিয়াতে পিএনজি'র ভিসা চাইতে গিয়েছিল, বলেছিল আমরা বাংলাদেশীদের ভিসা দেই নি। আমরা অর্ধশিক্ষিত বাংলাদেশীরা আমাদের নিজেদের পায়ে কুড়াল মারতে সিদ্ধহস্ত।