নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১।
হুমায়ূন আহমেদকে দেখলাম মন খারাপ করে ধানমন্ডি লেকে বসে আছেন। আমি খুব সাহস নিয়ে তার পাশে গিয়ে বসলাম। হঠাত এক চা বিক্রেতা আমাদের সামনে আসতেই- আমি বললাম দু'কাপ চা দাও। হুমায়ূন আহমেদ খুব আরাম করে চা খেলেন। তারপর সিগারেট। তারপর সন্ধ্যা পর্যন্ত নানান বিষয় নিয়ে গল্প বললেন। আমি অবাক হয়ে অদ্ভুত সব গল্প শুনলাম। আমি এর আগে এত সুন্দর করে, এত সহজ করে কাউকে গল্প বলতে শুনিনি। স্যার আমাকে বললেন- তুমি শ্রোতা হিসেবে খুব ভাল। চলো আজ তোমাকে পুরান ঢাকা নিয়ে গিয়ে ভোলা ভাইয়ের বিরানী খাওয়াবো।
২।
খবর পেলাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এসেছেন ঢাকায়- একটা কবিতা উৎসবে। উঠেছেন রেডিসন হোটেলে। আমার প্রিয় লেখক সুনীল। রাত জেগে জেগে তার কত বই পড়েছি। ক্যামেরা কাঁধে নিয়ে চলে গেলাম রেডিসনে। নানান বিধিনিষেধ অমান্য করে, সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে গেলাম লেখকের রুমে। রুমে গিয়ে দেখি আমার প্রিয় লেখক মদ খাচ্ছেন। তার চোখ লাল হয়ে আছে। হাতে জলন্ত সিগারেট। আমাকে দিকে তাকিয়ে একটু হাসলেন। বললেন- অটোগ্রাফ নিবে, ছবি তুলবে? আমি বললাম- না। এসব কিছু না, শুধু আপনাকে দেখতে এসেছি। সেদিন সুনীল আমাকে তার একটা বই এবং একটা কলম গিফট করেছিল।
৩।
একবার আইনস্টাইন আমাদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। আমার নানা তাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। আইনস্টাইন শান্তিনিকেতন ঘুরে আমার নানা বাড়ি এসেছিলেন। তখন আমার নানান বয়স ছিল সতের বছর। আইনস্টাইন তিন দিনের জন্য এসে তের দিন থেকে গেলেন আমার নানা বাড়ি। নানা বাড়ির পুকুর থেকে আইনস্টাইন তিন কেজি ওজনের একটা কালতা মাছ ধরে ছিলেন। এবং আইনস্টাইন নিজে কালতা মাছ কেটে ধুয়ে রান্না করে নানা বাড়ির সবাইকে খেতে দিয়েছেন। আইনস্টাইন চলে যাওয়ার সময় আমার নানা তার কাঁধে হাত রেখে বেশ কয়েটা ছবি তুলেছিলেন।
৪।
মাদার তেরেসা বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছিলেন। কিন্তু কোনো বারই তার সাথে দেখা করতে পারছিলাম না। বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। মাদার তেরেসার সাথে দেখা হয় আমার কলকাতায় ( সালটা মনে করতে পারছি না)। আমি তার সামনে গিয়ে বললাম- প্লীজ আপনি একটু আমার মাথায় হাত রাখুন, যেন আমার সমস্ত দুঃখ, কষ্ট, হতাশা মুছে যায়। সেদিন তেরেসা অনেকক্ষন আমার মাথায় হাত রেখে দোয়া করে দিয়েছিলেন। মার্বেল পাথরের ছোট্র একটা যিশু খ্রিস্টের মূর্তি উপহার দিয়েছিলেন। তখন আমার ক্যামেরা ছিল না- তাই তেরেসার ছবি তোলা হয়নি।
৫।
লন্ডন থেকে ফেরার পথে প্লেনে আমার পাশে বসেছিলেন অমিতাব বচ্চন। প্রথমে তো আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি! লোকটা সামনা-সামনি আরও বেশী স্মার্ট আরও বেশী ব্যাক্তিত্ববান। আমি বললাম স্যার- আমার মা আপনার সব গুলো মুভি অনেকবার করে দেখেছে। আপনার দারুন ভক্ত। বচ্চন সাহেব একটা সাদা কাগজে দুই লাইন কবিতা লিখে অটোগ্রাফ দিলেন মাকে। কবিতাটি ছিল এই রকম- "The ghost of Roger Casement/ Is beating on the door.'' দুবাই এয়ার পোর্টে বচ্চন সাহেব নেমে গেলেন। সাথে ক্যামেরা থাকতেও তার সাথে ছবি তোলার কথা একদম ভুলে গেলাম।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে--
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০২
মুদ্দাকির বলেছেন: ভালো ++
এইতো কয়েক দিন আগেই কেট উইন্সলেট, চার্লিজ থেরন আর স্কার্লেট জোহান্সন আমার বাড়িতে এসেছিল, তিনজনের সাথে স্পিলবার্গের বাগান বাড়িতে গেলাম .................................।
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২১
ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনি বললেন না হুমায়ূন আহমেদ বললেন বুঝতে বুঝতে গল্প শেষ! ভাল লাগল।
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
৪| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৬
রাজু রহমান বলেছেন: চরম লাগল
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:০৭
ফয়সাল খালাসী বলেছেন: একদিন আপনি আমার কাছে ক্যামেরা কেনার জন্য টাকা চাইলেন। আমি নগদ ২ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা দিয়া দিলাম। সেই ক্যামেরা দিয়া আমার একটা ছবিও তুইলা দিলেন না।