নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
দাম্পত্য জীবনে শারীরিক সম্পর্কে সুখী হতে না পারলে দম্পতিদের মধ্যে ধীরে ধীরে মানসিক ও শারীরিক দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে যায়। বিবাহিত মেয়েদের মধ্যেও সেক্স এ অনীহা থাকতে পারে। আর যারা দীর্ঘ দিন সংসার করছেন তাদের তো আছেই। স্বামীর সন্তুষ্টির জন্যে অনেকেই মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন মিলনে বাধ্য হন। সুখী সংসার গঠনের পূর্বতম শর্ত হলো বিশ্বস্ততা। বিশ্বাসহীন সংসার টিকে থাকা দুরূহ। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রেম না থাকলে সুখময় সেক্স থাকবে না। আবার সেক্স না থাকলে স্বর্গীয় প্রেম থাকবে না। তাই যে কোনো সংসার জীবনে প্রেমটাকে বজায় রাখতে হলে প্রয়োজন চমৎকার যৌনতা। যৌনতা নারী-পুরুষকে দূর থেকে কাছের করে ফেলে। যে দম্পতিদের মাঝে চমৎকার যৌনমিলন নেই তাদের মাঝে বনিবনাও খুব একটা লক্ষ করা যায় না।
মন ভালো রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে কারো কাছে কিছু আশা না করা, কারণ তা বেশির ভাগ সময়ই পূরণ হয় না। আপনি যদি চান আপনার প্রিয় পুরুষটি আপনার প্রতি ভালোবাসায় আর্দ্র থাকুক তবে সব জটিলতাই কাটিয়ে উঠতে পারবেন। আন্তরিকতা, বিশ্বাস, শ্রদ্ধার এই সুন্দর সম্পর্কে সুখী থাকুন। শান্তিপূর্ণ দাম্পত্যজীবনের জন্যে তাই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা যথাসম্ভব অনাড়াম্বর রাখুন। অনেক পরিবারের কর্তা আছেন, সব চ্যানেলের সংবাদ দেখেন। তিনি যতক্ষণ থাকেন রিমোর্ট তার হাতে। এটা ঠিক না, সঙ্গিরও কোনো পছন্দের অনুষ্ঠান থাকতে পারে। তাকে সুযোগ দিন এবং সে সময়টা আপনিও উপভোগ করুন। সঙ্গি সব কাজ ১০০ ভাগ পারফেক্ট করবে। এই আশা সব সময় পুরন নাও হতে পারে। ছোট কোনো ভুলের জন্য সঙ্গিকে তিরস্কার না করে বুঝিয়ে দিন। সঙ্গির সঙ্গে ব্যবহারে নমনীয় থাকুন, আর তার সিদ্ধান্তেরও মূল্য দিন।
সুখী হতে হলে আপনাকে বাস্তববাদী হতে হবে। আমরা মনে করি প্রেমের বিয়ে হয়তো সুখের হয়। কিন্তু বিয়ের আগে প্রেম থাকলেই যে তা সুখের বিয়ে হবে তেমন কোনো কথা নেই। কারণ প্রেম আসলে নারী-পুরুষের শারীরিক আকর্ষণেরই এক পোশাকী নাম। অভিভাবকের দোয়া ছাড়া আপনার দাম্পত্যজীবন কখনোই সুখী হতে পারে না। সর্বোপরি দুজনের ভালো বিনিময়ই সুখী সংসার। নিজেদের মধ্যে কোনো সমস্যা হলে আলোচনা করে মিটিয়ে ফেলুন। ব্যক্তিগত বিষয়ে তৃতীয় ব্যক্তিকে হস্তক্ষেপ করতে দেবেন না। বিয়ের প্রধান নির্দেশ এবং আসল বিষয় হল স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক স্নেহ, প্রেম, ভালোবাসা, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, দায়িত্ব-কর্তব্য, অধিকার প্রভৃতি। সব সময়ই ভাবতে হবে দু’জনে যেন দুটি নবীন প্রেমিক আর প্রেমিকা। দু’জনের কথার মাঝে ফুটে উঠবে নূতন প্রেমিক-প্রেমিকার কথার সুর। আপনি যদি শারীরিক বা মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ হয়ে থাকেন তা প্রিয়জনের কাছে লুকিয়ে না রেখে তার সাথে আলোচনা করুন।
আদর্শ দাম্পত্য সম্পর্ক তখনই সৃষ্টি হয় যখন স্বামী এবং স্ত্রী দুজনই একই মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী হন। শান্তিপূর্ণ দাম্পত্যজীবনের জন্যে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা যথাসম্ভব অনাড়াম্বর রাখুন। দাম্পত্যজীবনে ভুল বোঝাবুঝি দূর করার অন্যতম উপায় হলো, নিজের ভুলগুলো নিজেই খুঁজে বের করা এবং অপরপক্ষের অবস্থান থেকে দেখার চেষ্টা করা। পুরুষ অত্যন্ত স্বার্থপর। তারা ভুলে যায় যে নারীরও ব্যক্তিত্ব বলে একটা জিনিস আছে। তারা সব সময় নারীর উপর অধিকার এবং প্রভুত্বে দাবী ঘটায়। পান থেকে চুন খসালেই তার মনে অহেতুক ক্ষোভের সঞ্চার হয়। নারী যে দাসী নয়- জীবনসঙ্গিনী এটা মনে রাখা প্রত্যেক পুরুষের কর্তব্য। যখনই কোনও তরুণীর সঙ্গে কোন পুরুষের শাস্ত্র মতে বিয়ে হলো, তখনই নারীর কর্তব্য হবে স্বামীর সঙ্গে একত্রে জীবন যাত্রা নির্বাহ করা। এই বিশ্বসংসারে যত রকম দুঃখ কষ্ট বা শোক তাপ আছে, সে সবই স্বামীর সঙ্গে অংশীদার হয়ে ভোগ করতে হবে। তা হলেই স্বামীর গৃহের সবাই অতি শীঘ্র আপন হয়ে উঠবে।
স্বামী বা স্ত্রী যদি অত্যাচারী হয়, তার এমন কোনো চারিত্রিক দোষ থাকে যা সে শোধরাতে রাজী নয়, সে যদি সবসময় অমর্যাদাকর ব্যবহার করে বা আপনার প্রতি বিশ্বস্ত না হয়ে থাকে, তবে এ ধরনের দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি ঘটানোই ভাল। তবে আপনার যদি সন্তান থাকে, আইনানুগ বিবাহবিচ্ছেদের আগে সময় নিয়ে, গভীরভাবে সবদিক ভেবে নেবেন। সংসারজীবন তো আর মিলিটারি রোল নয়। সংসার হলো ভালোবাসা, সম্প্রীতি ও শ্রদ্ধাবোধ। কঠোর হলে হবে না দুজনের মধ্যে প্রচুর ক্ষমার মানসিকতা যেমন থাকবে, তেমনি পারসপরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। এই শ্রদ্ধাবোধ সংসারের বন্ধন দৃঢ় করে। মূল কথা হলো কম্প্রোমাইজ। দুজনের বোঝাপড়ার মাধ্যমেই সুখী সংসার গঠন করা সম্ভব হয়। অন্যথায় দুজনকেই তুষের আগুনে চিরকাল জ্বলতে হয়। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রতিদিন সঙ্গীর জন্য প্রার্থনা করুন। জীবনের ছোট ছোট ভুলগুলোতে হাসুন।’টুথপেস্ট বের হলে টিউবে আর ঢোকানো যাবেনা’ মনোভাব ঝেড়ে ফেলুন। অতীতে করা ভুলের জন্য বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতকে নষ্ট করবেন না।
সুখী দাম্পত্য জীবনের গোপন কথা বলতে অধিকাংশ দম্পতিই বেশি করে ভালোবাসার কথা বলার পক্ষে রায় দিয়েছেন। বিয়ে করতে হলে অনেক দায়িত্ব নিতে হবে এবং সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ে তুলতে জোর প্রচেষ্টা থাকতে হবে। যদি দুজন মানুষ বিয়ের জন্য প্রস্তুত না থাকেন এবং জীবনের ঝক্কি-ঝামেলা পোহানোর জন্য একসঙ্গে চলার জন্য প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারেন, তবে সংসারসমুদ্রে হাবুডুবু খেতে হবে। বিয়ের মাধ্যমে দুজন মানুষের সাথে সাথে দুটি পরিবারের মধ্যেও গড়ে উঠে নতুন বন্ধন। আমি-তুমি, তুমি-আমি মনোভাব না রেখে বরং দুটি পরিবারকে নিজের মতো করে ভালোবাসুন, এতে আপনার প্রতি আপনার সঙ্গীর শ্রদ্ধা বেড়ে যাবে আরো দুই ধাপ। বিয়ের পরে স্বামী বা স্ত্রী সম্পর্কে অনেক তথ্যই আপনার কানে আসতে পারে। যেমন আগের কোনো সম্পর্কের বিষয়। এই বিষয়গুলোকে কখনই পরোয়া করবেন না। অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তার কাছে প্রমাণ করুণ তার জীবনে আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ।
দাম্পত্য জীবনের ৩টি অতি জরুরি শব্দ- ক্ষমা,ক্ষমা ও ক্ষমা। স্বামীকে বিশ্বাস করুন, সম্মান করুন, সহযোগিতা করুন তার কাজে, মন থেকে ভালবাসুন তাকে। দেখবেন বিনিময়ে আপনিও তার কাছ তাই পাচ্ছেন । মানুষ মাত্রই ভুল করে। তাই আপনার সঙ্গী যদি কোন ভুল করেও বসে তাহলে চিৎকার করে রাজ্য মাথায় করবেন না। বিয়ে করার সাথে সাথেই অনেকে সন্তান গ্রহনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু বিয়ের পর প্রথম একটা বছর অন্তত সন্তান নেয়ার চিন্তা না করাই ভালো।
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
আজীব ০০৭ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ........
+++
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬
১০১টি নীলপদ্ম বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ পছন্দ হয়েছে আমার।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮
নতুন বলেছেন: +++
স্বামী স্ত্রীর মাঝে চাই একটা বন্ধুত... বিশ্বাস...